ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খুঁজছে আ'লীগ



মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মেহেরপুর, বার্তা২৪.কম
গাংনী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পক্ষ থেকে যারা প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন, ছবি: সংগৃহীত

গাংনী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পক্ষ থেকে যারা প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল শেষ হতে না হতেই মেহেরপুরের গাংনীতে এখন উপজেলা নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্নভাবে তাদের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের জানান দিচ্ছেন। ফেসবুকে নানাভাবে নিজেদেরকে তুলে ধরার চেষ্টা ছাড়াও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ধরনা দিচ্ছেন অনেকেই।

জানা গেছে, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুর জাহান বেগম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি একেএম শফিকুল আলম, জেলা আ'লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছুর রহমান মুকুল, সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহ, জেলা কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, সাবেক পৌর মেয়র আহমেদ আলী ও জেলা পরিষদ সদস্য মজিরুল ইসলাম সম্ভাব্য প্রার্থী হতে প্রস্তুত বলে নিজেদের জানান দিচ্ছেন।

জানা গেছে, সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের নাম শোনা গেলেও তিনি আপাতত এ বিষয়ে ভাবছেন না বলে নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গাংনীর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কিছুটা মেরুকরণ হয়েছে। ক্ষমতার পালা বদলে এখন আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকনের পাল্লা ভারি। এ কারণে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়ে এমপির কাছে ধরনা দিচ্ছেন। তবে সংসদ নির্বাচনে কার কি ভূমিকা ছিলো তা বিবেচনায় নিয়ে দলীয় প্রার্থীর জন্য সুপারিশ করবে আওয়ামী লীগ। এমনটি জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা।

তিনি বলেন, 'উপজেলা নির্বাচনের জন্য আমার চেয়ে শক্ত অবস্থান কারো নেই। দীর্ঘদিন দলের সাথে আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকেই মনোনয়ন দেবেন বলে আশা করছি। যারা সংসদ নির্বাচনে গোপনে ও প্রকাশ্যে খোকনের বিরোধিতা করেছেন তাদেরকে অবশ্যই মনোনয়ন তালিকা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে তালিকা প্রেরণ করা হবে।'

জানা গেছে, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি একেএম শফিকুল আলম ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে তিনি স্বেচ্ছায় প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত থাকেন। তখন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের গোপন ভোটে মোকলেছুর রহমান মুকুল প্রার্থী হন। পৌর বিএনপি সভাপতি মুরাদ আলীর কাছে তিনি প্রায় ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র নারী প্রার্থী হচ্ছেন নুর জাহান বেগম। তার স্বামী প্রয়াত বজলুর রহমান। তিনি গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। নুর জাহান বেগমের পিতা ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। পাক হানাদার বাহিনী তার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পুরোপুরি রাজনৈতিক পরিবারের এই নারী স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবারের রাজনীতির হাল ধরেন।

২০০৯ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন। তিনি যদি দলীয় মনোনয়ন পান তাহলে গাংনীর ইতিহাসে আওয়ামী লীগের প্রথম নারী প্রার্থী হিসেবে তার নাম লেখা হবে। এবারের উপজেলা নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। একাদশ সংসদ নির্বাচন মেনে নেয়নি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তাই উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তাদের কি ভূমিকা হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। এ কারণে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন এখানকার বিএনপির নেতাকর্মীরা।

স্থানীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, সাহিদুজ্জামান খোকন একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছেন। এমপি নির্বাচিত হওয়ায় সে গ্রুপিং আরও কমেছে। উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে গ্রুপিং আবারো চাঙ্গা দিয়ে উঠতে পারে। রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখতে অনেকেই উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীকেই আঁকড়ে ধরেছেন।

এ বিষয়ে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদ্জ্জুামান খোকন বলেন, 'এলাকায় যিনি ক্লিন ইমেজের এবং নেতাকর্মী সমর্থক ও ভোটাররা যাকে গ্রহণ করবেন এমন মানুষকেই মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।'

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;