ইউরোপে বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স  পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের টার্গেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে শীর্ষস্থান অর্জনের পর ওয়ালটনের লক্ষ্য বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের ২০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। এবার টার্গেট ইউরোপে বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ। লক্ষ্য অর্জনে নেয়া হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের অফিস। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশ নিচ্ছে ওয়ালটন। এবার ইউরোপের বাজার টার্গেট করে জার্মানির চিলভেন্টা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিলো ওয়ালটন।

১৬ থেকে ১৮ অক্টোবর জার্মানির নূরেমবার্গ এক্সিবিশন সেন্টারে চিলভেন্টা ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, এসি অ্যান্ড ভেন্টিলেশন এবং হিট পাম্পস উৎপাদনকারী বিশ্বের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শিত হয়।

২০০৮ সালে প্রথম চিলভেন্টা ফেয়ার হয়। প্রতি দুই বছর পর পর আন্তর্জাতিক এই মেলা বসে। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ মেলায় অংশ নিয়েছিল বিশ্বের ৯৮১টি প্রতিষ্ঠান। চিলভেন্টার ইতিহাসে এবারই প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অংশ নিয়েছে ওয়ালটন।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ৬৩ শতাংশই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে আসেন। বাকি ইউরোপ থেকে আসেন ১৭ শতাংশ। এছাড়া, ১৫ শতাংশ আসেন অস্ট্রেলিয়া, এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে। আমেরিকা থেকে আসেন ৬ শতাংশ। মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নতুন ব্যবসায়িক ক্ষেত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, চিলভেন্টা ফেয়ারের ৭ নাম্বার হলে ছিলো ওয়ালটনের স্টল। যেখানে প্রদর্শিত হয় বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনারসহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। যার মধ্যে রয়েছে রেফ্রিজারেটরের ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ, ফিন টাইপ ইভাপোরেটর, ওয়্যার টাইপ ইভাপোরেটর, ফিল্টার ড্রায়ার, অ্যাকুমিলেটর, এমএস টিউব, ডোর সুইচ, এলইডি লাইট, পাওয়ার কর্ড, প্যাকেজিং আইটেম, কম্প্রেসরের কাস্টিং কমপোনেন্টস, এসির পিসিবি বোর্ড, ব্লোয়ার, ফ্যান ব্লেড, রিমোর্ট এবং স্ক্রু ইত্যাদি।

চিলভেন্টা ফেয়ারে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা ওয়ালটন স্টল পরিদর্শন করেন। উদ্বোধনী দিনে ওয়ালটন স্টলে আসেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ এবং কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী। তারা উচ্চমানের প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটনের সাহসী উদ্যেগের প্রশংসা করেন। তারা ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের ওয়ালটনকে স্বাগত জানান।

ওয়ালটন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের প্রধান (উন্নত দেশ) আবদুর রউফ জানান, ইউরোপের বাজারে রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনারের যন্ত্রাংশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারণ ইউরোপের বেশিরভাগ কোম্পানি নিজেরা কোনো যন্ত্রাংশ তৈরি করে না; বিভিন্ন দেশ থেকে যন্ত্রাংশ কিনে সংযোজন করে। যার ফলে ইউরোপে রেফ্রিজারেটর এবং এসির যন্ত্রাংশের বড় বাজার উন্মুক্ত রয়েছে। আর এই বাজার ধরতেই চিলভেন্টা ফেয়ারে অংশ নেয় ওয়ালটন।

তিনি আরো জানান, ওয়ালটন এখন বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামাল এবং কেমিক্যাল তৈরি করছে। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের রয়েছে নিজস্ব কম্প্রেসর কারখানা। সেখানে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের বিদ্যুত সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব কম্প্রেসর। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কম্প্রেসরের কাস্টিং পার্টস এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ তৈরির যন্ত্রাংশ রপ্তানি করছে ওয়ালটন।

ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার এবং কম্প্রেসরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আম্বিয়া জানান, ওয়ালটনের তৈরি কম্প্রেসরের যন্ত্রাংশ শতভাগ ইউরোপীয়ান স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী তৈরি। কারখানায় ইউরোপীয়ান প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ ব্যবহৃত হচ্ছে। যার ফলে ইউরোপে ওয়ালটনের তৈরি কম্প্রেসর এবং এর যন্ত্রাংশের ব্যাপক সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে। ওই বাজার টার্গেট করে ব্যাপক বিপণন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের নিজস্ব অফিস। যেখানে বাংলাদেশ থেকে তরুণ মেধাবী প্রকৌশলী এবং বিপণন কর্মীসহ ইউরোপীয় নাগরিকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক বিপণন নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে যুক্তরাজ্য, চীন এবং থাইল্যান্ডেও অফিস স্থাপন করেছে বাংলাদেশি এই প্রতিষ্ঠান।

ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও যন্ত্রাংশে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ একটি স্বপ্ন ছিল। ওয়ালটন সেই স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন পণ্য ও এর যন্ত্রাংশ। যার ফলে ব্র্যান্ডিং হচ্ছে বাংলাদেশের। আসছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এখন টার্গেট আমেরিকা, ইউরোপের মতো উন্নত বিশ্বে বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ। চিলভেন্টা ফেয়ারে ওয়ালটনের অংশগ্রহণ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদী। তার মতে, বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে বিশ্বের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের হাব বা কেন্দ্র।

 

   

বাংলালিংকের আয় বেড়েছে ১৪.৪ শতাংশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, তাদের দুই অংকের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। অপারেটরটির বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলালিংক-এর এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এর ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, ‘ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০’ কৌশলের সঠিক বাস্তবায়ন, যার অর্থ হলো দিনের প্রতি মিনিটে গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকা এবং দেশব্যাপী নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ। এই কৌশলগত পদক্ষেপগুলো বাংলালিংককে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন মান প্রতিষ্ঠা করেছে।

সম্প্রতি, বাংলালিংক তার নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছে, তাদের মোট টাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজারের বেশি। বাংলালিংক-এর উচ্চ গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাগুলো এই ভালো ফল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলালিংক-এর গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ। সম্প্রতি বাংলালিংক-এর মূল কোম্পানি ভিওন প্রকাশিত ২০২৩ সালের বার্ষিক আয়ের প্রতিবেদন অনুসারে অপারেটরটির ফোর-জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২ কোটি ফোর-জি গ্রাহকের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

ইতোমধ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের মতো ক্ষেত্রে বাংলালিংক তাদের ডিজিটাল সেবার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বাংলালিংক-এর মাইবিএল সুপার অ্যাপ, দেশের টেলিকম খাতের প্রথম সুপার অ্যাপ যা অন্য মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরাও ব্যবহার করতে পারবে এবং যা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই বিস্তৃত ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের প্রাত্যহিক জীবনকে করে তুলে আরও সহজ।

গুগল প্লে স্টোর-এর লাইফস্টাইল বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, যা এর জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার উপযোগিতা প্রতিফলিত করে।

২০২৩-এ চতুর্থ প্রান্তিকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো, প্রায় আশি লাখ, যা ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বাংলালিংক-এর টফি বর্তমানে অডিও ও ভিডিও স্ট্রিমিং সংবলিত দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনোদন অ্যাপ্লিকেশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে গ্রাহকগণ টফি ব্যবহার করতে পারেন। দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে, বাংলালিংক গত চার বছরে বাংলাদেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’-হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে যা বাংলালিংক-এর ডেটা গ্রাহক বৃদ্ধিতে এটি বিশেষ অবদান রেখেছে।

বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, উদ্ভাবন, বিশ্বাস ও মানসম্মত সেবা প্রদানের কারণেই বাংলালিংক দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে, ডিজিটাল অপারেটর কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা খাতে আমরা আরও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। দেশব্যাপী ব্যাপক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সারা দেশে আমাদের কভারেজকে দ্বিগুণ করেছি। সবচেয়ে বেশি গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উন্নত ডিজিটাল সেবাগুলির মান আরও বাড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

;

ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন রায়হান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তার মতে, ‘এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

;

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটাকে আমরা চলমান রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছেন, এবং যুক্তরাজ্য সরকার ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করেছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন ।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলো হলো- স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সিটিজেন, এবং স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃবাণিজ্য, আন্তঃবিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ইনোভেশন, সাইবার সিকিউরিটি ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কমিউনিকেটিং স্কিল বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়েছে। যাতে করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা লাভবান হতে পারে। অতীতের মতো আগামীদিনেও আমরা এই জায়গাতে কাজ করতে চাই।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে মিলে আইটি সেক্টরের বিজনেস বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখবো এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করবে।

;

উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এর উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পটুয়াখালী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন।

এসময় পটুয়াখালী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগের নির্দেশ দেন তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনসাধারণকে "জীবন" সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। জুনের ৩০ এর মধ্যে যদি লাভজনকে না যাইতে পারেন তখন কিন্তু আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবো তখন আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ আছে। বসে বসে বাবুগিরি চলবে না কাজ করে খাইতে হবে। সরকারের এ অবস্থা নাই যে শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিবো। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনিও ৫ মাসের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগ দিতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক জীবন হবে বিটিসিএল এর লাইফ লাইন। ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।

এর আগে তিনি বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূরিয়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ অগ্রগতি পরিদর্শন করেন ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।

;