জাপার পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এরশাদ-রওশন-জিএম কাদের/ছবি: সংগৃহীত

এরশাদ-রওশন-জিএম কাদের/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: জিএম কাদের পুনর্বহাল হওয়ার পর জাতীয় পার্টির (জাপা) পরিস্থিতি নাকি অনেকটাই বদলে যাচ্ছে। অনেক সিনিয়র নেতাই এখন জিএম কাদেরের প্রতি সমর্থন জানান দিচ্ছেন।

কেউ ফোনে যোগাযোগ করছেন, আবার কেউ কেউ জিএম কাদেরের উত্তরার বাসায় হাজির হয়ে নিজেদের সমর্থন জানান দিচ্ছেন। জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব হাসিবুর রহমান জয় এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, জিএম কাদের কো-চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ার পর পরিস্থিতি অনেক বদলে গেছে। সিনিয়র নেতারা অনেকেই এখন তাকে সমর্থন দিচ্ছেন। আবার জিএম কাদের নিজেও অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা মনে করছি, জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের পেছনেই ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এতোদিন যারা অন্যগ্রুপে ছিলেন তারাও এখন কাদের ভাইয়ের পেছনে আসতে শুরু করেছেন।

স্বপদে বহাল হওয়ার পর জিএম কাদেরও এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। বলেছিলেন, সব বড় দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকে। আমাদের দলেও রয়েছে। তবে এর শিকড় খুব গভীরে নয়। ক্ষমতা পেলে এসব গ্রুপিং ধীরে ধীরে কমে যাবে।

মধ্যম সারির নেতারা বলেন, জিএম কাদের পুনর্বহাল হওয়ার পর থেকে এখনও পর‌্যন্ত পার্টির কোনো বড় কর্মসূচি দেখা যায়নি। হলে হয়তো অনুমান করা যেতো কি হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে সিনিয়র নেতাদের অবস্থান পরিষ্কার হতো।

তবে কাদের বিরোধী বলে পরিচিতরা এরশাদের এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে মনে করছেন না। তারা আবার পরিবর্তনের আশা করছেন। তারা মনে করছেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে জিএম কাদেরের সফল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এক রংপুরকে দিয়ে দল চলবে না। সে কারণে দায়িত্ব পেলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না। যে কারণে জিএম কাদেরকে আবার সরিয়ে দেবেন এরশাদ।

কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ১১ এপ্রিল গিয়েছিলাম স্যারের (এরশাদ) সঙ্গে দেখা করতে। দুপুরে প্রায় ৪০ মিনিট কথা হয়। সে সময় জিএম কাদের সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করেছেন স্যার। স্যার বললেন, কাদেরকে দায়িত্ব দিলাম, যাতে সে সবাইকে নিয়ে কাজ করে। কিন্তু দলের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি করছে। আমার মনে হচ্ছে না ও দল চালাতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, স্যার বললেন, সবাই দল থেকে বেনিফিট নিয়েছে। সবাই এমপি হতে চায়, কিন্তু আমার মামলার বিষয়ে কেউ কথা বলে না। তোমরা কাদেরকে দেখো, কাদের যেনো সবার সঙ্গে ভালোভাবে চলে। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে। দলটা চালাতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন হবে।

অসুস্থ এরশাদ এমন হতাশার কথা আরও দু’একজনের কাছেও নাকি ব্যক্ত করেছেন। সে কারণে পরিস্থিতি পুরোপুরি জিএম কাদেরের অনুকূলে এমনটা মানতে নারাজ অনেকেই। তারা মনে করছেন, সংখ্যাধিক্য এমপি এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদের পক্ষে একাট্টা। তাদের কারণে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিশেষ ক্ষমতাও অসহায় হয়ে পড়তে পারে।

পার্লামেন্টারি পার্টি বিগড়ে গেলে অনেক কিছু বদলে যেতে পারে। যেমনটি হয়েছিল বিগত সংসদে, তখন এরশাদ নিজে বিরোধীদলীয় নেতা হতে চাইলেও রওশন বেকে বসায় পুরো সময় জুড়ে বিরোধীদলীয় নেতার চেয়ারে থাকেন রওশন।

আবার জাতীয় পার্টির অস্তিত্বের প্রতীক লাঙ্গলও কিন্তু রওশনের দিকে ঝুঁকে থাকবে। কারণ, সপ্তম সংসদে যখন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে টান দেন। তখন বিষয়টি আদালত পর‌্যন্ত গড়ায়। তখন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কারাবন্দি থাকায় মামলায় স্বাক্ষর করেছিলেন রওশন এরশাদ। রওশন পক্ষকেই লাঙ্গল প্রতীক দেন আদালত। এ কারণে অনেকে মনে করেন রওশনের নামেই লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ রয়েছে।

পরিস্থিতি যাই থাকুক দুই পক্ষই মনে করছেন, শেষ সময়ে তারাই বিজয়ী হবেন। একপক্ষের শক্তি তৃণমূল। আরেক পক্ষের শক্তি সিনিয়র প্রভাবশালী নেতারা। কিন্তু একটি ছাড়া যে অপরটি অচল তারা কেউই অন্তরে লালন করছেন বলে দৃশ্যপটে অনুমিত হয় না। সিনিয়র নেতারা অনেকটা নিরব ভূমিকা পালন করলেও তাদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব।

বিশেষ করে জিএম কাদেরের আশপাশে থাকা কিছু তৃতীয় সারির নেতার কর্মকাণ্ডে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে। জিএম কাদেরকে যখন পুনর্বহাল করা হয়, তখন তার ব্যক্তিগত সহকারী আবু তৈয়ব ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, যারা আন্দোলন করে সফল হলেন, তাদের অভিনন্দন। যারা এ বিজয়ে কষ্ট পেলেন তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।

একজন বেতনভোগী স্টাফের এমন খোঁচা দেওয়া স্ট্যাটাস কেউই স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না।

এমন অনেকে স্ট্যাটাস দিয়ে সিনিয়র নেতাদের বিষদগার করছেন, যাদের না আছে পোস্ট না আছে পদবি। তাদের এসব বিভ্রান্তিকর পোস্টের দায়ও গিয়ে পড়ছে জিএম কাদেরের ঘাড়ে। অনেকে মনে করছেন জিএম কাদেরের আশকারা পেয়ে তারা এমন কাজ করছেন।

উদারপন্থী নেতারা মনে করেন, এতে পার্টিতে বিভেদ বাড়তে পারে। কাদের ভাইয়ের এমন বিতর্ক এড়ানো উচিত। যেভাবেই হোক তিনি ফিরে এসেছেন। এতে তার প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। এখন বিভেদ না বাড়িয়ে সবাইকে নিয়ে পথ চলতে হবে তাকে। না হলে এখন রক্ষা হলেও এরশাদের অবর্তমানে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা কঠিন হবে।

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;