পৃথিবী বিখ্যাত পাঁচ ব্যয়বহুল কফি!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পছন্দের কফিশপে গড়ে দুই-তিন’শ টাকা খরচ করলেই মিলে যায় মনজুড়ানো গন্ধ ও স্বাদের লোভনীয় কফি।

উষ্ণ এই পানীয়ের আবেদন রয়েছে বিশ্বের সবখানেই। কফি পানের জন্য কফি বিনস যতটা ভালো মানের হবে, কফি ততটাই সুস্বাদু হবে।

সর্বোচ্চ দামের কফি হিসেবে অনেকেই কপি লুয়াককে চেনেন। আদতে কপি লুয়াকের চাইতেও আরও দামী কফি বিনস আছে, যেটা সম্পর্কে খুব একটা জানা নেই অনেকেরই। আজকের পোস্টে তাই তুলে ধরা হয়েছে পৃথিবীখ্যাত সর্বোচ্চ দামের পাঁচ কফি বিনসের বিশদ পরিচিতি।  

৫. হাসিয়েন্ডা এল রোবেল (Hacienda el Robel)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582316706.jpg

পুরো এক বছরে এই কফিটি পাওয়া যায় খুবই স্বল্প পরিমাণে, মাত্র ২২ কেজি। দক্ষিণ কলম্বিয়ার ফুলটাইম কৃষিবিদের তত্ত্বাবধানে পাওয়া যায় এই কফি বিনস। এই কফির গাছগুলো পরিচর্যায় ব্যবহৃত হয় মুরগীর বিষ্ঠার সার। গাছগুলো বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন হয় সঠিক পদ্ধতি রোদের আলো ও ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়া। তবে দক্ষিণ কলম্বিয়ায় চড়া মূল্যের এই কফি গাছ বেড়ে উঠলেও কফি বিনস প্রস্তুত ও রোস্ট করার জন্য শুধু একটি স্থানই রয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। যেখানে কফি বিনস ও কফি সম্পর্কিত সকল তথ্য গোপন রাখা হয় খুব যত্ন সহকারে। এই কফি বিনস প্রতি পাউন্ডের দাম পড়বে ১০০ মার্কিন ডলার তথা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৪১২ টাকা।

৪. অসপিনা ডিনেস্ট্রি গ্র্যান ক্যাফে প্রিমিয়ার গ্র্যান্ড সিআরইয়ু (Ospina Dynasty Gran café Premier Grand cru)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582357662.jpg

অন্যতম পুরনো কফি বিনস হিসেবে সুপরিচিত অসপিনা ডিনেস্ট্রি কফি বিনস। ১৮৩৫ সালে জেল পালানো দুই ভাইয়ের হাত ধরেই সর্বপ্রথম এই কফির উৎপত্তি হয়। নামের মতোই বেশ খানদানি পরিবেশে বেড়ে ওঠে এই কফি গাছ। কলম্বিয়ার অ্যান্টিওকিয়া (Antioquia) প্রদেশে প্রায় ৭৫০০ ফিট উঁচু আগ্নেয়গিরির ভস্মযুক্ত স্থানে এই কফি গাছগুলো পাওয়া যায়। অমন পরিবেশ ও স্থানে বেড়ে ওঠার ফলে এই কফির স্বাদ ও গন্ধ যেকোন কফি থেকেই ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া কফি প্রস্তুত করার হলে ভেলভেটের মতো নমনীয় তবে প্রখর সুগন্ধের কফি তৈরি হয়। প্রতি পাউন্ড অসপিনা কফি কিনতে গুণতে হবে ১৫০ মার্কিন ডলার তথা ১২,৬১৮ টাকা।

৩. হাসিয়েন্ডা লা এসমেরাল্ডা (Hacienda la Esmeralda)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582384771.jpg

এই কফিটি গেইশা (Geisha) কফি বিনস হিসেবেও পরিচিত, যার আদি উৎপত্তিস্থল হলো ইথিওপিয়া। তবে পরবর্তীতে পানামাতে এসে জনপ্রিয় ও মূল্যবান কফি বিনস হিসেবে পরিচিত লাভ করে গেইশা। এই কফিটির ব্যতিক্রমী স্বাদ ও গন্ধের প্রধান কারণ কফি বিনস বেড়ে ওঠে ভিন্ন মাত্রার উচ্চতায়। মাটি থেকে প্রায় ১৫০০-১৯০০ মিটার উপরে জন্ম নেওয়া এই কফি বিনসের স্বাদ ও গন্ধ একেবারেই ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া এই কফি তৈরিতে শারীরিক পরিশ্রম ও যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়। যে কারণে দামটাও গুণতে হয় বেশি। প্রতি পাউন্ড হাসিয়েন্ডা লা এসমেরাল্ডা কফি বিনস পাওয়া যাবে ১০০-৩৫০ মার্কিন ডলার তথা ৮৪১২-২৯,৪৪৩ টাকায়।

২. কপি লুয়াক (Kopi Luwak)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582501710.jpg

বিশ্বজোড়া অন্যতম জনপ্রিয় ও বিখ্যাত (নাকি কুখ্যাত!) কফি হলো এই কপি লুয়াক। মূলত এই কফি বিনস তৈরির মূল প্রক্রিয়াটির জন্যেই কপি লুয়াককে এতো বেশি মানুষ চেনে। পাম সিভেট (Palm Civet) নামক প্রাণী যাকে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় নামে টডি ক্যাট নামেই ডাকা হয়ে থাকে, এই প্রাণীর মল থেকে পাওয়া যায় চড়া মূল্যের এই কফি বিনস।

বড় চোখের প্রাণী পাম সিভেট দারুণ বাছবিচার করে তবেই কফি চেরি খায়। সবচেয়ে ফ্রেশ, মিষ্টি ও সুন্দর কফি চেরিগুলো বেছে নেয় তারা খাওয়ার জন্য। কফি চেরিগুলো খাওয়ার পর সেগুলো সিভেটের পেটে ভালোভাবে পরিপাক হয়। এটাই মূলত কফি চেরিগুলোর সবচেয়ে ভালো ও প্রাকৃতিক ফার্মেনটেশন প্রক্রিয়া। পরিপাককৃত কফি চেরিগুলো মলের সাহায্যে বের হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো বেছে কয়েক ধাপে পরিষ্কার করে, রোস্ট করে তবেই কফির জন্য জ্বাল দেওয়া হয়। এই কপি লুয়াক কেনা যায় প্রতি পাউন্ড ৬০০ মার্কিন ডলার তথা ৫০,৪৭৫ টাকায়। তবে দুঃখজনক হলো, বেশ কিছু সুযোগ সন্ধানী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সিভেটকে খাঁচায় আটকে রেখে কপি লুয়াক কফি বিনস প্রস্তুতের চেষ্টা করছে অর্থলোভে। এতে করে সিভেটের উপরে প্রভাব পড়ার পাশপাশি, রিয়েল কপি লুয়াকের মানও কমে যাচ্ছে।

১. ব্ল্যাক আইভরি (Black Ivory)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582543558.jpg

বিখ্যাত কপি লুয়াকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণের বেশি দামী ব্ল্যাক আইভরি দখল করে নিয়েছে এক নাম্বার স্থানটি। নামের মতোই বেশ গাম্ভীর্যপূর্ণ ও রহস্যময় মনে হতে পারে এই কফিকে। কিন্তু এই কফিটির সাথে কপি লুয়াকের খুব দারুণ একটি মিল রয়েছে। ব্ল্যাক আইভরিও তৈরি করা হয় হাতির মল থেকেই!

উত্তর থাইল্যান্ডের হাতিদের অ্যারাবিকা কফি বিনস খাওয়ার মধ্য দিয়ে এই ব্ল্যাক আইভরি তৈরির প্রস্তুত প্রণালি শুরু হয়। হাতি এক বিশেষ ধরণের এনজাইম তৈরি করে, যার ফলে কফি বিনস সম্পূর্ণভাবে পরিপাক হতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। পরবর্তীতে হাতির মল থেকে কফি বিনস আলাদা করা হয়।

এই কফির অবিশ্বাস্য উচ্চমূল্যের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। হাতি যে পরিমাণ কফি বিনস খায়, যে পরিমাণ পরিপাককৃত কফি বিনস পাওয়া যায় না। কারণ হাতি বেশিরভাগ কফি বিনস সম্পূর্ণ চিবিয়ে ফেলে। এছাড়া হাতির মল থেকে আস্ত কফি বিনস খুঁজে বের করাও বেশ কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ বিষয়। সর্বোচ্চ দামের ব্ল্যাক আইভরি কফি পান করতে চাইলে প্রতি পাউন্ড কফি বিনস কিনতে হবে ১৫০০ মার্কিন ডলার তথা ১,২৬,১৮৮ টাকায়।

আরও পড়ুন: কতটা উপকারী প্রিয় পানীয় কফি?

আরও পড়ুন: কোল্ড কফি ও হট কফি: কোনটা বেশি উপকারী?

   

রমজানে যেসব কাজ এড়িয়ে যাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান সবচেয়ে পবিত্র মাস। ইবাদতের এই মাসে কেবল ভালো কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা জানেন রমজান মাসে কি করা উচিত। তবে অনেকেই জানেন না, এই এক মাস কোন কাজগুলো একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-     

অকারণে রোজা ভাঙা: রমজানে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক এবং প্রধান নির্দেশনা। সংযমের মাসে রোজা রেখে সংযম চর্চা করা হয়। রমজান মাসে শেহরির পর এবং ইফতারের আগে কিছুই খাওয়া যাবেনা। রোজা রেখে ভেঙে ফেলা একদমই উচিত নয়। তাই খুব বিশেষ কারণ ছাড়া রোজা ভাঙবেন না।     

ঝগড়া-বিবাদ: সকল খারাপ অভ্যাস কমিয়ে ফেলা বা নিয়ন্ত্রণে রাখা রমজানের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য। যেকোনো ধরনের খারাপ আচরণ, ঝগড়া, তর্ক এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে রমজান মাসেস একদমই এসব করা যাবে না। এমনকি অহংকারও অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যাস। কোনো বিষয় নিয়েই অহংকার করে অথবা কাউকে ছোট করে কথা বলা উচিত না।   

দানশীলতার অভাব: দান দক্ষিণা প্রদান খুবই ভালো কাজ। নিজেদের কাছে থাকা অতিরিক্ত জিনিসগুলো, যাদের অত্যন্ত প্রয়োজন তাদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া উচিত। সকলেরই সাধ্য অনুযায়ী টাকা, খাবার, পোশাক- এসব গরীবদের দেওয়া উচিত।   

ইফতারের পর অপকর্মে লিপ্ত: অনেকে মনে করেন, রমজান মাসে শুধু দিনের বেলা ইবাদত আর ভালো করতে হয়। ইফতারের পরই পরই অনেকে মদ, সিগারেটের মতো নেশাজাত দ্রব্য সেবন শুরু করে। এসব কাজ রমজানের শিক্ষাকে ব্যর্থ করে দেয়।   

অলস সময় পার করা: সারাদির না খেয়ে রোজা থাকার ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত থাক। অনেকে এই বাহানায় কাজ করতে চান না। তারা মনে করেন রোজা রেখে সারাদিন শুয়ে, বসে, ঘুমিয়ে কাটালে কোনো অসুবিধা নেই। আদতে এমন নয়। নিতান্ত নড়াচড়া করতে পারেনা অথবা খুব অসুস্থ মানুষ ছাড়া সকলেরই প্রতিদিনেরই রুটিন অনুসারেই কাজ করে যেতে হবে।  

নামাজ না পড়া: মুসল্লীদের মধ্যে অনেকেই রোজা রাখলেও নামাজ পড়েন না। নামাজ না পড়লে রোজা রাখার মাহাত্ম্য নেই। রমজান মাসে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সওয়াব বেশি হয়। তাই একবেলাও নামাজ বাদ দেওয়া ঠিক না।  

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

রমজানে অপচয় করার অভ্যাস ত্যাগ করুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টাকার অপচয়

টাকার অপচয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মাস। হযরত মোহম্মদ (সা.) এর নির্দেশনায় মুসল্লীগণ রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করেন। এই এক মাস সর্বাঙ্গে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চর্চা করে তারা। অনেকে মনে করেন, রোজার অর্থ শুধু না খেয়ে থাকা। তবে রোজা মূলত সংযম শেখানোর উদ্দেশ্যে রাখা হয়। এই সংযম শুধু খাদ্যের নয়, মনুষ্যের সকল ধরনের নেতিবাচক দিকের।   

অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা রমজান মাসে একদমই করা উচিত নয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অকারণে টাকা নষ্ট করা। রমজান মাসে পরিপূর্ণভাবে ঈমান রক্ষাকারী কাজই করা উচিত। অপচয় করার অভ্যাস একদমই ভালো নয়। রমজান মাসে অপচয় করা একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে।  

অনেককেই দেখা যায় ইফতারে অনেক বেশি পদের খাবার আয়োজন করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখন অনেকেই ইফতারে দামি খাবারের ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসে নিজের প্রয়োজনকে সংযত করা আবশ্যক। অপ্রয়োজনে খাবারের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এবং অতিরিক্ত খাবারের আয়োজন করে তা না খেয়ে নষ্ট করা- দুটোই অপচয় ঘটায়। তাছাড়া, বেশি খাবারের চাহিদার কারণে রান্নার কাজে যা ব্যয় থাকেন তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। এতে তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া সবাই ঈদে সকলেই নতুন পোশাক কেনে। তবে কারো মধ্যে সাধ্যের বাইরে গিয়ে পোশাক কেনা প্রবণতাও দেখা যায়। অনেকে কেনাকাটা করার জন্য শপিংমলে অতিরিক্ত সময় কাটান। রমজান মাস ইবাদত করার মাস। এই সময় যত বেশি সম্ভব ধর্মীয় কাজে এবং মসজিদে সময় কাটানো উচিত।

অনেক মানুষ আছে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে পারে না। সম্ভব হলে তাদের সাহায্য করুন। এতে তাদের জীবনও ‍কিছুটা সহজ হবে, আপনারও মানসিক শান্তি মিলবে। 

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মিরা'।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।



শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব। তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

'মিরা'র নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনের দেশীয় শাড়ি

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।

;

ইস্টার উৎসব ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;