ঢাকা বিভাগে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার ওপর নির্ভর করছে জাতীয় পার্টির ভোটের কৌশল। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে।

আর বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট পৃথকভাবে ৩শ’ আসনেই নির্বাচন করবে। জাতীয় পার্টির দু’ধরনের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এর অংশ হিসেবে ৩শ’ আসনে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করেছে জাতীয় পার্টি। একাধিক বিকল্প ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিকদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বার্তা২৪.কম-এ প্রথম ধাপে প্রকাশ করা হচ্ছে ঢাকা বিভাগের প্রার্থীদের তালিকা।

ঢাকা-১ আসনে একক প্রার্থী রয়েছে বর্তমান এমপি প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, ঢাকা-২ আসনে শাকিল আহমেদ শাকিল, ঢাকা-৩ আসনে মনির সরকার ও হাজী সাব্বির আলী, ঢাকা-৪ বর্তমান এমপি প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৫ প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ঢাকা-৬ বর্তমান এমপি প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।

ঢাকা-৮ আসনে মোট চারজন প্রার্থীদের তালিকা করা হয়েছে। এই আসনে শরীক দল ইসলামী মহাজোটের একজনের নামও সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই আসনে ইসলামী মহাজোটের প্রার্থী আমিনা মোর্তুজা টলি, জাতীয় পার্টির রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রুবেল।

ঢাকা-৯ আসনে খসড়া তালিকায় প্র্রার্থী হিসেবে রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, ঢাকা-১০ আসনে মো. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-১১ আসনে এসএম ফয়সল চিশতী ও কাজী আবুল খায়ের, ঢাকা-১২ দেওয়ান আলী, ঢাকা-১৩ শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও নিসার উদ্দিন চৌধুরী (বিএনএ জোট), ঢাকা-১৪ মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, ঢাকা-১৫ সামছুল হক, ঢাকা-১৬ আসনে সুলতান আহমেদ সেলিম ও আমানত হোসেন আমানত।

ঢাকা-১৭ আসনে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ঢাকা-১৮ আসনে চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল ও জাকির হোসেন মৃধা। এই আসনে বিএনএ জোটের প্রার্থী হিসেবে আখতার হোসেনের নাম রয়েছে।

ঢাকা-১৯ বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, আবুল কালাম আজাদ ও কাজী মতিউর রহমান, ঢাকা-২০ আসনে রয়েছেন খান মোহাম্মদ ইস্রাফিল খোকন ও দেলোয়ার হোসেন মিলন।

গাজীপুর জেলা
রাজধানীর নিকটবর্তী জেলা গাজীপুর-১ আসনে খন্দকার আব্দুস সালাম ও শরিফুল ইসলাম শরিফ, গাজীপুর-২ এমএম নেওয়াজ উদ্দিন, অ্যাড মাহাবুব আল মামুন ও জয়নাল আবেদীন, গাজীপুর-৩ আজাহারুল ইসলাম সরকার ও মোতাহার হোসেন মানিক, গাজীপুর-৪ আজম খান, আরিফুর রহমান খান, আনোয়ার কবির ও সামছুদ্দিন খান, গাজীপুর-৫ জয়নাল আবেদীন, শিশির আজম ও মোশারাফ হোসেন।

নরসিংদী জেলা
নরসিংদী-১ আসনে শফিকুল ইসলাম শফিক, ওসমান গণি ভুঁইয়া (ইসলামী মহাজোট), নরসিংদী-২ আজম খান, এসকে কামরুল ইসলাম, আবু সাঈদ স্বপন, রফিকুল ইসলাম খান (বিএনএ জোট), নরসিংদী-৩ রেজাউল ইসলাম বাসেত ও আলমগীর কবীর, নরসিংদী-৫ মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সাত্তার ও মনির হোসেন।

মানিকগঞ্জ জেলা
মানিকগঞ্জ-১ আসনে সুলতান মাহমুদ, আলী কসর ও আরশেদ আলী (ইসলামী মহাজোট), মানিকগঞ্জ-২ সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মিজানুর রহমান মিরু ও আবুল কালাম আজাদ (ইসলামী মহাজোট), মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জহিরুল ইসলাম রুবেল, হাবিবুল্লাহ ও আব্দুল খালেদ খান (ইসলামী মহাজোট)।

নারায়ণগঞ্জ জেলা
নারায়ণগঞ্জ-১ সাইফুল ইসলাম ও কেএম আবু হানিফ হৃদয় (ইসলামী মহাজোট), নারায়ণগঞ্জ-২ জাতীয় যুব সমাজের সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটন ও কেএম আবু হানিফ হৃদয় (ইসলামী মহাজোট), নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, অ্যাড জিনাত ফেরদৌসা ঝুমা (ইসলামী মহাজোট), নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান, মিসেস পারভীন ওসমান ও জয়নাল আবেদীন।

মুন্সীগঞ্জ জেলা
মুন্সীগঞ্জ-১ প্রেসিডিয়াম সদস্য এরশাদের আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে জয়নাল আবেদীন, নোমান মিয়া, কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও শফিকুল ইসলাম খন্দকার (ইসলামী মহাজোট), মুন্সীগঞ্জ-৩ আব্দুল বাতেন ও গোলাম মোহাম্মদ রাজু।

টাঙ্গাইল জেলা
টাঙ্গাইল-১ মো. মঞ্জু, টাঙ্গাইল-২ সামছুল হক তালুকদার, টাঙ্গাইল-৩ অ্যাড. সুয়েত আলী, টাঙ্গাইল-৪ মোস্তাক আহমেদ, টাঙ্গাইল-৫ পীরজাদা শফিউল আলম মনির, আবুল কাশেম ও মোজাম্মেল হক, টাঙ্গাইল-৬ এমদাদ হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল আলম জহির ও নুরুল ইসলাম নুরু, টাঙ্গাইল-৮ কাজী আশরাফ সিদ্দিকী।

কিশোরগঞ্জ জেলা
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে এসএম মোস্তফা খান পাঠান, আশরাফ উদ্দিন রেনু, মোস্তাইন বিল্লা ও আব্দুল গণি, কিশোরগঞ্জ-২ সৈয়দ সাদরুল উল্লাহ মাজু, আবু সাঈদ, মো. খুররম জাহাঙ্গীর আলম সৈকত। কিশোরগঞ্জ-৩ বর্তমান এমপি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু, বিএনএ জোটের আনোয়ার হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ শেখ মোহাম্মদ আবু ওয়াহাব ও কাজী আফতাব, কিশোরগঞ্জ-৫ হোসাইন উদ্দিন হিরা, অ্যাড. আইয়ুব, তাজুল ইসলাম তোজ ভৈরবী ও কিশোরগঞ্জ-৬ আলহাজ আবু বক্কর সিদ্দিক ও এনকে সোহেল।

রাজবাড়ী জেলা
রাজবাড়ী-১ খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু, হাজী শাহাদত হোসেন মিল্টন, রাজবাড়ী-২ মোহাম্মদ আবুল হোসেন, এবিএম নুরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, রফিকুল শামীম ও মনোয়ার ই খোদা মন্টি চৌধুরী।

গোপালগঞ্জ জেলা
গোপালগঞ্জ-১ আব্দুল মান্নান শেখ মুন্নু, গোপালগঞ্জ-২ আলমগীর হোসেন ও কাজী শাহীন গোপালগঞ্জ-৩ মোঃ রঞ্জন ও নুর ইসলাম (ইসলামী মহাজোট)

ফরিদপুর জেলা
ফরিদপুর-১ আক্তারুজ্জামান খান ও কামরুজ্জামান, ফরিদপুর-২ মিয়া আলমগীর ও ফরিদুল রহমান শিপন, ফরিদপুর-৩ এসএম ইয়াহিয়া ও হাসিনা ইমরান চৌধুরী, ফরিদপুর-৪ আনোয়ার হোসেন ও শামসুল কবীর চৌধুরী (বিএনএ জোট)।

শরীয়তপুর জেলা
শরীয়তপুর-১ মাসুদ উর রহমান মাসুদ, শরীয়তপুর-২ শারমিন পারভীন লিজা ও সুলতান সরদার, শরীয়তপুর-৩ মম ওয়াসিম ও এমএ হান্নান।

মাদারীপুর জেলা
মাদারীপুর-১ জহিরুল ইসলাম মিন্টু, মাদারীপুর-২ সিরাজুল ইসলাম স্বপন, মাদারীপুর-৩ এমএ খালেক।

এই তালিকা প্রার্থীদের জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে করা হয়েছে। যদিও পার্লামেন্টারী বোর্ড প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে। তবুও খুব কম ক্ষেত্রেই এই তালিকার পরিবর্তন হতে পারে। এর ভেতর থেকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।

অন্য বিভাগের খসড়া তালিকা জানতে চোখ রাখুন বার্তা২৪.কমে

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;