জাপানের সহযোগিতায় হবে সর্বাধুনিক ক্যানসার হাসপাতাল



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্যরা, ছবি: সংগৃহীত

চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্যরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের জাপান সফরে চিকিৎসা বিষয়ক বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসব চুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসা খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতি ঘটবে এবং দেশবাসীর অনেক কষ্ট লাঘব হবে বলে আশা করছেন দুই দেশের নেতারা।

জাপান গ্রিন হসপিটাল, আইচি হসপিটাল লিমিটেড এবং এথিক্স অ্যাডভান্সড টেকনোলোজি লিমিটেডের মধ্যে (ইএটিএল) একটি ক্যানসার হাসপাতাল, একটি নার্সিং কলেজ এবং একটি ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার নির্মাণ বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তির আওতায় জাপান সরকার বাংলাদেশে একটি ক্যানসার হাসপাতাল, একটি নার্সিং কলেজ এবং একটি মেডিকেল টেকনোলোজি প্রতিষ্ঠান রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এই ক্যানসার হাসপাতালে, জাপানের সবচেয়ে উন্নতমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রোটন থেরাপি দিয়ে ক্যানসার রোগের চিকিৎসা হবে, যা এখন পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়া বা ব্যাংকক, সিঙ্গাপুরের কোনো হাসপাতালে নেই।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রোটন থেরাপি, জাপানে ক্যানসার চিকিৎসায় বিরাট পরিবর্তন দেখিয়েছে, যা এই হাসপাতালের মাধ্যমে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। এই প্রযুক্তি কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ক্যানসার টিউমারের উপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধীরে ধীরে সব ধরনের ক্যানসারের জীবাণু ধ্বংস করতে কাজ শুরু করে এই প্রোটন থেরাপি।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

ত্রি-পক্ষীয় চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন জাপান গ্রিন হসপিটালের পক্ষ থেকে হিরোয়িকি কোবায়িশি, আইচি হসপিটাল লিমিটেড থেকে ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ইএটিএল -এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম এ মুবিন খান ।

জাপান গ্রিন হসপিটাল একই গ্রুপ শিপ আইচি মেডিকেল সার্ভিস লিমিটেডের মাধ্যমে ইতোমধ্যে আমাদের দেশের হার্ট এবং কিডনি রোগের চিকিৎসায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। যার আওতায় দেশের উত্তরায় একটি হাসপাতাল নির্মাণাধীন রয়েছে, যা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন করা হবে।

২০০৫ সালের দিকে মাত্র শতকরা সাড়ে সাত ভাগ লোক ক্যানসার ব্যাধিতে মারা যেতেন। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর ক্যানসার রিসার্চ ধারণা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা দিগুণের কাছাকাছি, প্রায় ১৩% হবে! গত বছর দেড় লাখ নতুন ক্যানসার রোগী ধরা পড়েন এবং প্রায় ১.০৮ লাখ লোক প্রতিবছর বাংলাদেশে ক্যানসারে মারা যান।

জাপান গ্রিন হসপিটাল, আইচি হসপিটাল লিমিটেড এবং ইএটিএল -এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে স্বপ্নের একটি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। ঢাকার পূর্বাচলে এই হাসপাতাল নির্মাণের অন্যতম প্রধান উদ্দ্যেশ হচ্ছে- দেশের মানুষের কাছে উন্নত প্রজুক্তির সহজলভ্য ক্যানসার চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া, এই রোগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ মেডিকেল জনশক্তি তৈরি, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে ক্যানসার রোগের ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং ক্যান্সার রোগ সংক্রান্ত আরও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা।

ক্যানসার সচেতনতা ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৭টি সেন্টারে ক্যানসার রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। দেশে মাত্র ১৫০ দক্ষ ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ১৬ জন শিশু ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। চিকিৎসা পদ্ধতি যা রয়েছে তা হল- Dual energy Linear accelerators, Cobalt, Brachytherapy, ডিপ এক্স রে এবং টিউবারবিম।

রোগ পরীক্ষণ, নিরীক্ষণ সংক্রান্ত Diagnostic ফ্যাসালিটিজের মধ্যে রয়েছে- PET-CT, SPECT-CT, digital mammography, যা stereotactic biopsy -এর মাধ্যমে করা হয়।

   

ফেনীতে গরমে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকদিনের তীব্র গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা, সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে ছোট সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এটি রেকর্ড মূল্য মনে করছে ক্রেতারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, নাজির রোড, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, কলেজ রোড ও সদর হাসপাতাল মোড়, মুক্তবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ডাবের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বেশি হলেও গরমের ক্লান্তি কাটাতে ডাব কিনে খাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।


শহরের নাজির রোড এলাকায় ডাব বিক্রি করেন রিফাত। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে। গত বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখিনি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এত দাম ছিল না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুক্তাবাজারের ডাব বিক্রেতা এসানুল হক বলেন, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত, কিন্তু এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন, আর তাই পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

সাফওয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।


শহরের হাসপাতাল মোড়ে কথা হয় সাহাবউদ্দিন নামে আরেক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের বাজারদর নিয়ে তিনি বলেন, ১২০ টাকার নিচে তেমন কোনো ভালো ডাব নেই। যেভাবে গরম পড়ছে কিছুটা স্বস্তির জন্য এখানে এসেছি। সব দোকানেই দাম প্রায় একই।

শহরের নাজির রোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, গরমে গত কয়েকদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০-৪০টি ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।

ফেনী মহিপাল ফল আড়তের আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ফেনী শহরে যেসব ডাব বিক্রি হয় সেগুলো মূলত নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এলাকার। অল্প কিছু ডাব জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী থেকে আসে। এখানে ডাবের কোনো আড়তও নেই। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে ট্রাকে করে ডাবগুলো এনে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি ডাবের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে।

শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের এডাব ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, গরমে প্রতিদিন এখন ৬০ থেকে ৭০টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। নোয়াখালী ও সোনাগাজী অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেনা ডাব মানভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঠান্ডা মৌসুমে একই ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় বলেন তিনি।

;

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় জানা যায়নি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে শহরের সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে চলমান রেললাইন হতে ১০ ফিটের বাহিরে এক মহিলার লাশ পড়ে থাকতে থেকে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

;

রাজ-পরীর সংসারে নতুন ২ অতিথি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ রাজ ও বাঘিনী পরীর ঘর আলোকিত করে এসেছে নতুন তিন অতিথি। যদিও একটা শাবক মৃত ছিল। এ নিয়ে চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ টিতে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ।

তিনি বলেন, রোজার ঈদের দুই দিন আগে ৯ এপ্রিল সকাল আটটার দিকে বাঘ রাজ-পরীর সংসারে তিনটি মেয়ে বাঘ শাবক জন্ম নেয়। তখন আমরা একটি শাবক মৃত অবস্থায় পায়। বাকি দুটি শাবক মায়ের সঙ্গে আছে। সুস্থ আছে, দুধও খাচ্ছে। ঈদের সময় একটু ব্যস্ততা ছিল তাই আমরা বিষয়টি তখন জানাতে পারিনি।

‘এনিয়ে রাজ-পরীর ঘরে মোট ১২টি বাঘ ও শাবক রয়েছে। যার মধ্যে ৪টি পুরুষ, বাকি সব মেয়ে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন শাবক ‍দুটির নাম দেওয়া হবে। আমরা আরও একমাস পর দর্শনার্থীদের জন্য শাবকগুলো উন্মক্ত করব, বলেন চিড়িয়াখানার এ কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন দুই শাবকসহ বর্তমানে বাঘের সংখ্যা মোট ১৯টি, যার মধ্যে ১৩টি মেয়ে ৬টি পুরুষ। ১৯টির মধ্যে ৫টি সাদা বাঘ‌।

গতবছর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্মগ্রহণ করা এক জোড়া বাঘ দিয়ে প্রাণী বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা হতে এক জোড়া জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ৩৩ লাখ টাকায় কেনা ১১ মাস বয়সী রাজ এবং ৯ মাস বয়সী পরীকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই বেঙ্গল টাইগার দম্পতি রাজ-পরীর তিনটি ছানার জন্ম হয়। যার মধ্যে দুটি ছিল ‘হোয়াইট টাইগার’, অন্যটি কমলা-কালো ডোরাকাটা। পরদিন একটি সাদা বাঘ শাবক মারা যায়। অন্য সাদা বাঘিনীটি ‘শুভ্রা’। কমলা-কালো বাঘিনীটির নাম দেওয়া হয় ‘জয়া’। শুভ্রা বাংলাদেশে প্রথম সাদা বাঘ। এর আগে দীর্ঘ পাঁচ বছর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা বাঘ শূন্য ছিল।

;

নীলফামারীতে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়সাল ফাহমিদ চৌধুরী কমেট ওরফে কমেট চৌধুরীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে জলঢাকা পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন জলঢাকা পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমেট চৌধুরীকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

কমেট চৌধুরী জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে ২০২১ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে তিনি জলঢাকা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। কমেট চৌধুরীর বাবা আনোয়ারুল কবীর চৌধুরীও জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন কমেট চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু মারা যাওয়ায় মেয়র পদে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৮ এপ্রিল মেয়র পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;