নাটোরে আমের বাজার ক্রেতাশূন্য, দামও কম



নাইমুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নাটোর, বার্তা২৪.কম
আম নিয়ে অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ী / ছবি: বার্তা২৪

আম নিয়ে অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ী / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশাসন থেকে সংগ্রহের সময় বেঁধে দেওয়ায় নাটোরের বাজারে এক সঙ্গে এসেছে তিনটি জাতের আম। এ প্রতিযোগিতায় আম হারিয়েছে দাম আর বাজার হারিয়েছে ক্রেতা। আমের দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। কম দামে কেনা এসব আম ফেরি করে বিক্রি করতে গিয়েও একই দশা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। 

এদিকে, গত বছর থেকে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে আম পাড়তে গিয়ে আর লাভের মুখ দেখেনি এখানকার আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এ বছরও লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা তাদের। তাই আম উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে প্রশাসনিক সময়সীমা কোনো সুফল বয়ে আনছে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে তারা সকরারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।

জানা যায়, নাটোর জেলা প্রশাসন গত ১৫ মে থেকে আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দেয়। সে অনুযায়ী বাজারে এখন পর্যন্ত গুটি আম, হিমসাগর, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগ ও নাকফজলি আমের সরবরাহ থাকার কথা থাকলেও নেই লক্ষণভোগ ও নাকফজলি আম। আগামী ২৫ শে জুলাইয়ের মধ্যে বাজারে আসার অপেক্ষায় আছে আম্রপালি, বারি-৪, আশ্বিনা ও গৌরমতি আম।

স্থানীয় আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমনিতেই চলতি মৌসুমে আমের উৎপাদন বেড়েছে নাটোরে। তার উপর একাসঙ্গে বাজারে আসায় সরবরাহ আধিক্যে আমের বাজার নিম্নমুখী। বাজারে আমের মধ্যে ল্যাংড়া ও গুটি আম বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় ও হিমসাগর ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। তবে এসব আম ফেরি করে এলাকা ঘুরে ঘুরে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করছে মৌসুমি বিক্রেতারা।

আমের দাম পড়ে যাবার কারণ হিসেবে চাষিরা বলছেন, রমজান মাসের শেষদিকে একসঙ্গে বাজারে সব আম আসায় মৌসুমে ব্যবসার শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছেন তারা। ক্রেতা না থাকায় আম গাছেই পাকে তখন। এভাবে নিম্নদরে আম বিক্রি শুরু হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন আম চাষিরা।

বুধবার (১০ জুন) বাগাতিপাড়া থেকে নাটোর রেলস্টেশন বাজারে আম নিয়ে আসা চাষি খয়ের উদ্দীন বার্তা২৪.কমকে জানান, স্থানীয় বাজারে ক্রেতার অভাবে ফলন ভালো হওয়া সত্বেও শহরে এনে আম বিক্রি করতে হচ্ছে।

নলডাঙ্গার মাধনাগর গ্রামের অরেক আম চাষি রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, বেধে দেওয়া সময়ে সংগ্রহের পরও বিক্রি না হওয়ায় আম পেকে পেকে পচে যাচ্ছে। তাই পাকা আমগুলো শুকিয়ে আমতা তৈরি করেছেন তিনি।

একই দিন শহরের বড়গাছা পালপাড়া এলাকায় ফেরি করে ক্যারেটভর্তি আম বিক্রি করতে দেখা যায় মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। হাফিজুল ইসলাম নামের একজন ব্যবসায়ী বার্তা২৪.কম বলেন, ‘এবার মানুষ আম খাচ্ছে কম। কিন্ত বাজারে আম প্রচুর। মানুষের দোরগোড়ায় এনেও আম কেনাতে বেগ পেতে হচ্ছে।’

গুরুদাসপুর উপজেলার মজারাজপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মেরাজ উদ্দীন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রশাসনিক সময়সীমায় আম উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে কোনো সুফল বয়ে আনছে না। ক্রেতারাও আম কিনছেন না। ফলে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা দরকার।’

আম-লিচুর সর্ববৃহৎ মোকাম নাটোর স্টেশন বাজারের আম ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে বাজারে আমের সরবরাহ অনান্যবারের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। রোজার মাঝামাঝি সময় আম বাজারে আসায় বিক্রি কম ছিল। এখন আমের সরবরাহ পর্যাপ্ত কিন্ত ক্রেতা কম হওয়ায় দামও কম।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;