পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট!



সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুমাত্রিক সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। হরহামেশা দেশে দেশে এ নিয়ে হইচই বেধেই থাকে। এ নিয়ে সরকার আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর যুক্তিতর্কও হয়ে ওঠে বৈশ্বিক। এমনই আলোচনায় সরব হয়েছে ভারত।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণু গোপাল। এ প্রসঙ্গে জাতীয় স্বার্থে সুপ্রিম কোর্ট ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের সন্ত্রাসী কাজের অনুসন্ধানের জন্য স্যোশাল অ্যাকাউন্টগুলোর সাথে ভারতের আধার কার্ডকে (ভারতের রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্র) সংযুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুতারোপ করেছে।

বিচারপতি দীপক গুপ্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে জ্যেষ্ঠ আইনি কর্মকর্তা বলেছেন, সাইবার অপরাধে জোর দেওয়া, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে স্যোশাল মিডিয়ার ব্যবহার, গুজব সন্ত্রাস, সহিংসতা, অশ্লীলতা প্ররোচনা- এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও শনাক্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য অভিযুক্ত অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের সব ধরনের তথ্য জানা প্রয়োজন।

তামিলনাড়ুতে ব্লু হোয়েল গেমের ক্ষতিকারক প্রভাবের প্রসঙ্গ তুলে বেণুগোপাল বলেন, স্যোশাল মিডিয়ার বিপদগুলোর মধ্যে ‘ব্লু হোয়েল’ গেম অন্যতম। এই গেমের কারণে অনেক প্রাণহানি হয়েছে। এখনও জানি না যে, এই গেমটির উদ্ভব কী উদ্দেশে হয়েছিল। এ ধরনের গেমের পেছনের মানুষগুলো কেন এমন গেম ছড়িয়ে দিয়েছে।

সামাজিক মিডিয়ায় আধার কার্ডের সংযোগ সম্পর্কিত বিভিন্ন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক এবং তার মালিকাধীন হোয়াটস অ্যাপের বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে বোম্বে, ওড়িশা ও মাদ্রাজের হাইকোর্টে।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুকুল রোহাতগি এবং কপিল সিবাল যুক্তি দিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের উচিত এ ধরনের আবেদন নিজের দায়িত্বে না নেওয়া। এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। যেহেতু বিষয়টি একটি নীতিগত বিষয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের সুস্পষ্ট মতামত না নিয়ে উচ্চ আদালতের এ ধরনের হস্তক্ষেপ করা অনুচিত। 

ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের আগে কেন্দ্র এই অবস্থান নিয়েছে যে তারা এই বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা বিবেচনা করছে। আমরা চাই না যে বিভিন্ন উচ্চ আদালত আমাদের বিভিন্ন ধরণের দিকনির্দেশনা দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করুক।

এ প্রসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ সূত্র বলেছে, তাদের বিনিময় বার্তাগুলো অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন পদ্ধতির। চাইলেই এসব তথ্যের মধ্যে প্রবেশ করা যায় না।

অন্যদিকে বেণুগোপাল যুক্তি দিয়েছিলেন, প্রতিটি একক বার্তার প্রবর্তক সম্পর্কে তথ্য দিয়ে হবে। বিশেষ করে সন্ত্রাসী কাজের উদ্দেশ্য ব্যবহৃত বার্তাগুলো সম্পর্কে জানার প্রয়োজন আছে।

এ বিষয়ে গঠিন বেঞ্চ আরও পর্যবেক্ষণ করেছে, ‘ডার্ক ওয়েব’ পরিচালিত গেম যেমন ব্লু হোয়েল সমাজের জন্য অনেক বেশি বিপজ্জনক। তবে একই সাথে বিচারপতি গুপ্তা বলেছেন, এ জাতীয় গেমের জন্য কিছু সুরক্ষার ব্যবস্থা এবং শর্ত থাকতে হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল প্রথমে হাইকোর্টকে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য চাপ দিলে আইনজীবী সিবাল এবং রোহাতগি বলেন, তড়িঘড়ি করে দেওয়া আদেশ আরও বেশি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবে।

এ বক্ত্যের প্রেক্ষিতে বেঞ্চ গুগল, টুইটার এবং ইউটিউবকে আনুষ্ঠানিকভাবে নোটিশ জারি করে। এ বিষয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করা হয়। 

এ বিষয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টকে মামলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সঙ্গে বলা হয়, আপাতত এ বিষয়ে দেশটির হাইকোর্ট চূড়ান্ত কোনো নির্দেশ জারি করবে না।

চলমান এ প্রসঙ্গে ভারতের সাইবার আইন বিশেষজ্ঞের পুনিত ভাসিন বলেন, ভুয়া খবর ঠেকানোর প্রবণতা রোধে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন দুর্বল। ভারতের এমন কোনো আইন নেই, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ইস্যুতে কাজ করতে বলা যায়। একমাত্র ভারতের দণ্ডবিধি অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি আইনে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। ডেটা স্থানীয়করণসহ ভারতের এ–সংক্রান্ত আইনটিকে আরও কঠোর করা উচিত। আর তা বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

কিছুদিন আগে ভারতের রাজ্য সভায় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেছিলেন, অপরাধ সংঘটন, ঘৃণা ছড়ানো, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে উসকানি দেওয়াসহ অর্থ পাচারে ইন্টারনেটকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে না দেওয়ার বিষয়ে আইন করা হবে।

ভারতে বিদেশি ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানকে ভারতের আইন ও বিচার বিভাগের কাছে যথাযথ দায়বদ্ধ থাকতে হবে। 

আইনে সংশোধন আনার পর তা টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, গুগল ও টেলিগ্রামের মতো বহুল জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। ভুয়া খবরের উৎস শনাক্ত করা, এনক্রিপশনের সুযোগ পাওয়া (এনক্রিপশন প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছাড়া আর কেউ তথ্যে প্রবেশ করতে পারে না), রাজনীতি ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে এমন বিষয়, শিশু হয়রানি ও প্রতিশোধমূলক পর্নো চিত্র ছড়ানোর অভিযোগে এসব যোগযোগমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘদিনের মতবিরোধ।

   

বাংলালিংকের আয় বেড়েছে ১৪.৪ শতাংশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, তাদের দুই অংকের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। অপারেটরটির বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলালিংক-এর এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এর ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, ‘ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০’ কৌশলের সঠিক বাস্তবায়ন, যার অর্থ হলো দিনের প্রতি মিনিটে গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকা এবং দেশব্যাপী নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ। এই কৌশলগত পদক্ষেপগুলো বাংলালিংককে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন মান প্রতিষ্ঠা করেছে।

সম্প্রতি, বাংলালিংক তার নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছে, তাদের মোট টাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজারের বেশি। বাংলালিংক-এর উচ্চ গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাগুলো এই ভালো ফল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলালিংক-এর গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ। সম্প্রতি বাংলালিংক-এর মূল কোম্পানি ভিওন প্রকাশিত ২০২৩ সালের বার্ষিক আয়ের প্রতিবেদন অনুসারে অপারেটরটির ফোর-জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২ কোটি ফোর-জি গ্রাহকের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

ইতোমধ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের মতো ক্ষেত্রে বাংলালিংক তাদের ডিজিটাল সেবার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বাংলালিংক-এর মাইবিএল সুপার অ্যাপ, দেশের টেলিকম খাতের প্রথম সুপার অ্যাপ যা অন্য মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরাও ব্যবহার করতে পারবে এবং যা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই বিস্তৃত ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের প্রাত্যহিক জীবনকে করে তুলে আরও সহজ।

গুগল প্লে স্টোর-এর লাইফস্টাইল বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, যা এর জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার উপযোগিতা প্রতিফলিত করে।

২০২৩-এ চতুর্থ প্রান্তিকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো, প্রায় আশি লাখ, যা ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বাংলালিংক-এর টফি বর্তমানে অডিও ও ভিডিও স্ট্রিমিং সংবলিত দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনোদন অ্যাপ্লিকেশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে গ্রাহকগণ টফি ব্যবহার করতে পারেন। দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে, বাংলালিংক গত চার বছরে বাংলাদেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’-হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে যা বাংলালিংক-এর ডেটা গ্রাহক বৃদ্ধিতে এটি বিশেষ অবদান রেখেছে।

বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, উদ্ভাবন, বিশ্বাস ও মানসম্মত সেবা প্রদানের কারণেই বাংলালিংক দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে, ডিজিটাল অপারেটর কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা খাতে আমরা আরও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। দেশব্যাপী ব্যাপক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সারা দেশে আমাদের কভারেজকে দ্বিগুণ করেছি। সবচেয়ে বেশি গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উন্নত ডিজিটাল সেবাগুলির মান আরও বাড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

;

ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন রায়হান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তার মতে, ‘এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

;

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটাকে আমরা চলমান রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছেন, এবং যুক্তরাজ্য সরকার ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করেছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন ।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলো হলো- স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সিটিজেন, এবং স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃবাণিজ্য, আন্তঃবিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ইনোভেশন, সাইবার সিকিউরিটি ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কমিউনিকেটিং স্কিল বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়েছে। যাতে করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা লাভবান হতে পারে। অতীতের মতো আগামীদিনেও আমরা এই জায়গাতে কাজ করতে চাই।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে মিলে আইটি সেক্টরের বিজনেস বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখবো এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করবে।

;

উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এর উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পটুয়াখালী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন।

এসময় পটুয়াখালী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগের নির্দেশ দেন তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনসাধারণকে "জীবন" সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। জুনের ৩০ এর মধ্যে যদি লাভজনকে না যাইতে পারেন তখন কিন্তু আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবো তখন আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ আছে। বসে বসে বাবুগিরি চলবে না কাজ করে খাইতে হবে। সরকারের এ অবস্থা নাই যে শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিবো। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনিও ৫ মাসের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগ দিতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক জীবন হবে বিটিসিএল এর লাইফ লাইন। ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।

এর আগে তিনি বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূরিয়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ অগ্রগতি পরিদর্শন করেন ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।

;