ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের মুখে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ), বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ঈশ্বরগঞ্জে নদী ভাঙনে দুর্ভোগে মানুষ/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ঈশ্বরগঞ্জে নদী ভাঙনে দুর্ভোগে মানুষ/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচরের নতুন চর গ্রামে ব্র‏‏‏হ্মপুত্র নদের ভাঙন ও পানি বৃদ্ধিতে দুর্ভোগে পড়ছেন গ্রামবাসী। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন তিন শতাধিক পরিবার। গত কয়েকদিনে ১৪টি পরিবারের বসতবাড়ি নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে আরও অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি।

অপরদিকে নদে বিলীন হওয়ায় ভিটেমাটি ছেড়ে দুর্গত মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন। অনেকে পানির মধ্যে কষ্টে জীবনযাপন করলেও ভিটে ছাড়তে চাইছেন না। এলাকাবাসী জানান, ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙতে ভাঙতে ঈশ্বরগঞ্জ ও গৌরীপুর উপজেলা সীমানালগ্ন এলাকায় এসে গতিপথ পরিবর্তন করে মরিচাররের নতুন চর এলাকায় ঢুকে পড়েছে। অচিরেই ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদ খনন করে গতিপথ মূলধারায় মিলিয়ে না দিলে নতুন এলাকায় ভাঙন ঠেকানো যাবে না। আর ভাঙন ঠেকানো না গেলে গ্রামটি বিলীন হয়ে যাবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/28/1564336132618.jpg

জানা গেছে, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর নতুনচর গ্রামটি ব্রহ্মপুত্র নদঘেঁষা। প্রতিবছর নদের ভাঙন ও বন্যার পানির সাথে লড়াই করে এখানে প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবারের তিন হাজারের মতো মানুষ বসবাস করছেন।

রোববার মরিচারচরের নতুন চর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙতে ভাঙতে গ্রামবাসীর ঘরের দুয়ারের সামনে চলে এসেছে। ইতোমধ্যে নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে গ্রামের শহীদুল্লাহ, আজিজুল হক, শাহীন মিয়া, আমান উল্লাহসহ অন্তত ১৪ জনের বসতভিটা। ভাঙনের আশঙ্কায় ঘরবাড়ি ও গাছপালা ও গবাদি পশু অনত্র সরিয়ে নিচ্ছেন এলাকাবাসী। নদে বড় নৌকা দেখলেই ত্রাণের আশায় পানি ভেঙে ছুটছেন তারা।

অপরদিকে নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন নদঘেঁষা গ্রামের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। অনেকেই ভিটেমাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। ভাঙনের হুমকিতে থাকা মরিচারচর-উচাখিলা সড়কটিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষার কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/28/1564336155941.jpg

বর্না কবলিত পরিবার সদস্যরা জানান, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে রুমানা তুয়া ভাঙন কবলিত এলাকা পরদির্শন করে পৃথকভাবে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। কিন্তু সেটা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

মরিচারচর নতুনচর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, ‘গত ১১ দিন ধরে পানিবন্দী হয়ে আছি। অনেকের ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিলিন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে অনেক পরিবার।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ইতোমধ্যে নদে ড্রেজিং করার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। নদটি ড্রেজিং করে মূল স্রোতে ফিরিয়ে নিলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে। এছাড়া যাদের ঘরবাড়ি নদে বিলিন হচ্ছে তাদের বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;