আ’লীগে বহিষ্কার-শোকজ থেকে বাঁচতে ব্যর্থ দৌড়ঝাঁপ



আবু হায়াত মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা

আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

গত মার্চ মাস থেকে অনুষ্ঠিত পাঁচ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিজ দলীয় প্রতীক নৌকার বিরোধীতাকারীদের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত। ১৪৩ উপজেলায় নৌকার হারের জন্য দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় অভিযুক্ত নেতার সংখ্যা প্রায় হাজার খানেক।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কঠোর মনোভাবের পর শোকজ ও বহিষ্কার থেকে পরিত্রাণ এবং পদ-পদবি রক্ষায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন অভিযুক্তরা। প্রতিনিয়ত তারা দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ঘোরাফেরা করছেন এবং ধর্না দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক নেতাদের কাছে। তবে তাদের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ।

যদিও এর আগে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পার যেয়ে গেছেন অনেক নেতা। তবে এ যাত্রায় রক্ষা পাচ্ছেন না বিদ্রোহী স্থানীয় নেতা ও তাদের মদতদাতা বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা, সংসদ সদস্য এবং বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।

জানা গেছে, কেন্দ্রের নির্দেশে দেশের ৮টি বিভাগে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা এ তালিকা তৈরি করছেন। শনিবার (২০ জুলাই) আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে। এ সভায় অভিযুক্তদের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করে চিঠি পাঠানোর দিন-তারিখ ঠিক করা হবে।

যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ’এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। অসংখ্যবার বলা হয়েছে। দলের কার্যনির্বাহী পরিষদের সবার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’

দলের সিদ্ধান্ত ও সভানেত্রীর নির্দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে কারা শাস্তি পাচ্ছেন বা মোট সংখ্যা কত সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মুখ খুলতে রাজি হননি মাহবুব-উল-আলম হানিফ।

সূত্রমতে, হাজার খানেকের এক তালিকায় আছে আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সব পর্যায়ের নেতা। যারা নৌকার বিরোধিতা করে অনেক উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নামে বিএনপি ও জামায়াত সংশ্লিষ্টদের পক্ষে কাজ করেছেন।

দেশের মোট ৮টি বিভাগে নৌকার বিরোধিতা করে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন প্রায় দুই শতাধিক নেতা। এ সব বিদ্রোহীদের সমর্থন ও মদত দিয়েছেন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য। আর তাদের মদতে উৎসাহী হয়ে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক নেতা উৎসাহী হয়ে নৌকার পরাজয় ঘটান অন্তত ১৪৩টি উপজেলায়। এ ক্ষেত্রে যারা জড়িত ছিলেন সবাইকেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যার সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে।

জানা গেছে, বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের অনুসরণকারী স্থানীয় নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তাছাড়া বিদ্রোহীদের মদতদাতা বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে। যাদের মধ্যে অনেকেই আগামী দিনে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচনে করতে পারবেন না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার (১৯ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কোনও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে আমরা প্রথমে কারণ দর্শাতে বলি। তিন সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে হবে। কেন আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চাওয়া হবে অভিযুক্তদের কাছে। সহযোগীদের মধ্যে যারা বিদ্রোহে ছিল বা সহায়তা করেছেন তাদেরও সংশ্লিষ্ট সংগঠন থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গত ১২ জুলাই আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর পৃথক দুটি সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকার বিরোধীতাকারীদের বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা হয়েছিলেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। অন্যদিকে বিদ্রোহীদের মধ্যে যেসব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা মদত যুগিয়েছেন তাদের শোকজ করা হবে।

   

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;

সোনাগাজীতে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদা আদায়, কারণ দর্শানোর নোটিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ ঘটনায় সংগঠন বহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের সৌদি প্রবাসীর ছেলে ফাহাদ হোসেনের সঙ্গে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।বিষয়টি ফাহাদের মা জানতে পেরে ছেলে ফাহাদ হোসেনের সঙ্গে ওই মেয়ের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে মেয়েটি যোগাযোগ বন্ধ না করে ছেলের বাড়ির আশপাশে ঘুরতে থাকেন। নিরুপায় হয়ে ছেলের মা মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবককে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন।

স্থানীয়রা জানান, ফাহাদের মা মেয়ের বাড়িতে গেলে মেয়ের পরিবার তাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ মতিগঞ্জ গিয়ে ফাহাদের মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ অজুহাত দেখিয়ে ফাহাদের মায়ের ব্যবহৃত স্বর্ণ স্থানীয় কুঠিরহাট বাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা আদায় করেন।

পরে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ ওই প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে আরও ২০ হাজার টাকা নেন। রোববার (২১ এপ্রিল) প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে আবারও ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পরে ফাহাদের বাবা প্রবাসী বেলায়েত হোসেন খবর পেয়ে চাঁদার টাকা ফেরত আনতে ফাহাদের মাকে চাপ দেন। সৌরভের কাছে টাকা চাইলে উল্টো টাকা না দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে নানাভাবে হুমকি দেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ বলেন, মতিগঞ্জে ওই মেয়ের বাড়িতে ফাহাদের মাকে আটক রাখার বিষয়টি জানতে পেরে আমি সালিশি বৈঠকের কথা বলে তাদের নিয়ে আসি। তার কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। আমার বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।

সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

;

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা ফারুখ বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

;

পানি সংকটে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, এই ভরা বোরো মৌসুমে পানি সংকটের কারণে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাবে। এই খরাকালে তিস্তা নদীতে আর পানি মিলছে না বললেই চলে। নদীতে পানি না থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তা ব্যারেজ রোডমার্চ ঘিরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা সুরক্ষার দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে মরুকরণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বামজোট নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, রংপুর অঞ্চলের ধান, পাট, আলুসহ অন্যান্য কৃষি ফসল দেশের অনেকাংশে চাহিদা পূরণ করে। এখন পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত আর ক্রমান্বয়ে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

রংপুর জেলা বাসদের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য জুলফিকার আলী, সদস্য অমল সরকার ও ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উজানের দেশ থেকে নেমে আসা নদীগুলো জালের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেশের ঋতুবৈচিত্র্য, প্রাণপ্রকৃতি, কৃষিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু ভারত আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচ প্রকল্পের নামে একে একে ৪৯টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করার আগ্রাসীনীতি গ্রহণ করেছে।

বামজোট নেতারা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বৈরীপূর্ণ হলেও তারা সিন্ধু নদের পানি প্রত্যাহার করেনি। সরকার দাবি করে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বন্ধুত্বের নমুনা পানি প্রত্যাহারে বর্ষাকালে সবগেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। আবার সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাম্রাজ্যবাদী ভারত দেশে ভূ-প্রাকৃতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।

প্রসঙ্গত; গত ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে এই রোডমার্চের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ছিল রোডমার্চের সমাপনী দিন। সমাবেশে শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক পথ রংপুর জিলা স্কুল মোড় গিয়ে রোড মার্চটি তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা করে।

;