বিদ্যুৎ সংযোগ নেই তবুও অবৈধ সংযোগ মামলার আসামি



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার পরও অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগে রিপন মিয়া নামের এক শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুই বছর আগে নিজের নামে মামলা হলেও বিষয়টি জানতেন না রিপন। সম্প্রতি পুলিশ পরোয়ানা নিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে। এরপর মামলার বিষয়টি জানতে পারেন রিপন। বর্তমানে তিনি মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে বিদ্যুৎ বিভাগ ও আদালতে দৌড়ঝাঁপ করছেন।

রিপন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের চরহোসেনপুর গ্রামের একরাম হোসেনের ছেলে। তিনি নরসিংদীর একটি টেক্সটাইল মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।

জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি)। পিডিবি কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালে শেষের দিকে রিপন মিয়াকে আসামি করে ময়মনসিংহ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির বাদী হন বিদ্যুৎ বিভাগের শম্ভুগঞ্জ কার্যালয়ের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, রিপন মিয়া একজন বৈধ বিদ্যুৎ গ্রাহক। যার হিসাব নম্বর দেখানো হয়-৩০৬৫/৩১৬৪। ওই হিসাবের অনুকূলে সেপ্টেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সর্বমোট ৩৯ হাজার ৮৬৯ টাকা বকেয়া থাকায় ২০ আগস্ট ২০১৭ সালে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে স্ব-উদ্যোগে সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করায় ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ সরবরাহের অভিযানের সময় হাতেনাতে ধরা হয়। তাৎক্ষণিক সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। গ্রাহক অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় এক হাজার ৫০ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়। উদ্বুত পরিস্থিতিতে বিল আদায়সহ ক্ষতিপূরণ আদায়ের নিমিত্তে রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনের ৩৯ (ক) ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মামলাটি করা হয়।

এদিকে পরিবারের অভিযোগ রিপন মিয়ার নামে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎ বিভাগেও রিপনের নামে সংযোগের কোনো নথি নেই। তবে রিপনের মা আম্বিয়া খাতুনের নামে একটি সংযোগ রয়েছে। সংযোগটি আগে রিপনের বাবা একরাম হোসেনের নামে ছিল। কিন্তু চরহোসেনপুর গ্রামে পাশাপাশি দু’জন একরাম হোসেন হওয়ায় বিদ্যুৎ বিলের কাগজ নিয়ে জটিলার মধ্যে পড়তে হয়। তাই আম্বিয়া খাতুন নিজের নামে সংযোগটি স্থানান্তর করে নেন। তাদের কোনো মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়াও নেই।

রিপনের মা আম্বিয়া খাতুন জানান, ছেলের নামে বিদ্যুৎ বিভাগের মামলার খবর জেনে বিদ্যুৎ বিভাগ ও আদালতে দৌঁড়ঝাপ করে কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু তার ছেলের নামে সংযোগ না নিলেও কিভাবে তার ছেলের নামে মামলা হয়েছে তার উত্তর পাচ্ছেন না কোথাও।

রিপনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমীন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমার স্বামীকে বিনা অপরাধে মামলায় জড়িয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। পুলিশের ভয়ে তিনি এখন বাড়িতে আসতে পারছেন না। তবে বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি ‘

এদিকে, গ্রেফতারের ভয়ে রিপন তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ রেখেছেন। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ঈশ্বরগঞ্জ (পিডিবি) আবাসিক প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত ধর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টির সাথে কর্মকর্তা কর্মচারীদের গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;