বরিশাল-১: নৌকার প্রার্থী হাসানাত, ধানের শীষে একাধিক



সিদ্দিকুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বরিশাল-১ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

বরিশাল-১ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মনসামঙ্গলের অন্যতম কবি বিজয় গুপ্ত ও প্রসিদ্ধ দধির জন্য সারাদেশ জুড়ে পরিচিত বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী উপজেলা। আর এই দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-১ আসন। প্রায় ৩১৮ বর্গ কিলোমিটারের এই আসনে মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৫৭ হাজার ২২০ জন।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এই আসনটির পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। ইতোমধ্যে দুই উপজেলায় বেশ কয়েকটি দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা করতে দেখা গেছে।

তবে এই আসনটিতে প্রধান দুটি দলের শরিকদের কোনো আধিপত্য নেই। এখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ বিএনপি। দেশ স্বাধীনের পর বরিশাল-১ আসন (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) থেকে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধুর বোন জামাতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত।

নব্বই-পরবর্তী গণতান্ত্রিক যাত্রার শুরুতে ৯১’ ৯৬-এর নির্বাচনে ওই আসনটিতে জয়ী হন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছেলে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে ওই পরিবারের প্রভাব দীর্ঘদিনের। আর হাসানাতেই ভরসা স্থানীয় আওয়ামী লীগের। তাই দলে আর কেউ মনোনয়নও চাইছেন না।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক আবু সালেহ মো. লিটন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘আমাদের অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। শুধু এই আসন নয়, পুরো দক্ষিণাঞ্চলে তাকে ঘিরেই আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে। এছাড়াও এই আসনে তিনিই আমাদের একক প্রার্থী।’

বর্তমানে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পার্বত্য শান্তি চুক্তি কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ।

অপরদিকে এক সময়ের শক্ত ঘাঁটি গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার বিএনপি এখন কোণঠাসা। একে তো মামলা তার ওপর রয়েছে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল।

আগামীর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে আছেন উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল। এছাড়াও মনোনয়ন চাইবেন সংস্কার পন্থী হিসেবে বিএনপি দলের বিরুদ্ধে ঘুড়ে দাঁড়ানো এবং ফের দলে ফিরিয়ে আনা সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপন।

বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ জানান, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। প্রার্থীরা দলের নেত্রীকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাছাড়া এই আসনে অন্য যেকোনো দলের চেয়ে ভোটার ও জনসমর্থনে বিএনপি এগিয়ে। তাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির জয় নিশ্চিত।

দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের প্রসঙ্গে তিনি জানান, বড় দল হিসেবে একটু মতভেদ থাকতেই পারে। তবে এতে ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না। ভোটের আগে সব মতভেদ দূর হয়ে যাবে।

এদিকে সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এই আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি মাঠে সক্রিয় আছে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়ন প্রার্থীরা।

বরিশাল-১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এমপি প্রার্থী মো. রাসেল সরদার মেহেদী। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগৈলঝাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি। ইতোমধ্যে তার অস্তিত্ব জানান দিতে সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। পাশাপাশি করেছেন মোটরসাইকেল শো-ডাউনও।

এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করলে এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন- জাতীয় পার্টির (এরশাদ) ঢাকা দক্ষিণ শাখার সদস্য অ্যাডভোকেট সেকেন্দার আলী, জাপার কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম রহমান পারভেজসহ আরও কয়েকজন। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) বরিশাল জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল।

পরিসংখ্যান মতে, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মাহবুবকে পরাজিত করে এমপি হন আওয়ামী লীগের আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে পরাজিত করে এমপি হন বিএনপির প্রার্থী দলের তৎকালীন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এম জহিরউদ্দিন স্বপন। গত ২৮ বছরে এটিই ছিল হাসানাতের দুর্গে বিএনপির প্রথম সফল হানা।

এদিকে ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র অনুপস্থিতিতে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহানকে হারিয়ে এমপি হন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য মতে, একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বরিশাল-১ আসনে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫৭ হাজার ২২০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ১৭ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৮ হাজার ২০৩ জন। এছাড়াও এই আসনটির সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১১৫টি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২৪ হাজার ১৮০ জন। এই আসনে ভোটার বেড়েছে ৩৩ হাজার ৪০ জন।

   

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;

উপজেলা নির্বাচন: চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলার ভোট ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চতুর্থ ধাপে ৫৪ উপজেলার ভোট ৫ জুন

চতুর্থ ধাপে ৫৪ উপজেলার ভোট ৫ জুন

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ও শেষ ধাপে ৫৫ উপজেলায় আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচনে ভবনে ইসির ৩২তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম উপজেলা ভোটের চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণাপূর্বক বলেন, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে।

তিনি জানান, চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১ ৩ থেকে ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে।

ইসি সচিব বলেন, চতুর্থ ধাপের ভোটে ৯টি জেলায় ভোট হবে ইভিএমে। বাকিগুলোয় স্বচ্ছ ব্যালট ভোটগ্রহণ করা হবে।

;