একমুঠো খাবার জোগাতে লতিফের পথচলা



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লক্ষ্মীপুর, বার্তা২৪.কম
একমুঠো খাবার জোগাতে থেমে নেই লতিফের পথচলা। ছবি: বার্তা২৪.কম

একমুঠো খাবার জোগাতে থেমে নেই লতিফের পথচলা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হরেক মাল বিক্রেতা আবদুল লতিফ। ৬০ বছর বয়সেও একমুঠো খাবার জোগাতে নিয়মিত যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। শরীরে তার বয়সের ছাপ পড়লেও থেমে নেই পথচলা। তিনি ব্যবসার উদ্দেশে হেঁটে বেড়াচ্ছেন গ্রামের পর গ্রাম।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় লতিফ মিয়ার দেখা মিলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন গ্রামে। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে কাঁধে প্লাস্টিকের আসবাবপত্র, খেলনা ও বিভিন্ন প্রসাধনী ভরা ঝুড়ি নিয়ে ফিরছেন। ওই সময় কথা হয় তার সঙ্গে।

হরেক মাল বিক্রি করতে গিয়ে নিজের জেলা কুষ্টিয়া থেকে অনেক দূরের গ্রামগুলো এখন তার চিরচেনা। নাম অজানা অনেক গ্রামই পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেছেন। ব্যবসার খাতিরে প্রতিদিনই নানা রকম মানুষের সঙ্গে কথা হয় তার। ভাষা বাংলা হলেও আগে আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহার করে কথা বলতেন। তবে এখন তিনি শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করেন। যেন তার কথা বুঝতে ক্রেতাদের কষ্ট না হয়।

জানা গেছে, জীবনের শুরুতে আবদুল লতিফ বাপ-দাদার ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। তাদের তাঁত ব্যবসা ছিল। নানা প্রতিকূলতায় এক সময় ব্যবসাটি ধরে রাখতে পারেননি তারা। প্রায় ১০ বছর আগে ব্যবসাটি হারিয়ে তিনি দুই বছর ঢাকার একটি কারখানায় সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেছেন।

সেখান থেকে ফিরে প্রায় ৮ বছর ধরে প্লাস্টিকের আসবাবপত্র, খেলনা ও হরেক রকম প্রসাধনী বিক্রি করে আসছেন তিনি। একটি কাঠের দণ্ডের দুই মাথায় দুটি ঝুড়ি ঝুলিয়ে কাঁধে নিয়ে গ্রামের পর গ্রাম হেঁটে হেঁটে চলছে তার ব্যবসা।

আবদুল লতিফ কুষ্টিয়া জেলার কোয়ারখালী থানা এলাকার মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে। তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়েটি এবার এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আর ছেলেরা দিনমজুর।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/22/1548137460369.jpg

একজন সরদারের অধীনে তারা অনেকজন এ ব্যবসাটি করেন। ওই সরদারের নেতৃত্বেই দেশের বিভিন্ন জেলায় তারা ব্যবসার উদ্দেশে গমন করেন। যখন যে এলাকায় ব্যবসা করতে যান সেখানকার একটি স্কুলঘর খুঁজে নেন রাত কাটানোর জন্য। স্কুলের বারান্দাতেই দলবদ্ধ হয়ে তারা রাতটুকু কাটিয়ে দেন।

কথা বলে জানা গেছে, ব্যবসার জন্য আবদুল লতিফের মূলধন হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। প্রতিদিন প্রায় ১৫শ থেকে দুই হাজার টাকা বিক্রি হয়। এ বয়সে অনেক কষ্ট হলেও সংসারের তাগিদে তাকে ব্যবসাটি করতে হচ্ছে। তার ঝুড়িগুলোতে থাকা আসবাবপত্রের সর্বোচ্চ মূল্য ৫০ টাকা ও সর্বনিম্ন হচ্ছে চুলে লাগানো ৫ টাকার ক্লিপ।

জানতে চাইলে আবদুল লতিফ বলেন, ‘আমরা একজন সরদারের অধীনে ব্যবসাটি করে আসছি। তাকে আমরা নেতা মানি। তিনি যখন যেখানে বলেন সেখানেই যেতে হয় আমাদের। ঢাকা থেকে আমাদের জন্য মালামালগুলো তিনিই কিনে আনেন।’

বাইরের জেলায় গিয়ে ব্যবসা করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এসব ব্যবসা ভালো হয় না। এদিকে ব্যবসাটি ভালো হয়। ভালো দামও পাওয়া যায়।’

সংসার ছেড়ে এতো দূরে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল লতিফ বলেন, ‘বউ, ছেলে-মেয়ের জন্য খারাপ লাগে। তবুও করার কিছু নেই। সংসারের খরচ চালাতে হলে উপার্জন করতে হবে। আর সংসারের খরচের জন্য প্রতিমাসে বাড়িতে টাকা পাঠাই। এছাড়া দুইমাসে একবার বাড়িতে গিয়ে ৪-৫ দিন থেকে আসি।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;