চালাঘরে হরিজন শিশুদের পাঠশালা



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি. বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি. বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোট্ট চালাঘর, মেঝেতে বিছানো ত্রিপল। বই-খাতা নিয়ে পড়াশোনা করছে একদল শিশু। তাদের পড়াচ্ছেন কয়েকজন তরুণ-তরুণী। কচিকণ্ঠের পড়াশোনার আওয়াজ ধ্বনিত হচ্ছে চারপাশে।

বুধবার বিকালে গৌরীপুর পৌর শহরের হরিজন শিশুদের অস্থায়ী স্কুলের পাঠদানের চিত্র এটি। পাঠদান করছেন অনলাইনভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গৌরীপুর হেল্পলাইনের সদস্যরা।


স্কুল প্রাঙ্গণে কথা হয় সংগঠনের অ্যাডমিন ও মডারেটরদের সাথে। তাদেরই একজন এইচটি তোফাজ্জল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদান ও গৌরীপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্য দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে ২০১৯ সালের শুরুতে যাত্রা শুরু করে গৌরীপুর হেল্পলাইন। একদিন সংগঠনের মাসিক সভায় বন্ধু সাদমান প্রস্তাব দেন ঝরে পড়া হরিজন শিশুদের পাঠাদান করানো হবে। ওর কথায় সায় দেয় অন্যরাও। এরপর নিজেরাই কিছু টাকা সংগ্রহ করে স্কুলশিক্ষার কার্যক্রম চালু করি।’

চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০ জন হরিজন শিশু নিয়ে যাত্রা শুরু হয় স্কুলশিক্ষা কার্যক্রমের। সপ্তাহের শুক্র ও বুধবার পাঠদান দেওয়া হয়। শিক্ষকতার দায়িত্ব পান হেল্পলাইনের অ্যাডমিন ও মডারেটররা। স্কুলের আসবাবপত্র, বেঞ্চ, টেবিল কিছু না থাকায় মেঝেতে ত্রিপল বিছিয়ে একটি ব্ল্যাকবোর্ডে চলে হরিজন শিক্ষার্থীদের পাঠদান। স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত করার জন্য বিনামূল্যে বিস্কুট, খাতা-কলম দেওয়া হয় হেল্পলাইনের পক্ষ থেকে। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারহানা করিম সরকারি বইয়ের ব্যবস্থা করেছেন।

হেল্পলাইনের অ্যাডমিন মোস্তাকিম আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘নানা সংকট ও সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করে হরিজন শিশুদের পাঠদান করছি। কিন্তু নিজস্ব ঘর না থাকায় পাঠদানে সমস্যা হয়। সরকার বা সমাজের বিত্তবানরা যদি একটি ঘর করে দেন তাহলে শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল হবে।’

স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, হেল্পলাইনের স্কুলে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বয়স ৫-১০ বছর। তাদের বেশিরভাগ বর্ণ বৈষমে্যর শিকার হয়ে স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে। তাই এখানে পড়াশোনার সুযোগ হওয়ায় তারা আনন্দিত।

শিক্ষার্থী মুন্না বাঁশফোড় জানাল, ‘ঘোষপাড়া স্কুলে পড়তে গেলে সহপাঠীরা মেথর কইয়্যা গালি দিত। বেঞ্চে বইতে দিত না। তাই ইশকুলে যাওয়া ছাইড়া দিছিলাম। অহন এই ইশকুলে আইয়্যা নাম লিখা শিখছি।’

মুন্নার কথা শেষ না হতেই শিক্ষার্থী রুপা বাঁশফোড় বলল, ‘স্যার, আমি ছড়া শিখছি। শুনবেন?’ অনুমতির অপেক্ষা না করেই সুফিয়া কামাল রচিত ‘ইতল বিতল’ ছড়াটা আবৃত্তি করতে শুরু করল।

রুপার দিকে ইঙ্গিত করে সংগঠনের মডারেটর মালবিকা সুক্তি বলেন, ‘রুপাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় বেশ আগ্রহ আছে। কিন্তু আমরা ওদের অক্ষরজ্ঞান শেখাচ্ছি। ওদের এগিয়ে নিতে হলে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।’

ফেরার সময় হরিজন সম্প্রদায়ের সর্দার রঙিলা বাঁশফোড় বলেন, ‘হেল্পলাইন স্কুলে শিশুরা পড়াশোনা করতে পারায় আমরা খুশি। কিন্তু আমাদের জন্য আলাদা স্কুল কিংবা সরকারি স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ নিশ্চিত করলে আমরা আরো খুশি হব।’

জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘হরিজন শিশুদের শিক্ষার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি শিশুকল্যাণ স্কুল প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;