১২ কারণে গড়ে তুলুন বই পড়ার অভ্যাস



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: বই পড়ার অভ্যাস জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে।

ছবি: বই পড়ার অভ্যাস জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে।

  • Font increase
  • Font Decrease

জীবনে একটি ভালো বই পড়লেই বোঝা সম্ভব, কেন বই পড়া উচিৎ ও প্রয়োজন।

বই পড়ার ফলে যে ভালোলাগার অনুভূতি কাজ করে, তা সম্পূর্ণ তুলনাহীন। বইপড়ুয়া মানুষেরা জানেন, এক একটা বই কতটা ভালোবাসার ও প্রিয় হতে পারে। প্রিয় বইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আনন্দ-বেদনার স্মৃতি, ভালো সময় কাটানোর অনুভূতিগুলো যেন, পৃথিবীর অন্যান্য সকল অনুভুতির কাছে তুচ্ছাতিতুচ্ছ।

একদিকে যেমন ভীষণ বইপাগল মানুষ আছে, অন্যদিকে আছে বইকে এড়িয়ে চলার মতো মানুষও। নানান অজুহাতে বই পড়া থেকে নিজেকে দূরে রাখার মাধ্যমে তারা যে নিজেকেই বঞ্চিত করছেন, সেটা তাদের অজানা। একটি বই শুধুই কিছু শব্দের সমষ্টি নয়, একটি বই যেন একটি নতুন পৃথিবী।

যেকোন ভালো অভ্যাসই জীবনে কোন না কোনভাবে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। ভালো অভ্যাসের মাঝে বই পড়ার অভ্যাসটি অবশ্যই প্রথম সারিতেই থাকবে। যে চমৎকার ১২ টি কারণে সবার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিৎ, সবার সুবিধার জন্য সে কারণগুলো তুলে ধরা হলো।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে

গবেষণা থেকে দেখা গেছে বই পড়ার অভ্যাসের ফলে মস্তিষ্কের উপর ইতিবাচক প্রভাব দেখা দেয়। মানসিকভাবে সবসময় উদ্দীপ্ত থাকার ফলে ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমারকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। কারণ মস্তিষ্ক সবসময় অ্যাকটিভ থাকার ফলে, তার কর্মক্ষমতা হারানোর সম্ভবনা একেবারেই কমে যায়। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের পেশীর মতোই মস্তিষ্কের পেশীকে অ্যাকটিভ রাখতে সাহায্য করে বই পড়ার অভ্যাস।

মানসিক চাপ কমায়

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/11/1541937506429.jpeg

শুধু মানসিক নয়, শারীরিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে বই পড়ার অভ্যাস। এমনকি খোলা কোন স্থানে হাঁটা কিংবা পছন্দের কোন গান শোনার চাইতেও, মানসিক চাপ কমাতে বই পড়া বেশি উপকারী।

স্মৃতিশক্তি প্রখর করে

প্রতিবার নতুন এক একটি বই পড়ার সময়, আপনাকে গল্পের অনেকগুলো চরিত্র, গল্পের ব্যাকগ্রাউন্ড, গল্প ও চরিত্রের ইতিহাস, প্রতিটি চরিত্রের ক্যারেক্টারিস্টিক, গল্পের সাব-প্লট সহ আরও অনেক কিছুই মনে রাখতে হয়। কারণ, বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় গল্প মোড় নিতে থাকে। এই সকল কিছু ভালোভাবে মনে না রাখলে বইটাই তো বোঝা যাবে না। একইসঙ্গে অনেককিছু মনে রাখার অভ্যাসের সঙ্গে স্মৃতিশক্তি প্রখর হতে থাকে।

বৃদ্ধি পায় কল্পনাশক্তি

বইয়ের কাল্পনিক চরিত্রের সঙ্গে ও কাল্পনিক ঘটনার ভেতর ডুবে যেতে চাইলে নিজেকেও হারিয়ে ফেলতে হয় সেই কাল্পনিক জগতে। গড়ে নিতে হয় নিজের একটি কাল্পনিক পৃথিবী। কল্পনা করার এই অভ্যাসের ফলে অন্যান্য আর দশজনের চাইতে ভালো কল্পনাশক্তির অধিকারী হওয়া যায়।

যৌক্তিক চিন্তায় দক্ষ হওয়া যায়

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/11/1541937527492.jpeg

বিভিন্ন ধরণের উপন্যাস ও গল্পের নানান ঘটনা ও টার্ন, যেকোন পরিস্থিতিতে যৌক্তিকভাবে চিন্তা করার মতো মানসিক দৃঢ়তা তৈরি করে দেয়। কোন একটি গোয়েন্দা কিংবা রহস্য কাহিনী অথবা থ্রিলার কাহিনী একজন ব্যক্তিতে নানান আঙ্গিক থেকে ভাবার ও চিন্তা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাসের ফলে যৌক্তিকভাবে চিন্তা করার চর্চাটি বজায় থাকে।

মনোযোগ বৃদ্ধি করে

ব্যস্ত জীবনের নানান কাজের চাপে একসাথে অনেকগুলো কাজ কিংবা মাল্টিটাস্কিং এর মাঝে থাকতে হয়। এই মাল্টিটাস্কিং এর ফলে কোন একটা কাজের প্রতি ফোকাস করার অভ্যাস কমে যায়। সেই সঙ্গে কমে যায় মনোযোগ ধরে রাখার দক্ষতা।

কিন্তু বই পড়ার সময় অন্য কোন কাজ করা সম্ভব হয় না। কারণ বই পড়ার সময় একটুও অন্যমনস্ক হলে কাহিনীর ধারাবাহিকতা হারিয়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট বই পড়ার অভ্যাস কাজের প্রতি ফোকাস ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

রাতে দ্রুত ঘুমাতে সাহায্য করে

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/11/1541937548033.jpeg

রাতে ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন? চমৎকার একটি বই পড়া শুরু করুন। রাতে ঘুমানোর আগে বই পড়ার ফলে নার্ভ ও মন শান্ত হয়। ফলে খুব অল্প সময়ের মাঝেই ঘুম চলে আসে। অন্যদিকে টিভি দেখা কিংবা মোবাইল ফোন স্ক্রল করার ফলে নার্ভের উপর প্রেশার পড়ে এবং স্ক্রিনের ব্লু-রে ঘুমকে নষ্ট করে দেয়। ফলে রাতের ঘুমের সাইকেলে ব্যাঘাত ঘটে।

অনুপ্রাণিত হওয়া যায়

জীবন মানেই নানান ধরণের পরীক্ষা, চ্যালেঞ্জ। সবসময় নিজেকে সকল পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। প্রায়শ ক্লান্তিভাব চলে আসে একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হতে। এমন সময়গুলোতে প্রয়োজন হয় অনুপ্রেরণার। বইয়ের চমৎকার গল্প এক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। কাল্পনিক গল্পগাঁথা কিংবা আত্মজীবনীমূলক বই পড়লে নিজের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে তুলনা করা যায়, নিজের ভুলগুলো কিংবা নিজের শক্তিগুলোকে চেনা সম্ভব হয়। এমনকি জীবনের উদ্দেশ্যকেও নির্ধারণ করা সম্ভব হয় অনুপ্রাণিত হবার মতো বই পড়ে।

আপনাকে করবে সহমর্মিতাপূর্ণ

নেদারল্যান্ডের এক গবেষণা থেকে গবেষকেরা দেখেছেন, অন্যান্য সকলের চাইতে বইপড়ুয়ারা কাল্পনিক চরিত্র ও গল্পের মাধ্যমে খুব সহজেই ‘ইমোশনালি ট্রান্সপোর্টেড’ অর্থাৎ আবেগ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকেন। কোন একটি বই পড়ার সময় বইয়ের গল্প ও চরিত্রের মাঝে নিজেকে খুব সহজেই মিশিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। নিজেকে তখন চরিত্রগুলো আনন্দ-বেদনার অংশ বলে মনে হতে থাকে। তাদের কষ্টে চোখে পানি জমে, হাসি ফোঁটে তাদের আনন্দে। এর ফলে সহমর্মিতা বৃদ্ধি পায়। অন্যের অবস্থা ও অন্যের দুঃখ-কষ্টকে সহজেই অনুধাবন করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

বৃদ্ধি পায় সৃজনশীলতা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/11/1541937583428.jpeg

টিভি দেখা ও বই পড়ার মাঝে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো, বই পড়ার ফলে সৃজনশীলতার ডালপাতা মনে মতো মেলা যায়। বইয়ের কাল্পনিক জগতকে নিজের মতো করে গড়ে নেওয়া, চরিত্রগুলোকে নিজের মতো সাজিয়ে নেওয়ার ফলে, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। মনকে বড় পরিধিতে উন্মুক্ত করার জন্য ও কল্পনাশক্তি বাড়ানোর জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই।

দূরে থাকা ডিজিটাল জগত থেকে

বর্তমান সময়ে সবকিছু বড্ড বেশি ডিজিটাল ঘেঁষা। ঘুরেফিরে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইলকেই বেছে নিতে হয় বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে। অথচ প্রতিনিয়ত এই সকল গ্যাজেট ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে চোখ, মস্তিষ্ক ও স্বাস্থ্যের উপর। অন্যদিকে বই পড়ার ফলে স্বাস্থ্যের উপর কোন নেতিবাচক প্রভাব একেবারেই দেখা দেয় না।

সিনেমার চাইতে বই উত্তম

অবসর সময়ে সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু সিনেমার চাইতে হাজারগুণ বিনোদনপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর গল্প থাকে একটি বইয়ে। এমনকি অনেক সিনেমা নির্মিত হয় বইয়ের গল্প অবলম্বনে। তবে বইয়ের গল্পের খুব স্বল্প অংশই উঠে আসে পর্দায়। ফলে একটি বই পড়ে যতটা ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে, অনেক সিনেমাতেই তেমনটা হয় না।

বই পড়ার হাজারো কারনের মাঝে সবচেয়ে বড় কারনটি হলো, একমাত্র বই-ই হতে পারে আপনার জীবনের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে, নিজেকে আরো পরিণত করে তোলার সুযোগটি নিশ্চয় হাতছাড়া করতে চাইবেন না কেউ।

   

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

প্রচণ্ড উত্তাপে পুড়ছে দেশ, জেনে নিন হিট স্ট্রোকের উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। গতবছরের শেষভাগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল এল নিনোর কারণে চলতি বছর তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াবে। ইতিমধ্যে গরমে অস্থির সকলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে সামনে গরম আরও বাড়বে। মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি তাপমাত্রা ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই গরমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান মানুষ হিট স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। অনেকে অতিরিক্ত গরমে মারাও যাচ্ছেন। এত গরম কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই বাইরে গেলে নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করা উচিত। তবে যাদের হিট স্ট্রোক হচ্ছে তারা হয়তো বুঝতেও পারছেন না। হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অবশ্যই হিট স্ট্রোকের উপসর্গগুলো লক্ষ্য করতে হবে। জেনে নেই হিট স্ট্রোকের উপসর্গ-  

১। দেহতাপ

দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত দেহতাপ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা এরচেয়ে বেশি তাপমাত্রাই হিট স্ট্রোকের পূর্বাভাস। 

২। ব্যবহার

হিট স্ট্রোকের আক্রমণের আগে মানুষের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- এলোমেলো আচরণ, শরীরে অস্বস্তি, চোখে ঝাপ্সা দেখা, বিরক্তবোধ করা, খিচুনি হওয়া এমনকি কোমায় চলে যাওয়ার মতো অনুভূতি।  

৩। ঘাম

গরম আবহাওয়ার কারণে ত্বক গরম এবং শুষ্ক হয়ে যায়। সেই কারণে প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে।

৪। বমি

হিট স্ট্রোকের একটি উপসর্গ হিসেবে পেটের অস্বস্তিকেও চিহ্নিত করা হয়। অনেকে গরমে অসুস্থ বোধ করে বমি করেন। বা বমি না হলেও অনেক সময় শুধু বমি বমি ভাব হয়।

৫। ত্বক

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে।

৬। শ্বাস

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শ্বাস গ্রহণ এবং ত্যাগ করা অস্বাভাবিক হয়ে যায়। সাধারণত শ্বাস দ্রুত এবং অগভীর হতে দেখা যায়।

৭। হৃদক্রিয়া

শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সাথেই পালস উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারণ তাপের কারণে যখন শরীরে অস্বাভাবিকতা শুরু হয় তখন শরীর ঠান্ডা করার জন্য হৃদয়ের উপর চাপ বাড়ে।

৮। মাথা ধরা

হিট স্ট্রোক হওয়ার সময় মাথা ঝিমঝিম করা সাধারণ একটি উপসর্গ।

তথ্যসূত্রঃ মায়ো ক্লিনিক

;

সিডনীর উইলি পার্কে উৎসব মুখর বৈশাখী মেলা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখ মানেই নতুন সূচনা। বছরের প্রথম মাসে নতুন করে চারদিক আন্দোলিত হয় নতুন আনন্দে। এই আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালিরা। আমাদের দেশে বেশ ধুমধাম করে পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। সকালে পান্তা-ইলিশ খাওয়া, এরপর মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠা, পাশাপাশি বিখ্যাত রমনার বৈশাখীমেলা। দেশের বিভিন্ন স্থানেই বৈশাখে কয়েকদিন যাবত মেলা চলে।

তবে দেশের বাইরেও বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন অনেক বাঙালি। তাদের ভেতরের বাঙালি সত্ত্বাও নতুন বাংলা বছরে জেগে ওঠে। প্রায় সময় দেখা যায় প্রবাসে বসবাসকারীরা বিভিন্ন উৎসব নিজেদের উদ্যোগে উদযাপনের চেষ্টা করে। সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন যেকোনো উৎসব আয়োজন করার।


রোববার (২১ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে বসবাসকারী বাঙালিরা আয়োজন করেছিলেন বৈশাখী মেলার। নিউ সাউথ ওয়েলসের উইলি পার্কে আয়োজন করা হয়েছে এই মেলার। সেখানে স্থানীয় বাঙালিরা ভিড় জমান এবং বৈশাখ বিলাসে মেতে ওঠেন। লাল-সাদা পোশাকে সকলে একত্রিত হন পরিবার পরিজন এবং বন্ধুদের সাথে। ছোট ছোট শিশুরা বাংলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নাচে-গানে সেজে উঠেছিল সেই অনুষ্ঠান। ঢোল, তবলা, করতালের ছন্দে বাংলার আভায় মেতে ওঠে এক টুকরো সিডনি।

মেলার মাঠে ছোট ছোট তাবুতে স্টল বসেছে। সেখানে সাজানো হয়েছে বাঙালির ঐতিহ্যময় নানান জিনিস। তাঁতের শাড়ি, নানান গহনা, খেলনা, বাঙালি খাবার , পোশাকসহ নাগরদোলা এবং বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা। খাবারের মধ্যে ছিল সিঙ্গারা, সমুচা, ফুচকা, চটপটি, হালিম সহ নানান পদ।


শুধু বিদেশের মাটিতে বাঙালীর মেলার আয়োজন হয়েছে তা নয়! আমাদের দেশেও বেড়াতে আসা ভিনদেশীদেরা ঐতিহ্যে নিজেদের খাপ খায়িয়ে নেন। প্রায়ই দেখা যায়, অনেক বিদেশীরাও বৈশাখী আনন্দে মেতে ওঠে। গালে শুভ নববর্ষ লিখে মেলায় যায়। মানুষের সাথে মানুষের যে আত্মার বন্ধন; পোশাক, জীবনধারা, ভাষা- কিছুই যে বাঁধা নয় তারই প্রমাণ মেলে। আমরা যেমন আবরণ ভুলে সকলকে জরিয়ে আপন করে নেই, তেমনি তারাও আমাদের সংস্কৃতির ছাঁচে তাদের আবদ্ধ করে নেয়। এমন করে দেশ থেকে বিদেশের মাটিতে বাঙালির সংস্কৃতি ছড়িয়ে যাক! যুগ যুগ বেঁচে থাকুক বাঙালি এবং বাংলা সংস্কৃতি…

;