বাল্যবিয়ের দুই মাস পর মা-ছেলের কারাদণ্ড
১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বিয়ে করে দুই মাস যাবৎ সংসার করে আসছেন রনি (২২) নামের এক যুবক। এরপর সেই খবর পেয়ে রনির বাড়িতে উপস্থিত হন, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আইরিন আক্তার।
বিয়ের যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এবং বাল্যবিয়ের দায়ে বর রনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ইউএনও। সেই সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে উপস্থিত থেকে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করায় বরের মাকেও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন তিনি।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের ঘিওরে এই অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও আইরিন আক্তার।
এ বিষয়ে আইরিন আক্তার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, চলতি বছরের জুন মাসের ১২ তারিখে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে (মেয়েকে) বিয়ে করেন বলে দাবি করেন রনি। তবে তার কোনো যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি। পরে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ওই শিশুর দুলাভাইয়ের নিকট দেওয়া হয়।
অপরদিকে বাল্যবিয়ের দায়ে রনি ও তার মাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।