গড়াই নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-কৃষি জমি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঝিনাইদহ
গড়াই নদীর ভাঙনের কবলে বসতভিটা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

গড়াই নদীর ভাঙনের কবলে বসতভিটা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গড়াই নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে ছয়টি গ্রাম। এই ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বাড়ি-ঘর, মসজিদ, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। বছরের পর বছর ধরে এই নদী ভাঙছে কিন্তু তা রোধে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন নদী তীরের মানুষ।

সরেজমিনে জানা গেছে, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড়ুলিয়া, কৃষ্ণনগর, মাদলা, মাঝদিয়া, উলুবাড়িয়া ও নলখোলা গ্রামে প্রতিনিয়ত নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি ও জমি। এক সময় এখানে ছিল চাষের জমি, ছিল রাস্তা ঘাট।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565443984615.jpg

গত কয়েক বছরের নদী ভাঙনে এসব গ্রামের কয়েক হাজার বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বসতবাড়ি হারিয়ে ছিন্নমূল হয়েছেন গ্রামের প্রায় আশি ভাগ মানুষ। ২০১২ সালে ভাঙন রোধে কিছু অস্থায়ী কাজ করা হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ সময় পেরোলেও ভাঙন রোধে নেওয়া হয়নি কোনো অস্থায়ী বা স্থায়ী ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: জাগ দেওয়ার পানির অভাবে ঝিনাইদহে চিন্তিত পাটচাষিরা

চলতি মৌসুমে নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। কোথাও ফসলি জমি, আবার কোথাও বসতভিটা বা মসজিদ ভেঙে যাচ্ছে। প্রতিদিনই পাল্টাচ্ছে ভাঙনের চিত্র। অনেকেই বসতভিটা হারিয়ে পাশ্ববর্তী জিকে সেচ খালের জমিতে আবার কেউ সব হারিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন অন্যত্র।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565444021036.jpg

বড়ুলিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল খান জানান, কয়েক বছর ধরে এ গ্রামের চার ভাগের তিন ভাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ওয়াপদা থেকে লোক আসে। এমপি ও মন্ত্রী সবাই আসে, কিন্তু কাজ হয় না। কয়েক বছর আগে কিছুটা বাঁধ দিয়েছিল তাতেও কোনো কাজ হয়নি। এবার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তাই বাঁধ নির্মাণ করা খুবই জরুরি।

আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ভেঙে পড়লো নির্মাণাধীন ব্রিজের গার্ডার

একই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত রফি উদ্দিন জানান, আট বছর আগেও তার আবাদি জমি ছিল প্রায় ১০ বিঘা। গড়াই নদীতে ভাঙন শুরু হওয়ার পর বছরের পর বছর সব নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শেষ সম্বল ছিল বসত বাড়ি। এবারের ভাঙনে সেটিও আর নেই। এখন পরের জমিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনো রকম দিন কাটছে। দ্রুত এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ জরুরি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565444035100.jpg

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান সুজন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে আমরা জরুরি প্রস্তাব প্রেরণ করছি। গত মার্চ মাসে একটি প্রকল্প ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাস হলেই শিগগিরই কাজ শুরু হবে।’

এদিকে, জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ভাঙনের কবলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের ত্রাণসহ আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, গড়াই নদী ঝিনাইদহের শৈলকুপা অংশে প্রায় ২২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রবাহিত। আর এই এলাকার মধ্যে ছয়টি গ্রামে প্রায় ৩০ হাজার লোকের বসবাস। গত ১০ বছরে প্রায় ৩ হাজার বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;