‘এবারের ঈদযাত্রায় দুই শতাধিক মৃত্যু’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সৈয়দ মেহেদী

ছবি: সৈয়দ মেহেদী

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতরে দেশের সড়ক, মহাসড়ক, রেল ও নৌপথে ১৮৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ২২১ জন নিহত ও ৬৫২ জন আহত হয়েছেন। পঙ্গু হয়েছেন ৩৭৫ জন।

তবে এবারের ঈদে ছুটি বেশি থাকায় ঈদযাত্রা কিছুটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কিছুটা কমেছে।

বুধবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় ‘যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।

সংগঠনটির পর্যবেক্ষণে দেখানো হয়েছে, ঈদ কেন্দ্রিক অতিরিক্ত যাত্রীচাপ, চালকদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চালানো, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বিপদজ্জনক ওভারটেকিং ও যাত্রীদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/12/1560335684550.jpg

সংগঠনটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে দুর্ঘটনার মূল কারণ অসচেতনতা। পুরনো গাড়িও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। আমরা এখন পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গাড়ি আনার ব্যবস্থা করছি। আমরা নতুন বাস এনে পুরাতন সব গাড়ি বন্ধ করে দেব। এতে দুর্ঘটনার পরিমাণ কমবে। আমরা সবাই মিলে যদি যাত্রী অধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারে সোচ্চার হই তাহলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘আমরা একদিনে সবকিছু পরিবর্তন করতে পারব না। তবে আমরা অনেকের বিবেগ জাগ্রত করার চেষ্টা করব। আমাদের সংঘটনটি নতুন, তাই আমাদের অবস্থান এখনো জিরো; কিন্তু আমরা চেষ্টা করে যাব যেন পরবর্তীতে মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে পারি।’

   

বান্দরবানে কেএনএফ'র বিরুদ্ধে ১১ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিবাদ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে কেএনএফ'র অপতৎপরতার প্রতিবাদ জানিয়েছে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা। সশস্ত্র সংগঠনটির সাথে অপর ছয়টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জড়িত থাকার দাবিও অস্বীকার করেছেন তারা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেএসআই মিলনায়তনে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজিত সেই মতবিনিময় সভায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি খুশি রায় ত্রিপুরা, বম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি লালজারলম বম, এডভোকেট কাজী মহিতুল হোসেন যত্ন, চাকমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা, ম্রো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাংলাই ম্রো, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনুসহ অনেকে।

মতবিনিময় সভায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ কেএনএফ সদস্যদের সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অনুরোধ জানান। সেই সাথে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে শান্তি কমিটির সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ারও অনুরোধ জানান নেতৃবৃন্দ।

এসময় প্রকৃত অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন ও রাষ্ট্রদ্রোহীদের মদদ না দিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার আহবান জানানো হয়।

বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;

খেলাধুলা শৃঙ্খলা, আনুগত্য ও দেশপ্রেম শেখায়: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা মানুষকে শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়। পাশাপাশি শৃঙ্খলা, আনুগত্য এবং দেশপ্রেম শেখায়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে খেলাধুলার বিকাশে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি যখনই ক্ষমতায় এসেছেন, শিশুদের খেলাধুলায় আরও উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন। কারণ, খেলাধুলা মানুষকে শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়। পাশাপাশি শৃঙ্খলা, আনুগত্য এবং দেশপ্রেম শেখায়।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি চান ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, আমাদের দেশীয় খেলাধুলাকেও সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে। কারণ দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের মেধা বিকাশের আরও সুযোগ হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারাবিশ্বের কাছে দেশকে পরিচিত করতে পারি। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত যে, আমাদের ছেলেরা তো বটেই, মেয়েরাও দেশের বাইরে গিয়ে পারদর্শিতা দেখাতে পারছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে যখন আমরা এই প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করলাম ছেলেদের এবং মেয়েদের। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে গিয়েও আমাদের ছেলে-মেয়েরা চমৎকার পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা সাফ ওমেন-২০২২ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ অর্জন করেছে। এটা আমাদের মেয়েরাই এই অর্জন এনে দিয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে, যাতে করে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা শরীর চর্চা ওর সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবে। সবাই শিক্ষা দীক্ষা খেলাধুলা সবদিক থেকে আরও বেশি উন্নত হবে, সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে আমাদের আজকের এই সোনার ছেলে মেয়েরা। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও আশীর্বাদ রইল।

;

খাতুনগঞ্জে বাজার মনিটরিং, দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বৃহৎ ভোগ্য পণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসময় ক্রয়-বিক্রয়দের রশিদ সংরক্ষণ না করায় দুই ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বাকলিয়া সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম শামীমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় বিভিন্ন আড়তে মূল্য তালিকা প্রদর্শন এবং ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করা হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা হয়৷

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম শামীম বলেন, ঈদ পরবর্তী সময়ে পেয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলাপ্রশাসনের নিয়মিত কার্যক্রমে অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি প্রতিষ্ঠানে রশিদ ছাড়া পণ্য বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই কৃষি বিপনন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান দুটির মালিককে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং কোতোয়ালী থানার একটি পুলিশের একটি টিম সঙ্গে ছিলেন।

;

খুলনায় ১২টি স্বর্ণের বারসহ গ্রেফতার ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় ১২ পিস স্বর্ণের বারসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে কেএমপি’র লবণচরা থানা পুলিশ ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এক বাস তল্লাশি করে এই স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে লবণচরা থানার একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা টুংগীপাড়া এক্সপ্রেসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৯০৩৩) একজন ব্যক্তি সন্দেহজনক কোন বস্তু বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। বাসটি জিরোপয়েন্ট মোড়স্থ খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে রূপকথা রেষ্টুরেষ্টের সামনে আসলে বাসটি তল্লাশি করা হয়।

টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহন থামিয়ে কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) গোপীনাথ কানজিলাল; লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক এবং এসআই (নি:) প্রদীপ বৈদ্য সহ সঙ্গীয় ফোর্স, স্থানীয় জনগণ এবং সাংবাদিকের সম্মুখে

যাত্রীদের তল্লাশি করাকালে স্বর্ণ চোরা চালানকারী সাতক্ষীরা’র দেবহাটা থানার শাখরা কমলপুর এলাকার মোঃ আলম গাজীর ছেলে মাসুম বিল্লাহ (২৮) কে জুতার (লোফার) ভিতরে সুকৌশলে সাজিয়ে রাখা ১২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার প্রতিটি স্বর্ণের বারের ওজন ১১৬ দশমিক ৬৫ গ্রাম প্রায় ও সর্বমোট ওজন ১৩৯৯ দশমিক ৭৪ গ্রাম। যার সর্বমোট মূল্য অনুমান ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৩০৩ টাকা।

পুলিশ আরো জানায়, ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে স্বর্ণের বার বাসযোগে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সেখান থেকে স্বর্ণ সাতক্ষীরা বর্ডার অঞ্চল দিয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উল্লেখিত স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত আছে এবং কোথা থেকে স্বর্ণগুলো আনা হয়েছে ও কোথায় পৌঁছে দিবে সেই রহস্য উদঘাটনের জন্য গভীরভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

;