ময়মনসিংহ সিটিতেই ২২ রেলক্রসিং, জ্যামের কবলে নগরবাসী



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ময়মনসিংহ
ট্রেন পার হওয়ার সময় সড়কের দুপাশেই গাড়ির দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ট্রেন পার হওয়ার সময় সড়কের দুপাশেই গাড়ির দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো শহর ময়মনসিংহ। পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনের মর্যাদা লাভের পর শহরটিতে জনসমাগম বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু সেই তুলনায় প্রশস্ত হয়নি রাস্তাঘাট। তাই দিন দিন যানজটের শহরে পরিণত হচ্ছে ময়মনসিংহ নগরী।

এরমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা চলাচলের সঙ্গে শহরজুড়ে যানজটের একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রেলের লেভেল ক্রসিং। সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে ২২টি রেলক্রসিং থাকায় ট্রেন চলাচলের সময় যানজটে আটকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

রিফাত আল হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, 'যত দিন যাচ্ছে আমাদের শহরে যানজট ততই বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও যখন চরপাড়া থেকে টাউনহল যেতাম তখন সময় লাগত ১০ থেকে ১৫ মিনিট। আর এখন এই জায়গাটুকু যেতে সময় লেগে যায় প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। এমন কোনো মোড় নাই, যেখানে জ্যাম নাই।'

প্রতিদিন অসহনীয় যানজটের শিকার হওয়া হাবিবুর রহমান মিলন নামের এক অভিভাবক বলেন, 'ট্রেন আসার প্রায় ১০ মিনিট আগেই রেলগেট বেরিয়ার ফেলে রাখা হয়। এটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক। রোদের মাঝে অপেক্ষা করতে হয়। বাচ্চাদের স্কুলে যেতেও দেরি হয়ে যায়।'

ময়মনসিংহ সিটিতেই ২২ রেলক্রসিং

ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এ রেলপথ দিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ-জামালপুর, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি রুটে ২৪ ঘণ্টায় আন্তঃনগরসহ ২৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। আর এসব ট্রেন চলাচলের সময় শহরে লেভেল ক্রসিংয়ে আটকা পড়ে যানবাহন।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থেকে পাওয়া তথ্য মতে- শহরের সানকিপাড়া, সিকে ঘোষ রোড, সাহেব আলী রোড, পাটগুদাম, ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডসহ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন স্থানে ২২টি রেলক্রসিং রয়েছে। বিভিন্ন রুটে ৫৮ বার ট্রেনের যাওয়া আসার সময় থামাতে হয় যানবাহন। যেখানে প্রতিবার সময় ব্যয় হয় ৭ থেকে ১০ মিনিট। সে হিসেবে প্রতিদিন অন্তত সাত ঘণ্টা সময় নষ্ট হয় রেলক্রসিংয়ের জ্যামে।

নগরীতে সরু সড়ক ও লেভেল ক্রসিংয়ের বিষয়টিই যানজটের অন্যতম বড় কারণ হিসেবে বলছেন জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনও।

ময়মনসিংহ সিটিতেই ২২ রেলক্রসিং

তিনি বলেন, 'বিভাগীয় শহর হিসেবে সড়কগুলো যতটা প্রশস্ত থাকা দরকার, তা নেই। সরু সড়ক যানজটের একটি কারণ। তবে আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে শহরের ভেতর থাকা রেলক্রসিং। ২২টি জায়গায় প্রতিদিন ৫৮ বার ট্রেনের জন্য গাড়ি থামানোর কারণে যে জ্যামের সৃষ্টি হয় তা পুরো শহরেই ছড়িয়ে পড়ে।'

যানজট নিরসনে রেলপথকে শহরের বাইরে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, 'এখানে যেহেতু রেলপথ মন্ত্রণালয় শুধু না, আরও অনেক মন্ত্রণালয় জড়িত আছে। আমরা সেসব মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করব, যেন ভবিষ্যতে এ বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করে রেললাইন শহরের বাইরে সরানো যায় কিনা। যদিও এটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবুও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এ ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবে।'

এদিকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে জোনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী সুকুমার বিশ্বাস বলছেন, 'রেলপথ সরানোর কোন সুযোগ নেই। রেল রেলের জায়গায়ই আছে, থাকবে বরং আরও সম্প্রসারণ হবে। রেললাইন রেখেই যানজট নিরসনে নিতে হবে বিকল্প ব্যবস্থা।'

তবে সকল বিভাগের সমন্বয়ে দ্রুত শহরকে যানজট মুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি নগরবাসীর।

   

১৯৭১ স্মরণে 'রোড টু বালুরঘাট'

১৯৭১-এর শরণার্থীদের ক্লান্তি, দুর্ভোগ ও দুর্দশার চিত্র নওগাঁয়



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর সামাজিক সংগঠন ‘একুশে পরিষদ নওগাঁ’র উদ্যোগে ১৯৭১ সালের অসহায় শরণার্থীদের দুর্ভোগ স্মরণে 'রোড টু বালুরঘাট' প্রতীকী পদযাত্রায় ফুটে উঠেছে, নওগাঁর রোড ধরে ভারতে পাড়ি দেওয়া শরণার্থীদের দুর্দশার চিত্র!

১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ২০ এপ্রিল স্মরণে ‘রোড টু বালুরঘাট'-এর চিত্র তুলে ধরলেন নওগাঁবাসী। প্রায় ৬০ মিনিটে ৩ কিলোমিটার পদযাত্রায় যুদ্ধকালীন নওগাঁ রোডের শরণার্থীদের যুদ্ধের বিভীষিকা ও অবর্ণনীয় দুর্দশা তুলে ধরা হয়, এই প্রতীকী পদযাত্রার মাধ্যমে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর প্রতীকী পদযাত্রায় পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নওগাঁ রোডে শরণার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্দশা ও যুদ্ধচিত্র ঘটনাপ্রবাহ ফুটিয়ে তোলেন।

শহরের তাজের মোড় শহিদ মিনার পাদদেশ থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল মুক্তমঞ্চ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

একমাত্র সন্তানের অনাহারী চিত্র নিয়ে হেঁটে চলার দৃশ্যসহ নানান দিক ফুটিয়ে তোলা হয় এই আয়োজনে।

একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডিএম আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে শরণার্থীদের প্রতীকী পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন উপদেষ্টা ডাক্তার মইনুল হক দুলদুল, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যক্ষ বিন আলী পিন্টু, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, সাইমা ফেরদৌসী, নাইস পারভীন, গুলশানারা প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বর্বরোচিত অত্যাচার-নিপীড়ন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে যুদ্ধের শুরু থেকে বিশেষ করে ২০ এপ্রিলের এই দিনে পায়ে হেঁটে নওগাঁর সড়ক পথে হাজার হাজার মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতের বালুরঘাটে আশ্রয় নেন।

চলার পথে সেই সময় পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এদেশের দোসরদের হামলায় অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সেই সব শরণার্থীদের ক্লান্তি ও দুর্ভোগ স্মরণে একুশে পরিষদ নওগাঁ 'রোড টু বালুরঘাট' প্রতীকী পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।

একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারী, সভাপতি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের ২২ তারিখে পাকিস্তানি বাহিনীর দস্যুরা নওগাঁ আক্রমণ শুরু করে এবং নওগাঁতে আক্রমণ শুরু করে দুইভাবে। এক- সান্তাহার হয়ে, আরেকটি হচ্ছে, রাজশাহী থেকে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মানুষেরা প্রিয় বাড়িঘর সংসার ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন জীবন রক্ষার কারনে এবং যাওয়ার সময় অত্যাচার, হেঁটে গিয়েছেন মাইলের পর মাইল, এই যে দুর্ভোগ, সেটি তরুণ প্রজন্মের কাছে জানাতে চাই। আমরা চাই, তারা জানুক ১৯৭১ সালে কী হয়েছিল, এটাই আমাদের মূল বার্তা’।

সংগঠনের উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম খান বলেন, ‘যুদ্ধচলাকালীন যে কষ্ট, আজকের এই প্রজন্মের কেউ জানেন না। এই প্রজন্মকে জানানোর জন্য আজকের এই প্রতীকী আয়োজন। আমাদের একটি জিনিস বুঝতে হবে, জানতে হবে যে, বাংলার মানুষ কত সহ্য করতে পারে! কত নিপীড়ন সহ্য করে তারা ভারতে ওই পাড়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাদের নিজেদের মা-বোনকে শিবিরে রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই যে একটা আদর্শ কাজ করেছিল দেশের প্রতি, সেটি একটি গর্বের বিষয় এবং এগুলো এই প্রজন্মের জানা উচিত’!

ডা. মঈনুল হক দুলদুল বলেন, ‘এ আয়োজন পুরোটাই তরুণ প্রজন্মের জন্য! কারণ, আমরা ১৯৭১ সালের অনেক কিছুই ভুলে যাচ্ছি। সে ভুলে যাওয়া বিষয়গুলি নাটকের মাধ্যমে, পথযাত্রার মাধ্যমে, অভিনয়ের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের কাছে যদি তুলে ধরতে পারি, তাহলে তারা প্রকৃত জিনিসটাকে মনের মধ্যে ধরে রাখতে পারবেন এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ফের তুলে ধরতে পারবেন। যুগ যুগ ধরে আমাদের কিছু কিছু পোগ্রাম নিতেই হবে’।

;

সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য বন্ধে নীতিমালা হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য বন্ধে একটি নীতিমালা তৈরি করার চিন্তা করছে সরকার বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে যেসব অনুমোদনহীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে, সেগুলো শিগগিরই বন্ধ করা হবে। পরবর্তীতে আবেদনের মাধ্যমে অনুমোদন পেলে তা পরিচালনা করতে পারবে।

গণমাধ্যমে অবাধ তথ্য নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয় ও মহলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীরা সঠিক নিয়মে কোন তথ্য চাইলে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবারাহ করতে। কারণ সঠিক তথ্য নিশ্চিত না হলে মিথ্যা তথ্য প্রচারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

;

পাটগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় আব্দুর রাজ্জাক (৪০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ঘুন্টি বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত আব্দুর রাজ্জাক রংপুরের মিঠাপুকুর থেকে ট্রেনে করে লালমনিরহাটে আসেন বন্ধুর বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে। তিনি দওয়াত খেয়ে পাটগ্রাম উপজেলার ঘুন্টি বাজার এলাকায় রেল লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলার সময় লালমনিরহাটগামী একটি কম্পিউটার ট্রেন তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-মমিন বার্তা২৪ কমকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

;

তিনদিন বন্ধের পর চালু বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি আসনের লোকসভা নির্বাচনের কারণে টানা তিনদিন বন্ধ থাকার পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় স্বাভাবিক হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকেই উভয় দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী ও বিভিন্ন পণ্য বহনকারী গাড়ি উভয় দেশে প্রবেশ করেছে।

দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ ও পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের কারণে গত বুধবার থেকে শুক্রবার (১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা তিন দিন পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন যাত্রী পারাপার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট শামা পারভীন।

;