কঠোর অবস্থানে র‍্যাব, ২৩ মে’র আগে পাকা আমে ‘না’



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাজশাহীর আম/ ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহীর আম/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা জৈষ্ঠ্য মাস ‘মধুমাস’ হিসেবে পরিচিত। কারণ এ মাসেই পাকে আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, লিচুসহ নানা জাতের রসালো, শাঁসালো মিষ্টি ফল। কিন্তু জৈষ্ঠ্য মাসের মধু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে ক্রেতাদের কাছে বিষে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে আমের ক্ষেত্রে মধুর স্বাদের জায়গায় বিষের স্বাদ নিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

কেননা এক শ্রেণির অসাধু ফল ব্যবসায়ী ও বাগান মালিক বেশি দামে বিক্রি করার আশায় অপরিপক্ব আম বাজারে আনছে কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে। যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই আম খাওয়ার কারণে নানা রকম রোগেরও সৃষ্টি হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/16/1558025023152.jpg

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ও সংরক্ষণের অভিযোগে টনের টন আম নষ্ট করতে হয়েছে। তবে এসব অভিযানে বিষাক্ত আম থেকে বাজার সম্পূর্ণ রূপে মুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

তবে এবার আম বাজারে আসার অপেক্ষা করছে না র‍্যাব। বাজারের যেন কোনো ধরণের কেমিক্যাল যুক্ত আম না আসে সেই লক্ষ্যে সংস্থাটি নড়েচড়ে বসেছে। র‍্যাবের পাশাপাশি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও মাঠে কাজ করছে এ ব্যাপারে। কাওরানবাজারের আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সচেতনতামূলক আলোচনায়ও বসেছে র‍্যাব।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে হিমসাগরসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির পাকা আম বাজারে এসেছে। কিন্তু এই মৌসুমে দেশের কোনো অঞ্চলের আমই পাকার কথা না কৃষি অফিসের হিসেব অনুযায়ী। তবে বৃষ্টি আগে পিছনে হওয়া সাতক্ষীরা অঞ্চলের কিছু প্রজাতির আম পাকলেও সেগুলোর রং বাজারে আসা আমগুলোর মতো হওয়ার কথা না। এছাড়া বাজারে যে রংয়ের আম এসেছে দেশের কোনো অঞ্চলের আমই এমনভাবে পাকে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/16/1558025070463.jpg

আম পাকার সরকারি হিসেব অনুযায়ী, সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ ১২ মের দিকে, গোপালভোগ ১৫ মের দিকে, যা ঢাকায় আসার কথা ২২-২৩ মের দিকে। রাজশাহীর গুটি আম ১৫ মের দিকে, যা আসার কথা ২৩ মের দিকে, সাতক্ষীরার হিমসাগর পাকার কথা ২২ মে, রাজশাহীর হিমসাগর ২৮ মে, সাতক্ষীরার ল্যাংড়া আম ২০ মের দিকে পাকার কথা, রাজশাহীর ল্যাংড়া পাকার কথা ৫ জুন, লক্ষণ ভোগ ২৯ মে ও আম রুপালী ৮ জুন থেকে ১৬ জুনের মধ্যে পাকার কথা।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মতে, যেহেতু কৃষি অফিস ও সরকারি হিসেবে এখনো ঢাকায় হলুদ রংয়ের আম আসার কথা নয়। এখন যে পাকা আম পাওয়া যাচ্ছে, বুঝতে হবে এগুলো অপরিপক্ব, কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হয়েছে।

এদিকে র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, বাজারে ভেজাল আম আসার খবর পাওয়া মাত্রই সংস্থাটির পক্ষ হতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কাওরানবাজারের আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে র‌্যাব। এই সভায় সিদ্ধান্ত হয় ২৩ মের আগে রাজধানী ঢাকায় কোনো ধরণের পাকা আম ঢুকবে না এবং বেচাকেনাও করা যাবে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/16/1558024873486.jpg
আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম/ ছবি: বার্তা২৪.কম

তবে সাতক্ষীরার গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ ও রাজশাহীর গুটি আম ১৬ মে থেকে আনা যাবে। তবে তা গাছে থেকে পারার পর যে অবস্থায় থাকে সেই অবস্থায় বিক্রি করতে হবে। এ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে র‍্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘২৩ তারিখের আগে ঢাকায় কোনো পাকা আম ঢুকবেও না কেনাবেচাও করা যাবে না। সাতক্ষিরার গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ ও রাজশাহীর গুটি আম বিক্রি করা যাবে ২৩ তারিখের আগে, তবে তা কেমিক্যালমুক্ত হতে হবে। আর এসব আমের ট্রাকে করে যদি অন্য প্রজাতির একটি আমও ঢাকায় ঢোকানোর চেষ্টা কর হয়, তাহলে ট্রাকের সকল আম জব্দ করা হবে। এছাড়া এর সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীও বাগান মালিককে জেলে যেতে হবে।‘

কারওয়ান বাজারের ফল ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি সুরুজ আলম সুরুজ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ভেজাল আম বিক্রি করে নিজেদের মান সম্মান নষ্ট করতে চাই না। কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী আছেন, যারা কেমিক্যালযুক্ত আম বিক্রি করেন।’

   

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় নিহত রাকিব হোসেন (২৪) নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিহতের মরদেহ বেনাপোলে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

নিহত রাকিব বেনাপোল বন্দর থানার ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।

এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রডের নিচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিন সিঙ্গাপুরে মারা যান।

নিহত রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, গত ৩ এপ্রিল রাকিব কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় রড চাপায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান জানান, সংসারের হাল ধরতে এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছিল। সে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতো। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ভবনের উপরে তোলার সময় তার ছিঁড়ে রডের নিচে চাপা পড়ে রাকিব। পরে তাকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা এবং সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সে মারা যায়।

বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। তার মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আনা হয়েছে।

;

প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, যুবক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সংরক্ষিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের লাল মিয়া মাঝি বাড়ি থেকে নুরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

নুরুল ইসলাম সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৮ িনম্বর ওয়ার্ডের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী আমেরিকা প্রবাসী। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি মোবাইলে সমস্যা দেখা দিলে ভিকটিম মোবাইল ঠিক করতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের আরডি শপিং মলে যায়। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম নিজেকে মোবাইল মেকানিক পরিচয় দিয়ে গৃহবধূর মোবাইল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নেয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ ও ভিকটিমের মোবাইল ফোনের গ্যালারি থেকে ব্যক্তিগত ছবি কৌশলে তার মোবাইলে ট্রান্সফার করে নিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, এরপর ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভিকটিম সম্মানহানির ভয়ে ও তার সংসার টিকানোর জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। এতে সে সন্তুষ্ট না হয়ে বাকি আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় ভিকটিমকে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুরুল ইসলাম ভিকটিমের ছবি ও নাম ব্যবহার করে টিকটক আইডি খুলে ব্যক্তিগত ছবি ছেড়ে দেয়। বিষয়টি ভুক্তভোগীর নজরে আসলে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি ও তার নাম এবং ছবি ব্যবহার করা টিকটিক আইডি সংরক্ষিত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;