কমিটিতে থাকবেন না অভিমানী প্রসেনজিৎ, খুশি রাজ!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ চক্রবর্তী

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ চক্রবর্তী

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সুবর্ণ জয়ন্তী। ফলে স্বাভাবিকভাবেই উৎসবের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। কিন্তু তার আগেই যেন ছন্দপতন হচ্ছে চলচ্চিত্র উৎসবের। গত বছর এই উৎসবের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এবার ওই পদে রাজ চক্রবর্তীর নাম সামনে এসেছে।

প্রসেনজিতের বদলে কেন রাজ? এখন এমনটাই প্রশ্ন টলিউডে।

জানা গেছে, প্রসেনজিৎ নাকি ব্যক্তিগত কাজের চাপে উৎসবের একাধিক মিটিংয়ে থাকতে পারেননি। এ কারণেই উৎসব কমিটি তার পরিবর্তে রাজকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/14/1565778452869.jpg

এই প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমাকে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি।’

তবে চলচ্চিত্র উৎসবের বিশেষ উপদেষ্টা কমিটিতে মাধবী মুখোপাধ্যায় বলেন, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, সন্দীপ রায়, অপর্ণা সেন, রঞ্জিত মল্লিক, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীলের সঙ্গে রয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নামও। উৎসব সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এই বিশেষ উপদেষ্টা কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে প্রসেনজিৎ নাকি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, নিজস্ব কাজের জন্য সে এই বছর কোনোভাবেই উপদেষ্টা কমিটিতে থাকতে পারছেন না। সত্যিই কি ওইসময় শহরের বাইরে থাকবেন? নাকি চেয়ারম্যান পদ চলে যাওয়ায় অভিমান?

অভিমানী প্রসেনজিতের জবাব, ‘যদি উৎসব কর্তৃপক্ষ মনে করেন আমি সময়ের অভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাতে অপারগ, তাহলে কীভাবে আমি উপদেষ্টা কমিটির হয়ে কাজ করতে পারব! আমার ব্যস্ততা তো কিছু কম বা বেশি হচ্ছে না। ছবি নিয়ে কমিটমেন্ট যেমন থাকবে, তেমনই ছেলেকে (মিশুক) নিয়ে বিদেশে যাওয়াও থাকবে। তাই আমি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি এ বছর আমার পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। তবে কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতি আমার সমর্থন সবসময় থাকবে।’

অন্যদিকে রাজ চক্রবর্তী স্বভাবতই খুশি। তিনি জানান, ‘এটি আমার কাছে যথেষ্ট সম্মানের বিষয়। প্রত্যেকবার কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ছবি দেখি। আর এবার তো গুরু দায়িত্ব! কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে সেটি বড়দের থেকে ধীরে ধীরে শিখব। সবাইকে নিয়ে উৎসব যাতে সফল হয় সেই চেষ্টাই করব। আশা করি আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমি তা পালন করতে পারব।’
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/14/1565778469900.jpg

কিন্তু এই নতুন পদ পাওয়ায় রাজের সঙ্গে প্রসেনজিতের সম্পর্কে কি চিড় ধরাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রাজ বলেন, ‘একদম বাজে কথা। কারা এসব রটাচ্ছে আমি জানি না। আমাদের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। বুম্বাদা ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রির অনকেই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। একটি বিশাল টিম কাজ করে। সেখানে আমি একটা পদ পেয়েছি মাত্র। কিন্তু আমি জানি আমাকে সবাইকে নিয়েই এগতে হবে।’

এবছর উৎসবের মুখ্য উপদেষ্টার পদে রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও কো চেয়ারম্যান মন্ত্রী তথা গায়ক ইন্দ্রনীল সেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সম্ভবত পরিস্থিতি বুঝেই মুখ খোলেনি তারা। শাসক দল পন্থী রাজ, অপরদিকে প্রকাশ্যে কোনো দল সমর্থন করে না প্রসেনজিৎ। ফলে এখন দেখার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সুবর্ণ জয়ন্তীর আগে পানি কতদূর গড়ায়!

   

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে গতকাল হুট করে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। এরমধ্যে চারজন গুরুতর আহত হয়ে ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বুধবার দুপুর থেকে এফডিসির সামনে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা। এটির আয়োজক ছিল টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান এসোসিয়েশন। এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাসের সভাপতি রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তরা অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিনেতা জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বো-কে সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ অন্যান্য শাস্তি নেওয়ার দাবি করেন।

 (বাঁমে) শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো; আহত সাংবাদিকরা (ডানে)

বক্তরা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদেরকে আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

এদিকে ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে রয়েছেন লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা শাহ, রুবেল, রত্না।

;

বাঁধনকে উদাহরণ বিবেচনায় অভিভাবকত্ব নিয়ে হাইকোর্টের রুল



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এক ফ্রেমে কন্যা সায়রাকে নিয়ে বাঁধন

এক ফ্রেমে কন্যা সায়রাকে নিয়ে বাঁধন

  • Font increase
  • Font Decrease

আবারও আদালতে সম্মানীত হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তাকে উদাহরণ বিবেচনায় অভিভাবকত্ব নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। তার আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পাননি।

গত ২২ এপ্রিল নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন।

আজমেরী হক বাঁধন

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই। আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

সেদিনের আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সারা হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, তবে একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তার সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

একসঙ্গে মডেলিং করেছেন বাঁধন ও তার কন্যা সায়রা

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে। তিনি বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যারা আপিল করেছেন তাদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তার সন্তানের ওপর।’

কন্যার সেলফিতে বাঁধন

বাংলাদেশের ইতিহাসে বাঁধনই প্রথম এবং একমাত্র মাছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি। বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

আজমেরী হক বাঁধন

অভিভাবকত্বের অধিকার আদায়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন বাঁধন। ফলে এই আইন নিয়ে তার জানাশোনা বেশ। তিনি বলেন, ‘আইনজীবী সারা হোসেন কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়। তবে বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

;

মেহজাবীন-সিয়ামের নাটকীয় স্ট্যাটাসের অবসান!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মেহজাবীন চৌধুরী ও সিয়াম আহমেদ

মেহজাবীন চৌধুরী ও সিয়াম আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দুই তারকা মেহজাবীন চৌধুরী ও অভিনেতা সিয়াম আহমেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, এমনটাই জানেন শোবিজ পাড়ার সকলে। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল হঠাৎ একে-অপরের বিপক্ষে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পোস্ট দেন। 

প্রথমে মেহজাবীন নিজের ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘সিয়াম আহমেদ যেখানে থাকবে, প্লিজ আমাকে সেখানে ডাকবেন না।’

‘গেল ঈদের ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে একসঙ্গে নেচেছেন মেহজাবীন ও সিয়াম

কিছুক্ষণ পর সিয়াম তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে মেহজাবীনের পোস্টটি শেয়ার দিয়ে লেখেন, ‘মেহজাবীন-ও যেখানে থাকবে, আমার সেখানে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নাই।’

দুই তারকার এমন ‘বিপরীতমুখী’ পোস্ট দেখে ভক্ত-অনুসারীদের অনেকেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। তবে অনেকে আবার অনুমান করছিলেন, এটা কোনও কাজের প্রচারণা। অবশেষে জানা গেলো তাদের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যের আসল ঘটনা।

মেহজাবীন চৌধুরী

খোলাসা করলেন মেহজাবীন। আজ (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘সিয়াম আর আমার পাল্টাপাল্টি পোস্ট নিয়ে তো অনেক কথাই হচ্ছে। কিন্তু, আসলে সিয়াম আর আমার বন্ধুত্ব সবসময়ই বেশ ভালো। তবে, বন্ধুত্ব যত ভালোই হোক না কেন, সব সম্পর্কেই কিছু মান-অভিমান, কিছু ছোট অভিযোগ-অনুযোগ থাকে। আনন্দের আর অভিমানের মুহূর্ত মিলেই তো একটা সম্পর্ক সুন্দর হয়।’

সিয়াম আহমেদ

মসৃণ সম্পর্কে কিছু খুনসুটি-অভিমান থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন মেহজাবীন। তার ভাষ্য, ‘অভিমানের মুহূর্তগুলোতেই কিন্তু আমরা প্রিয়জনদের সবথেকে বেশি মিস করি আর উপলব্ধি করি তারা আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়গুলোতেই আমাদের মধ্যে একটু-আকটু খুনসুটি হয়ে থাকে।’

মেহজাবীন চৌধুরী

বন্ধুত্বের রসায়ন না হয় পরিষ্কার হলো, কিন্তু ঠিক কী কারণে ওই পোস্ট দিয়েছিলেন তারা? তাও পরিষ্কার করেন মেহজাবীন। জানালেন, একটি তেল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পেইনের অংশ এটি। সাধারণ মানুষকেও আহ্বান জানানো হয়েছে এতে অংশ নিতে। প্রিয়জনের সঙ্গে এমন অম্ল-মধুর মুহূর্তের স্মৃতি শেয়ার করতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে ১০ জন বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে। যারা নৈশভোজের সুযোগ পাবেন সিয়াম-মেহজাবীনের সঙ্গে।

সিয়াম বর্তমানে ব্যস্ত ‘জংলি’ সিনেমার শুটিংয়ে

প্রসঙ্গত, সিয়াম আহমেদ বর্তমানে ব্যস্ত আছেন তার নতুন সিনেমা ‘জংলি’র শুটিংয়ে। এটি পরিচালনা করছেন এম রাহিম। ছবিটি আসবে ঈদুল আজহায়। অন্যদিকে মেহজাবীনও নেমেছেন সিনেমায়। ক’দিন আগে তার জন্মদিনে নতুন সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’র টিজার প্রকাশ্যে এসেছে। শঙ্খ দাশগুপ্ত নির্মিত ছবিটি চলতি বছরই মুক্তি পাবে।

;

সব মাধ্যমে রেকর্ড গড়ছে সুইফটের নতুন অ্যালবাম



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘দ্য টরচার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’-এ টেইলর সুইফট

‘দ্য টরচার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’-এ টেইলর সুইফট

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সঙ্গীত বিশ্বের শীর্ষ তারকা বলা হয় সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফটকে। মুড়ি-মুড়কির মতো রেকর্ড ভাঙেন আর গড়েন। সবার  উপরে যে শিল্পী, তার নতুন গান যে সবকিছু ছাড়িয়ে যাবে সেটিই স্বাভাবিক।

হলোও তাই! গত ১৯ এপ্রিল সুইফটের নতুন অ্যালবাম ‘দ্য টরচার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ প্রকাশিত হয়েছে। অ্যালবাম প্রকাশের আগেই রেকর্ড গড়া শুরু করেছিলেন তিনি। প্রকাশের এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে গেছেন এই তারকা।

বিলবোর্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দ্য টরচার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ অ্যালবাম প্রকাশের দুই সপ্তাহ আগে গত ২৮ মার্চ স্পটিফাইয়ের কাউন্টডাউন চালু করেছিল। সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন সুইফটের অনুরাগীরা। অ্যালবামটি প্রকাশের পরপরই স্পটিফাইয়ে ঝড় উঠেছে। প্রকাশের প্রথম দিনে ব্যবধানে অ্যালবামটি স্পটিফাইয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩০ কোটিবার শোনা হয়েছে।

গত ১৯ এপ্রিল সুইফটের নতুন অ্যালবাম ‘দ্য টরচার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ প্রকাশিত হয়েছে

এর আগে এই রেকর্ড বিয়োন্সের দখলে ছিল। এই গায়িকার ‘কাউবয় কার্টার’ অ্যালবামটি পুরো সপ্তাহ মিলিয়ে ৩০ কোটি ৪১ লাখবার শোনা হয়েছিল। সপ্তাহের হিসেবে বিয়োন্সেকে অনেক দূরে ফেলে যাবেন সুইফট; তা বলাই বাহুল্য।

অ্যালবারের ‘ফোর্টনাইট’ গানটি আলাদা রেকর্ড গড়েছে। স্পটিফাইয়ের ইতিহাসে এক দিনে সবচেয়ে বেশি শোনা হয়েছে গানটি।

অ্যাপল মিউজিকে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙেছে অ্যালবামটি। অ্যাপল মিউজিক জানিয়েছে, অ্যাপল মিউজিকে এক দিনে সবচেয়ে বেশি বার শোনা হয়েছে অ্যালবামটি।

প্রকাশের প্রথম দিনে অ্যালবামটি স্পটিফাইয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩০ কোটিবার শোনা হয়েছে

 

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের বাইরে সুইফটের অ্যালবাম কিনতেও হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন শ্রোতারা। প্রথম সপ্তাহ ফুরানোর আগে ১৫ লাখ অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ৭ লাখ ভিনাইল রেকর্ড। এই সময়ে এক সপ্তাহে এতটা ভিনাইল রেকর্ড বিক্রি খুব একটা দেখা যায় না।

১৯ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ অ্যালবামটি। এতে রয়েছে ‘ফোর্টনাইট’, ‘টিটিটিপিডি’, ‘ডাউন ব্যাড’, ‘সো লং, লন্ডন’, ‘মাই বয় অনলি ব্রেকস হিজ ফেভারেট টয়’, ‘বাট ড্যাডি আই লাভ হিম’, ‘ফ্লোরিডা’, ‘আই ক্যান ডু ইট উইথ অ্যা ব্রোকেন হার্ট,’ ‘হু ইজ অ্যাফ্রেড অব লিটল ওল্ড মি?’, ‘ফ্রেশ আউট দ্য স্লামার’, ‘গিলটি অ্যাজ সিন?’, ‘আই ক্যান ফিক্স হিম (নো রিয়েলি আই ক্যান)’, ‘দ্য অ্যালকেমি’র সহ মোট ৩১টি গান।

অ্যালবামটি প্রকাশের পরপরই সব মাধ্যমে ঝড় উঠেছে

অ্যালবামের প্রথম ১৬টি গান উন্মুক্ত করা হয় যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে। ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরই আসে বাকি ১৫টি ট্র্যাক।

সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

;