আ'লীগ কর্মীর চোখ উপড়ে ফেলায় ৩ বিএনপি কর্মীর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর চারঘাটে মিনারুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীর চোখ উপড়ে ফেলার মামলায় তিন বিএনপি কর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন আদালত।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চারঘাট উপজেলার শাহিন, ফারুক ও মানিক। রায়ে শাহিনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আর ফারুক ও মানিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতাল কর্মসূচির সময় আসামি শাহিন ও ১৬ জন বিএনপি-জামায়াত কর্মীসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বামনদীঘি বাজারে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। আওয়ামী লীগ কর্মী মিনারুল ওই বাজারে ঢুকলেই আসামিরা চারদিক থেকে ঘিরে মারধর করতে থাকে। এ সময় আসামি শাহিন ধারালো রামদা দিয়ে মিনারুলের কপালে আঘাত করলে মিনারুলের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।

মিনারুলকে আশেপাশের লোকজন প্রথমে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ইনফেকশন হওয়ার শঙ্কায় তার ওই চোখ তুলে ফেলতে হয়। এ ঘটনায় শাহিনসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৬ জনের বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ মে মামলাটিতে আসামি শাহিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

চিকিৎসক ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে সাজা ভোগের জন্য জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আহসান হাবিব রঞ্জু এবং আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট হযরত আলী।

   

ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল



কল্লোল রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নান ও মেলা উপলক্ষে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ব্রহ্মপুত্র নদে এ পূণ্যস্নান সম্পন্ন করেন। উপজেলার রমনা নদী বন্দর এলাকার থেকে জোড়গাছ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এবারের অষ্টমীর স্নান ও মেলার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার(১৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত স্নানের উত্তম লগ্ন থাকলেও দিনব্যাপী স্নান ও মেলা চলবে।

ঐতিহ্যবাহী চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে মহাষ্টমীর স্নান মেলা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪০০ বছর থেকে চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে পূণ্যতোয়া খ্যাত ব্রহ্মপুত্র নদের স্নান পর্ব চলে আসছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পুণ্যার্থীদের থাকার জন্য উপজেলার প্রায় ২২টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে।


এছাড়াও পুণ্যার্থীদের স্নান পরবর্তী পোশাক পরিবর্তনের জন্য এবং রাত্রী যাপনের জন্য ৪৪টি অস্থায়ী বুথ করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের পূজাপর্বের জন্য প্রায় দুই শতাধিক ব্রাহ্মণ পূজারি দায়িত্ব পালন করবেন।

হিন্দুধর্ম মতে চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে পূণ্যতোয়া খ্যাত ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করলে ভক্তের সমস্ত পাপ ধুয়ে মুছে যায়। পাপমোচনের অভিপ্রায়ে তাই প্রতি বছর জেলা ও জেলার বাইরে থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থী ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করতে আসেন। এবারের স্নানের তিথি ভোর সাড়ে ৪টায় শুরু হওয়ায় দূরের পুণ্যার্থীগণ একদিন পূর্বে চিলমারী আসেন। তারা চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কেউ কেউ আবার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিচ্ছিন্নভাবে বিছানা করে রাত্রী যাপন করেন।

দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলা থেকে ক্ষেত্রমোহন রায় (৬২) এসেছেন ব্রহ্মপুত্র স্নানে। কথা হয় তার সাথে, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চিরিরবন্দর উপজেলার ভূষিরবন্দর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে স্ত্রী সন্তানাসহ রওনা দিয়েছিলেন। দিনাজপুর শহর থেকে অষ্টমীর স্নানের জন্য ৯টি বাসে করে তারা প্রায় সাড়ে ছয়’শো জন পুণ্যার্থী চিলমারী আসেন। হাজারো পুণ্যার্থীর ভিড় ঠেলে চিলমারী রাজারভিটা স্নানঘাটে পৌঁছাতে তাদের প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

তিনি বলেন, ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সাথে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করতে আসতাম। বয়স হয়েছে, এবছর নিজের স্ত্রী, সন্তান, নাতি-নাতনিসহ পূণ্যতোয়া ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করতে এসেছি। এটি উত্তরাঞ্চলের সবথেকে বড় স্নানোৎসব। ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করলে সব ধরণের পাপমোচন হয়। পাপমোচনের আশায় এতদূর থেকে কষ্ট করে এসেছি।


মাধবী লতা (৩৫) পিকআপ ভ্যানে করে স্বামী ও শাশুড়িসহ লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে এসেছেন। বিকেলে কালিগঞ্জ থেকে রিজার্ভ পিকাপ ভ্যানে রওনা দিলেও চিলমারী পৌঁছান রাত ১২টার পর।

তিনি জানান, স্বামীর বাতাসার দোকান। ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমীর স্নান উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ঢল নামে। স্বামী একাই দোকানের ভিড় সামলাতে পারে না। তাই শাশুড়িসহ এসেছি। ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করব আর স্বামীর ব্যবসায় একটু সহযোগিতা করব। রথ দেখা কলা বেচা একসাথেই হবে।

ঐতিহ্যবাহী চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে মহাষ্টমীর স্নান মেলা উদযাপন কমিটি ও পূজা কমিটির সদস্য শ্রী শ্যামল কুমার বর্মণ বলেন, অষ্টমীর স্নান সনাতন ধর্মালম্বীদের হলেও এখন এটি চিলমারী উপজেলাবাসীর ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। পার্শ্ববর্তী ভারত থেকেও কিছু পুণ্যার্থী এসেছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ,আনসার বাহিনী ও জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন পুণ্যার্থীদের নানা ভাবে সহযোগিতা করছে। এবারে শ্রী বিষু চন্দ্র বর্মণকে আহ্বায়ক করে ৫৬ সদস্যের স্নানাৎসব কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবারে প্রায় দুই লাখ পুণ্যার্থী ব্রহ্মপুত্র স্নানে এসেছেন এবং ২০০ জনের অধিক ব্রাহ্মণ ঠাকুর স্নানাৎসবে পূজা অর্চনা করেন বলেও তিনি জানান।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমীর স্নান উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন আসে। তাই আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিলমারীর বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করেছি। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট, ডুবুরি দল এবং পুলিশ, আনসার বাহিনীর সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছে। কোথাও কোনো অসুবিধা হয়নি।

 

;

সংবাদ প্রকাশের জেরে শার্শায় সাংবাদিকের ওপর হামলা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল
অস্ত্র ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম

অস্ত্র ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ প্রকাশের জেরে যশোরের শার্শার সাংবাদিক ইকরামুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছেন মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম।

আহত সাংবাদিক ইকরামুল ইসলাম ও তার ভাই কবির হোসেনকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ইকরামুল ইসলাম বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আরিকুল ইসলাম শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সাবেক সম্পাদক।

আহত ইকরামুল ইসলাম দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক প্রজন্ম একাত্তরের শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি।

হামলার শিকার সাংবাদিক ইকরামুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন তিনি। এমন সময় হঠাৎ করে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আরিকুল ইসলাম তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে আহত করেন।

এসময় ইকরামুলের ভাই ছুটে এলে তাকেও মারধর করে জখম করা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারী আরিকুল পালিয়ে যান।

হামলাকারী আরিকুল শার্শার চটকাপোতা গ্রামের শফিউর রহমানের ছেলে। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। মাদক ও অস্ত্রসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয়ের আড়ালে আরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা করে আসছেন।


তাকে একাধিকবার আটক গ্রেফতার হওয়া নিয়ে ইতোপূর্বে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনার তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল মাদক ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম।

এদিকে, সর্বশেষ গত ২১ মার্চ রাতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরিকুল ইসলামকে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি ম্যাগজিনসহ আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। এর আগেও সংবাদ প্রকাশের জেরে ইকরামুলকে কয়েকবার মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন আরিকুল। এ ঘটনায় শার্শা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান ইকরামুল।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, সাংবাদিক আহতের ঘটনায় মামলা নিয়েছি এবং অপরাধীকে গ্রেফতারের জন্য শার্শা থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন, শার্শা উপজেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা জামাল হোসেন, ইনামুল হক, আজিজুর রহমান। সভাপতি আজিজুল হক, সহসভাপতি আনিসুর রহমান,আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, সাংগঠনিক আরিফুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ, প্রচার সম্পাদক রাসেল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শাজানেওয়াজ স্বপন, কার্যকরী সদস্য শাহিদুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

;

হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত নেতানিয়াহু: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডবের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সারা বিশ্বই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধাংদেহী মনোভাব সেটা আবারও নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিলো ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে। আজকে গাজায় গণহত্যার যে নায়ক একই রূপে আবির্ভুত হয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এই নেতানিয়াহু জাতিসংঘ কে মানে না, হোয়াইট হাউজকে তোয়াক্কা করে না। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এর কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে। ১৪ হাজার শিশুকে গাজায় তারা ইতিমধ্যে হত্যা করে ফেলছে।  

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইরানের ইসরায়েল আক্রমণের পর পৃথিবীর ইনফ্লুএনশাল রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলো। কিন্তু নেতানিয়াহু আবারও ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মনে হয় বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন। যাকে ইচ্ছা তাকে মারেনও, ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। বাউন্ডারি সাইডে সেনাবাহিনী মারেন। তাদের দুর্দমনীয় শক্তি এর অনুপ্রেরণা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এটা পৃথিবীর ভয়ংকর চিত্র। তার দাপট মনে হয় হিটলারকেও ছাড়িয়ে যাবে। 

উপজেলা পরিষদের প্রথম দফার নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৮ মে প্রথম দফার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোট দানের ব্যবস্থা করেছেন নির্বাচন কমিশন। বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধীতা করলেও আমাদের জানামতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: নওগাঁয় ৪ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৫ মনোনয়ন জমা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে নওগাঁর চারটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শেষদিন পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করেছেন ২৫ জন প্রার্থী।

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বদলগাছী, মহাদেবপুর, ধামইরহাট, পত্নীতলা উপজেলার প্রার্থীরা এসব মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মো. তারিফুজ্জামান।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহাদেবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- শহীদুল ইসলাম, ময়নূল ইসলাম, আহসান হাবিব, আনোয়ার হোসেন, মাসুদুর রহমান, আয়েসা বেগম, সাজ্জাদ হোসেন এবং ওবাইদুল্লাহ হক বাচ্চু।

বদলগাছী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- শামসুল আলম, ইমামুল আল হাসান, আবু খালেদ বুলু, বাবর আলী, হিরক তালুকদার, শহীদুল ইসলাম, মিঠু মন্ডল, জবির উদ্দিন, এসএম সাইদুর রহমান।

এছাড়া ধামইরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- ওসমান আলী, শহীদুল ইসলাম, আবু নাসের মো. আফজাল হোসেন, আজহার আলী, আয়েন উদ্দিন ও মো. আতাউর রহমান।

আর পত্নীতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- আ.লীগ নেতা মো. খালেক চৌধুরি ও আব্দুল গাফ্ফার। দুজনই আ.লীগের শক্তিশালী নেতা বলে জানা গেছে। খালেক চোধুরি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও আব্দুল গাফ্ফার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে থেকেই প্রার্থীরা সরব ছিলেন মাঠে। অনেকে ফেসবুক, পাড়া-মহল্লায় ও নানা মাধ্যমে প্রার্থিতার জানান দিয়েছেন আগেভাগেই। প্রার্থীদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতা, কর্মী বা সর্মথক।

;