৩২৭৫০ মানুষের বিপরীতে একজন চিকিৎসক!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নাটোর
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার। এই জনসংখ্যার সেবায় স্থানীয় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল, যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এতে প্রাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪টি পদ থাকলেও বর্তমানে চিকিৎসক আছেন মাত্র ৪ জন। ফলে গড়ে ৩২ হাজার ৭৫০ জন মানুষের বিপরীতে চিকিৎসক মাত্র একজন। চিকিৎসক-জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকটের মধ্যেই মেডিকেল অফিসার নাজমুল হাসানকে সম্প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বদলি করা হয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে রোগীরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ জন রোগী ভর্তি থাকে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৫০০-৫৫০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। মোট ১৪টি পদের বিপরীতে মাত্র ৪ জন চিকিৎসক সেবা প্রদান করছেন।

তারা হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেল, মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ ও মেডিকেল অফিসার নাজমুল ইসলাম। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে আরও ৪ জন চিকিৎসকের পদায়ন থাকলেও বিভিন্ন কারণে তারা হাসপাতালের বাইরে রয়েছেন। তাদের মধ্যে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ইয়াসের আরাফাত ছয় বছর ও মেডিকেল অফিসার মোফাজ্জল শরিফ সাড়ে চার বছর ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই দুটি পদে কাউকে নিয়োগ প্রদান করা যাচ্ছে না।

আর প্রেষণে (ডেপুটেশন) রয়েছেন গাইনি ও ডেন্টাল সার্জন পদের দুই চিকিৎসক। এনেসথেসিয়া পদটি দীর্ঘদিন ধরে খালি। শিশু, চক্ষু এবং অর্থপেডিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনো চিকিৎসক নেই। এছাড়াও ১৭টি স্বাস্থ্য সহকারীর পদের বিপরীতে রয়েছেন ১২ জন, ১৬ জন নার্সের বিপরীতে রয়েছেন ১৩ জন, অফিস সহকারীর ৩টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ১ জন। এছাড়া পরিসংখ্যানবিদ ও টেকনিশিয়ানের দুইটি পদ শূন্য রয়েছে।

শিশু, চক্ষু এবং অর্থপেডিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকায় রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। হাসপাতালটিতে এক্স-রে মেশিন থাকলেও তা দুই বছর ধরে অকেজো। দুটি ইসিজি মেশিন থাকলেও সেগুলো ঠিকমতো কাজ করে না। এছাড়া আসবাবপত্র ও বিভিন্ন বিভাগে যন্ত্রপাতির সংকটও রয়েছে।

স্থানীয় সাইলকোনা গ্রামের ইদ্রীস আলী ও আব্দুস সালাম জানান, হাতেগোনা কিছু রোগের পরীক্ষা করা হয় এই হাসপাতালে। তবে এখানে জটিল কোনো রোগের পরীক্ষা করা হয় না।

দায়ারামপুর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিতে আসায় চিকিৎসকরা সময় দিতে পারেন না। কোনো রকমে সমস্যা শুনে ওষুধ লিখে দেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, মাত্র ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু চিঠির কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। চিকিৎসক সংকটের পরও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডা. নাজমুল ইসলামের বদলির আদেশ হয়েছে। এই বদলির আদেশ বাতিলের জন্য আবেদনও করা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। অচিরেই সংকট কেটে যাবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;