ফার ফ্রম হোম ব্যাংককের থিয়েটারে ‘স্পাইডারম্যান’



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংকক (থাইল্যান্ড) থেকে: ব্যাংককের চাতুচাকের বিশাল মল সেন্ট্রাল প্লাজা লাওপ্রাও। এটা সড়কের এপাশ-ওপাশ নিয়ে এক এলাহি মার্কেট। এই প্লাজার বিশেষত্ব হচ্ছে এখানে যেমন একটি পাশ উচ্চবিত্তদের জন্যে, তেমনি নিম্নবিত্তের সাধ্যেরও সমন্বয় রয়েছে।

দুপুরে খাবার শেষে আমি আর কানালাউই ওয়াক্লেহং মলের এই পাশ ওই পাশ ঘুরে চলে এলাম টপ ফ্লোরে। এখানে রয়েছে এসএফএক্স সিনেমার মুভি থিয়েটার হল আর বিস্তর জায়গাজুড়ে ফান জোন। এখানে ফান জোনের একাংশে চলছে পাবজি গেমের টুর্নামেন্ট। ১৪টি টেবিলে ১৪টি গেমার দল অংশ নিয়েছে। আর বড় স্ক্রিনে গেমিং উপভোগ করছেন আমাদের মতো এখানে ঘুরতে আসা লোকেরা। রোববারে ছুটির দিনে এখানে ভিড়টা একটু বেশিই। এখানে কিডস জোনেও রয়েছে গেমিংয়ের সুযোগ। আমরা সেখানেই কিছুটা সময় কাটানোর আগেই কেটে নিয়েছিলাম মার্বেল ফিল্মসের সাম্প্রতিক মুভি, 'স্পাইডারম্যান, ফার ফ্রম হোম' -এর টিকিট। এখানে যেমন হাতে হাতে টিকিট কাটা যায়, তেমনি ভিসা বা ক্রেডিট কার্ড দিয়েও টিকিট কাটতে পারেন দর্শকরা।

মাত্র গত ২ জুলাই দুনিয়াজুড়ে মুক্তি পেয়েছে সুপার হিরো সিরিজের সর্বশেষ ছবি। তাই ভিড় কিছুটা বেশি। সুপার হিরো সিরিজ ছেলে বুড়ে সকলের। তাই সব বয়সী দর্শকই রয়েছে। এখানে ১০টি হলের সাতটিতে চলছে বিদেশি ছবি আর তিনটি হলে দেশীয় সিনেমা।

থাইদের ইংরেজিতে দুর্বলতাকে অনেকে যেমন দুঃখ হিসেবে নিয়েছেন, আবার অনেকে গর্ববোধও করেন। গর্ববোধকারীরা বলে থাকেন, থাইল্যান্ড কখনো পশ্চিমের উপনিবেশ ছিল না। তাই ইংরেজিকে কখনোই আবশ্যক মনে হয়নি। আর এখানে হলিউডের মুভি থেকে শুরু করে পশ্চিমের বা পূর্বের জনপ্রিয় সব লেখকের বই থাই ভাষায় পাওয়া যায়। ফলে বিদেশি ভাষাকে রপ্ত করা হয়নি ভালো করে।

ব্যাংককে এর আগেও সিনেমা দেখেছিলাম- 'গ্রিন বুক'। তবে সেই হলে দর্শকের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা ৫ বা ৬ জন। এবার কিন্তু বড় সংখ্যক দর্শক। হল প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ। এখানেও থিয়েটারের ক্যাফে থেকে খাবার কিনতে হলে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হয়। এক বোল পপকর্ন আর কোল ড্রিংকসের খরচ পড়ে যাবে ৫০০ টাকার মতো। তবে কেউ যদি বাইরে থেকে খাবার কিনে প্রবেশ করে, তাতেও অপরাধ নেই। আমরা এই ধরনের কোন সুযোগ না নিয়ে তড়িঘড়ি করে স্থাণীয় সময় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে প্রবেশ করলাম থিয়েটারে।

spider-man

৪টা ২০ মিনিটে থিয়েটারের স্ক্রিনে আলো আসল। কানালাউই কেন এর আগে আমার তাড়াহুড়োতে মুচকি হাসছিল, সেটা বোঝা গেলো এবার। কারন মূল সিনেমা শুরু হতে ঢের বাকি। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলবে আসন্ন মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর ট্রেইলার আর বিজ্ঞাপন।

বাংলাদেশে সিনেমার আগে যেমন দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় আর সবাই দাঁড়িয়ে যায়, এখানেও এমনটা রয়েছে। তবে এখানে হচ্ছে রাজা এবং রাজপরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আয়োজন। বর্তমান রাজা মহা ভিজরালংক্রানের শৈশব থেকে শুরু করে, কৈশোর, যৌবনে এয়ারফোর্সের প্রশিক্ষণ থেকে সিংহাসনে বসা পর্যন্ত ঘটনাগুলো রাজ সংগীতের মাধ্যমে দর্শকদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলো। এসময়টা রাজপরিবারের সম্মানে সবাইকে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

প্রায় ৪টা ৫০ মিনিট নাগাদ সিমেনা শুরু হলো। স্পাইডারম্যান চরিত্রটি কিশোর চরিত্র। যেখানে কিশোর বয়সের অ্যাডভেঞ্চার আর রোমান্টিকতার সংমিশ্রন থাকে। স্পাইডারের ম্যানের পিটার পার্কার চরিত্রটিতে টম হল্যান্ডের অভিনয় ছিল সত্যি অসাধারণ। কিশোর বয়সের লজ্জায় লাল হওয়া প্রেমে পড়া মুখটির অসাধারণ ছবি একেছেন তিনি। অ্যাভেঞ্জার্স: অ্যান্ড গেম সিকোয়েলে আয়রন ম্যান, টনির মৃত্যুর পর এখানে সময়ে সময়ে কিছুটা হতাশ দেখা যায় পিটারকে। তবে একই সঙ্গে বারবার শেষ সুপার হিরো হিসেবে এই মনুষ্য জগতকে টিকিয়ে রাখার লড়াই থেকেও পিছপা হতে পারে না। এই ছবিতে টনি না থাকলেও তার বন্ধু সহকারী হ্যাপী হোগান এগিয়ে আসে স্পাইডারম্যানকে রক্ষায়। কারণ মার্ভেল সিরিজের এই অসাধারণ চরিত্রটি প্রেমে পড়েছে স্পাইডারম্যানের আন্টির।

spider-man

বাংলাদেশের মুভি থিয়েটারগুলোতে যেমন হাত তালি বা অট্ট হাসি থাকে, এখানে তেমনটা না। বরং অনেক হাসি আসলেও সেটা মৃদুর বেশি শব্দ যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়।

এন্ড গেমের পরে বেশ ক্লান্ত পিটার এই মুভিতে ইউরো ট্রিপে বের হয় স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে। যেখানে গাইড হিসেবে রয়েছে শিক্ষক রোজার হ্যারিংটন। সিনেমায় রোজার হ্যারিংটন চরিত্রে মার্টিন স্টার এবং নেড লিডস চরিত্রে জ্যাকব ব্যটালনের অভিনয়ে দম বন্ধ হওয়া হাসি আসবেই। তবে সেখানে কিন্তু এখানে হো হো করে হাসার উপায় নেই। মানুষ যেন যতোটা চেপে হাসি আটকে রাখা যায়।

এই ছবিতে স্পাইডার ম্যানের লড়াই করতে হয়েছে কোয়েন্টিন বেকের বিরুদ্ধে। যে কিনা ডিজিটাল ইলুইশন তৈরি করে বার্লিন এবং লন্ডনের মতো শহর ধ্বংসের পরিকল্পনায় মেতে ওঠে। প্রেমিকা মিশেল মারফত যখন পিটার এই ইলুইশন সর্ম্পকে জানতে পারে, ঠিক একই সময়ে মিশেল নিশ্চিত হয় পিটারই যে স্পাইডারম্যান।

লন্ডনে শেষ যুদ্ধে ইলুইশন ভেঙ্গে কোয়েন্টিন বেকের বিরুদ্ধে জয় লাভ করে স্পাইডারম্যান। তবে একেবারে শেষ চিত্রে, দেখা যায় শহরের টিভি স্ক্রিনগুলোতে ব্রেকিং দেওয়া হচ্ছে, সাধারণ মানুষের কাছে ভালো চরিত্র হিসেবে পরিচিত কোয়েন্টিন মৃত্যুর আগে তার খুনি হিসেবে স্পাইডারম্যানকে দায়ী করে যায় এবং এটাও জানিয়ে দেয় যে- স্পাইডার ম্যানের আসল নাম পিটার পার্কসন।

spider-man

পরিচালক জন ওয়াটস পুরো ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট উত্তেজনার মধ্যে রাখেন দর্শকদের। স্পাইডারম্যান, ফার ফ্রম হোম দর্শকদের এক মিনিটের জন্যেও হতাশ করেনি। বরং সময়ে সময়ে হাসি এবং অ্যাডভেঞ্চার রেখেছেন।

মার্ভেল সিরিজের ছবির শেষ দৃশ্য দেখতে হলে পুরো ছবির কলা কুশলী সকলের নাম পড়ে বের হয়ে আসতে হয়। কারণ সিনেমার শেষ মিনিটের আগে মাঝখানে তিন মিনিট প্রোডাকশনের বিস্তারিত চলে আসতে থাকে।

এটা বলতেই হবে, ছুটির বিকেল কাটানোর জন্যে এই স্পাইডারম্যান, ফার ফ্রম হোম একটি পারফেক্ট মুভি। যে কারণে ১ হাজার ৬০০ লাখ ডলারের এই ছবি প্রথম ৪ দিনেই বক্স অফিসে আয় করেছে ১ হাজার ৬৪০ লাখ মার্কিন ডলার; যা এই বছরে সেরা আয়ের ছবিগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ।

   

প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পর একই জবাব মিথিলার



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া  /  মিথিলা ; শাড়ি : সনি রহমান

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া / মিথিলা ; শাড়ি : সনি রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। আর সেখানেই যদি প্রচলিত পুরুষ শাসনের রীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হয় তাহলে সেটা দুঃখজনক। এমন ঘটনা মাঝেমধ্যে দেখা যায় বটে!

যেমন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড সুপারস্টার প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কথাই ধরুন। তিনি নিজের জীবনের দারুণভাবে সফল। তাকে অনুসরন করে এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু সেই প্রিয়াঙ্কা যখন নিজের দেশ ছেড়ে হলিউডে কাজ করতে গেলেন, তখন পশ্চিমা গণমাধ্যম তাকে পরিচয় করিয়ে দিতেন, তার স্বামী হলিউডের জনপ্রিয় তারকা নিক জোনাসের স্ত্রী হিসেবে।

এই বিষয়টি এক পর্যায়ে আর মানতে না পেরে মুখ খোলেন পিসি। তিনি বিরোধীতা করে বলেন, আমার পরিচয় কি আমার জন্য যথেষ্ট নয়? আপনার আমাকে আমার স্বামীর নামে পরিচয় করানো বন্ধ করুন।

এবার একই ঘটনা ঘটল দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে। মিথিলাও তার জীবনে দারুণ সফল। পড়াশুনায় দারুণ মেধাবী, পিএইচডি করছেন, ব্র্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন, একইসঙ্গে অভিনয়, মডেলিং ও সংসার সবটাই সামলাচ্ছেন।

মিথিলা ও সৃজিত মুখার্জি

তারপরও কলকাতার গণমাধ্যম তাকে স্বামী বিখ্যাত পরিচালক সৃজিত মুখার্জির নামেই পরিচয় করাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

কলকাতায় মিথিলার নতুন একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ‘ও অভাগী’ নামের ছবিটি মুক্তি পেয়েছে আজ। সেই ছবির প্রিমিয়ারের পাশাপাশি স্বামী সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘অতি উত্তম’ ছবির প্রিমিয়ারের জন্য কলকাতায় রয়েছেন মিথিলা।

সেখানের এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিথিলা বলেছেন, ‘সৃজিতের সদ্য একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। অতি উত্তম ছবির প্রচারে বা সাক্ষাৎকারে ওকে কেউ আমার বিষয়ে, ওর বিবাহিত জীবনের বিষয়ে প্রশ্ন করেনি। কিন্তু আমায় করে। এই এক জিনিস মায়ার প্রমোশনের সময়ও হয়েছিল। বাংলাদেশেও সবাই সৃজিতকে ভারতের পরিচালক হিসেবে চেনে। আর আমি ওর স্ত্রী। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। আমি আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করি, পিএইচডি করছি, অভিনেত্রীও। সেগুলো যথেষ্ট নয় আমার পরিচয়ের জন্য? আমায় কেন কারও স্ত্রীর পরিচয়ে পরিচিত হতে হবে?’

সম্প্রতি ‘মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন’ ওয়েব সিরিজের জন্য সেরা অভিনেত্রীর বাইফা পুরস্কার পেয়েছেন মিথিলা। শাড়ি : সনি রহমান

সৃজিতের সঙ্গে কি ঝামেলা চলছে মিথিলার? এমন প্রশ্নের জবাবে মিথিলা জানান, এসব একেবারেই ভুল কথা। তিনি এবং তার মেয়ে ঢাকায় থাকেন। কারণ সেখানে থেকে তার কাজ করতে সুবিধা হয়। সেখানে তার পরিবার আছে। এখানে এলে অনেক সময় সৃজিত বাইরে থাকে।

;

কলকাতার নায়িকাদের দিকে ঝুঁকছেন জায়েদ খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জায়েদ খান ও পূজা ব্যানার্জি

জায়েদ খান ও পূজা ব্যানার্জি

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যারিয়ারে সবচেয়ে আলোচিত সময় পার করছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নানা কারণে হচ্ছেন ভাইরাল। তার অনেক কাজকর্ম, কথাবার্তা হাস্যরসের জন্ম দিচ্ছে নিত্যদিন। 

এতে অবশ্য তার কিছুই যায় আসে না! বরং তিনি আগের চেয়ে আর্থিক দিক দিকে বেশি লাভবান হচ্ছেন এখন। বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান তার এই ইমেজ কাজে লাগাচ্ছেন টাকার বিনিময়ে।

তবে এতোকিছুর পরও বাংলাদেশের প্রথমসারির নায়িকারা এখন আর তার সঙ্গে অভিনয় করতে রাজী নন। আর জায়েদ খানও নতুন কিংবা অজনপ্রিয় কোন নায়িকায় ভরসা পাচ্ছেন না। তাই মান ধরে রাখতে অগত্যা তাকে ছুটতে হচ্ছে কলকাতার দিকে। সায়ন্তিকার পর এবার তার বিপরীতে আরেক কলকাতার নায়িকাকে দেখা যাবে বলে খবর এসেছে।

এবার জায়েদ খানের নায়িকা হচ্ছেন ভারতের হিন্দি ও বাংলা চলচ্চিতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি। 

জায়েদ খান

জানা গেছে, বাংলাদেশের একটি বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি ছবি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ছবিতে জায়েদ খান ও কলকাতার অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি একত্রে আসতে যাচ্ছেন। জায়েদ খান সিনেমার বিষয়ে বললেও সিনেমার নাম ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম এখনই বলতে চাচ্ছেন না।

তিনি বললেন, ‘আমি যা বলি তা করে দেখাই। অহেতুক আওয়াজ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ঈদে আমার সিনেমা সোনার চর আসছে। এই ছবিটি বেশ পরিশ্রম করে করেছি। আর আজ নতুন ছবির ঘোষণা দিলাম। আমি চমক দিতে পহন্দ করি। তাই বিস্তারিত পরে জানাবো ‘

এর আগে জায়েদ খান কলকাতার সায়ন্তিকার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন। সেই ছবির কিছুদিন শুটিংয়ের পর প্রযোজক নায়িকার জটিলতা তৈরি হয়। ফলে ছবিটির শুটিং আটকে যায়।

পূজা ব্যানার্জি

পূজা ব্যানার্জি স্টার প্লাসে সম্প্রচারিত তুঝ সাং প্রীত লাগাই সাজনা শোতে বৃন্দা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সুপরিচিত। এছাড়াও তেলুগু, বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।

এদিকে ঈদে জায়েদ খানের সোনার ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। ছবির প্রচারণায় ইতোমধ্যে যমুনা ফিউচার পার্কে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন এই অভিনেতা।

;

‘রামায়ণ’ সিনেমায় মুখোমুখি রণবীর-যশ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যশ(বামে), রণবীর কাপুর(ডানে) / ছবি: সংগৃহীত

যশ(বামে), রণবীর কাপুর(ডানে) / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রীরামের জন্মের দেড়’শ বছর আগে তার জীবনী ‘রামায়ণ’ লিখেছিলেন মহাকবি বাল্মিকী। সেই মহাকাব্যের গল্পের আদলে বলিউডে তৈরি হচ্ছে সিনেমা ‘রামায়ণ’। এই সিনেমা নিয়ে ভক্তদের আকাঙ্ক্ষা আকাশচুম্বী। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য মতে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় তারকা রণবীর কাপুর সিনেমায় রামের চরিত্রে অভিনয় করবেন। তার বিপরীতে মাতা সীতার চরিত্রে থাকবেন দক্ষিণী সুন্দরী এবং অসাধারণ অভিনেত্রী সাঁই পল্লবী।

এছাড়াও সমগ্র ভারত থেকেই বাঘা বাঘা শিল্পীদের নাম রয়েছে সিনেমার তালিকায়। স্যান্ডলউডের তারকা যশ সুপারহিট ফ্রাঞ্চাইজি কেজিএফের পর রামায়ণ সিনেমায় রাবণের চরিত্রে থাকবেন। এছাড়াও, বিজয় সেথুপাতি, রাকুলপ্রিত সিং, সানি দেওল সহ বড় তারকাদের সম্পৃক্ততার তথ্য সামনে এসেছে। যদিও এখনো সকল চরিত্রের জন্য নির্বাচিত অভিনয় শিল্পীদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।     

সনাতন ধর্মের মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের জীবনীর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ। মানব জীবনের অনুপ্রেরণা প্রদানকারী এই গ্রন্থের গুরুত্ব বেশ প্রভাবশালী। বিভিন্ন সময় রামায়নের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক নাটক সিনেমার চরিত্র তৈরি করা হয়। সরাসরি রামায়ণের গল্পতেও বহু আগে থেকে বিভিন্ন প্রজেক্ট এসেছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ভক্তদের তৈরি করা ফ্যানআর্ট / ছবি: সংগৃহীত
 

সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবেই আসে ‘আদিপুরুষ’ সিনেমার নাম। যদিও এই সিনেমা অতিরিক্ত মাত্রায় সমালোচনার শিকার হয়। কোনো দর্শকেরই এই সিনেমা পছন্দ হয়নি প্রভাস এবং কৃতি স্যানন অভিনীত সিনেমাটি। মূল রামায়ণের গল্পকে একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরেছিলেন ওম রাউত। হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছিল সেই সিনেমা।

সেই আঘাতে মলমের কাজ করবে নীতেশ তিওয়ারির পরিচালিত ‘রামায়ণ’-এমনটাই আশা করছেন সকলে। যদিও শ্যুটিং শুরু হওয়ার আগেই সিনেমার প্রযোজকের দলছুট হওয়ার তথ্য সামনে আসে। তবে এই গোড়ায় গলদ বিশেষ প্রভাবশালী হবে বলে মনে হয় না। নেটিজেনরা সিনেমার ভবিষৎ নিয়ে চিন্তিত হলেও সিনেমা তৈরি হওয়ার আশ্বাসি দিয়েছেন পরিচালক। যদিও সিনেমার শ্যুটিং শুরু হওয়ার তারিখ মার্চের শেষ থেকে পিছিয়ে এপ্রিলে ঠেকেছে।          

;

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ড. হাফিজ রহমানের লেখা দেশাত্মবোধক গান 'আমরা মুক্তি সেনা' রিলিজ হয়েছে। বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকারের সুরে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও সহশিল্পীবৃন্দ।

এমকে মিউজিক ২৪ এর ব্যানারে গানটি গত ২৬ মার্চ তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। গানটির মিউজিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রফিকুল আজাদ খোকন।

'আমরা মুক্তি সেনা' গানটি রিলিজের দুই দিনের মধ্যেই হাজার হাজার ভিউজ হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাফিজ রহমান বলেন,' মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে একটি গান লেখার ইচ্ছে ছিলো। ২৫ মার্চ। পৃথিবীর ইতিহাসের এক কাল রাত্রি। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরীহ নিরপরাধ ঘুমন্ত বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম নৃশংসতা চালায় । তাই আমার লেখা গানটি সেই রাতেই রিলিজ করার পরিকল্পনা করেছিলাম। অবশেষে বাস্তবে রূপায়িত হলো সেই অভিপ্রায়।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকার বলেন, "গানটির কথা খুবই সুন্দর ছিলো। সুর করেছি। কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ সুন্দর কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে।"

;