চার বছর পূর্তিতে গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হচ্ছেন মেয়র খোকন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
ডিএসএসসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন/ছবি: ফাইল ফটো

ডিএসএসসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন/ছবি: ফাইল ফটো

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের চার বছর পূর্ণ করলেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এই চার বছরে কি কাজ করতে করেছেন আর আগামী কয়েক মাসে কি করতে চান এসব বিষয়ে তুলে ধরতে গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হচ্ছেন ডিএসসিসি মেয়র।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেল সাড়ে ৪ টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে মেয়র যেসকল বিষয় তুলে ধরতে পারে তা দেওয়া হলো।

মেয়র খোকন তার আলোচনায় বলতে পারেন বলে জানা গেছে, শূন্য তহবিল, খানাখন্দে ভরা বেহাল রাস্তাঘাট, আর্বজনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া এবং নষ্ট/অকেজো সড়কবাতির কারণে অন্ধকারে ডুবে থাকা এ নগরীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলাম। হাজারো সমস্যায় জর্জরিত এ নগরী বিগত ৪ বছরে আমাদের নিরলস ও আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নগরবাসী ও আপনাদের সার্বিক সহযোগিতায় আজ উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বদলে যাওয়া এক নগরী। নগরীতে উন্নয়নের ছোঁয়া এখন দৃশ্যমান। নব প্রতিষ্ঠিত ১৮টি ওয়ার্ডকে নিয়ে পরিকল্পিত মডেল শহর গড়ে তোলার পরিকল্পণা গ্রহণ করা হয়েছে।

মেয়র তার উন্নয়নের চিত্রগুলো তুলে ধরবেন, অসহায় বৃদ্ধদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ, কর্পোরেশনের নিজস্ব ব্যয়ে বিনামূল্যে  লাশ দাফন এবং শেষ কৃত্যানুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য আধুনিক কর্মী নিবাস তৈরি, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ই-রেভিনিউ ও ট্রেড লাইসেন্স চালু, বিনামূল্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের চিকুনগুনিয়াসহ অন্যান্য রোগের ঔষধসহ পরামর্শ সেবা বাড়িতে পৌঁছে দেয়া, অবৈধ বিলবোর্ড ও ব্যানার অপসারণ করে দৃষ্টিনন্দন ডিজিটাল বিলবোর্ড ও এলইডি বক্স স্থাপন, আধুনিক পুলিশ বক্স নির্মাণ, যানজট নিরসণে  আধুনিক যাত্রী ছাউনি নির্মাণ, ট্রাফিক সাইন, ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন, গার্ড রেইল, বাস স্টপেজ নির্মাণ, জেব্রা ক্রসিং, অনস্ট্রিট পার্কিং, চক্রাকার বাস সার্ভিস চালুকরণ, কমিউনিটি সেন্টার ও মার্কেট নির্মাণ, ফুটপাত হকারমুক্ত করা ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

চার বছরের কাজের বর্ণনা তুলে ধরবেন মেয়র। এরমধ্যে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে আধুনিক প্রযুক্তির ৪১ হাজার ১৩৩টি এলইডি সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে নাগরিকরা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারছেন। এছাড়া নবগঠিত ১৮টি ওয়ার্ডে ১৫ হাজার এলইডি বাতি স্থাপনের কাজ চলমান।

এই চার বছরে সরকার ও কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ৬৬৯ দশমিক ৯১ কিলোমিটার রাস্তা, ৬৩১ দশমিক ৭০ কিলোমিটার নর্দমা ১৩৩ দশমিক ১৬ কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা, ৫০০ কিলোমিটার নর্দমা এবং ১০০ কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে।

পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস নির্মাণ: পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য দয়াগঞ্জে আধুনিক পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাস উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়া ধলপুর, লালবাগ ও গণকটুলিতে ছয়তলাবিশিষ্ট ৬টি নিবাস নির্মাণ করা হয়েছে। আরো ৬টির কাজ চলমান রয়েছে।

জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ৪৯৭ কিলোমিটার উন্মক্ত নর্দমা এবং ৫৩৭ কিলোমিটার পাইপ ড্রেনের আবর্জনা অপসারণ করা হয়েছে। জেট এন্ড সাকার মেশিনের মাধ্যমে ড্রেনে জমাটবদ্ধ হয়ে থাকা আর্বজনা অপসারণ করা হচ্ছে। ফলে শান্তিনগর, নাজিমউদ্দিন রোড, গণকটুলী এবং বংশাল এলাকায় প্রায় চার যুগের  জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসণ হয়েছে।

নবসংযুক্ত ৮টি ইউনিয়নের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরবেন মেয়র।

এসময় উল্লেখ করা হতে পারে ৭৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া এলাকার ১৬৭ দশকি ৮৮ কিলোমিটার রাস্তা, ৮ দশমিক ৮১ কিলোমিটার ফুটপাথ ও ১৭১ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পের ৮৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বাকি কাজ সমাপ্ত হবে।

এছাড়া ৫১৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মান্ডা, ডেমরা, নাসিরাবাদ ও দক্ষিণগাঁও ইউনিয়নের জন্য ৮১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার রাস্তা, ৬১ দশমিক ৭৯ কিলোমিটার নর্দমা, ৭ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার ফুটপাথ, ১২টি আরসিসি ব্রিজ, ৩৮৩ মি. এপ্রোচ রোড নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে।

খেলার মাঠ-পার্ক উন্নয়ন: “জলসবুজে ঢাকা” প্রকল্পের মাধ্যমে পার্ক এবং খেলার মাঠগুলো বিশ্বমানে উন্নীত করার কাজ চলছে। বেশীর ভাগ খেলার মাঠ ও পার্কের উন্নয়ন কাজ শেষ। উদ্বোধনের অপেক্ষাধীন রয়েছে। ১৯টি পার্কের মধ্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী আব্দুল খালেক সরদার পার্কের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। সিরাজ-উদ-দৌলা পার্ক এবং গুলিস্থান পার্কের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ১২টি খেলার মাঠের মধ্যে শহীদ আব্দুল আলীম খেলার মাঠের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। রসুলবাগ মাঠ এবং জোড়পুকুর খেলার মাঠের উন্নয়ন কাজও প্রায় সমাপ্ত। অন্যান্য খেলার মাঠ ও পার্কগুলোর উন্নয়ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে যা চলতি বছরেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে।

বাসরুট রেশনালাইজেশন: নগর পরিবহনগুলো ৬টি কোম্পানির আওতায় এনে ২২টি রুটে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ধানমন্ডি-নিউমার্কেট-আজিমপুর, এয়ারপোর্ট-মতিঝিলসহ কয়েকটি রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। চালকদের দক্ষ করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চালক, পথচারীদের সার্বিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে আইন মোতাবেক সড়কে চলার বিষয়ে শিক্ষার্থীসহ নাগরিকবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে।

যাত্রী ছাউনি নির্মাণ: নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৮টি আধুনিক যাত্রী ছাউনি নির্মিত হয়েছে। আরও ২টির নির্মাণ কাজ চলছে। এসব যাত্রী ছাউনিতে ওয়াই-ফাই সুবিধা এবং টিকেট বিক্রয় কাউন্টার অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কল্যাণ কর্মসূচি: জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৫০০ বর্গফুট আয়তন পর্যন্ত ফ্ল্যাট-বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হয়েছে। আজিমপুর ও জুরাইন কবরস্থানে দাফনের জন্য স্থান নির্দিষ্টকরণ, তাঁদের ও তাঁদের সন্তানদের জন্য কমিউনিটি সেন্টার অর্ধেক ভাড়ায় ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

   

বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী

বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে আরও ১ হাজার ৩৩৩টি শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। 

তিনি বলেন, বিডিএস (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে) বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বিশেষ ‘প্রকল্প পর্যালোচনা সভা’য় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ম্যাপসহ মালিকানাভিত্তিক খতিয়ান চালু করা সম্ভব হবে এবং খতিয়ানে দাগ শেয়ার করতে হবে না। ম্যাপ সংযুক্ত মালিকানাভিত্তিক খতিয়ান প্রণয়ন করা সম্ভব হলে ভূমি নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমা ও সীমানা বিরোধ অনেকাংশে কমে যাবে।

এ সময় বিডিএসকে একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককে অগ্রাধিকার দিয়ে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

সভায় অবহিত করা হয় যে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের (ইস্টাবলিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

খুব শিগগিরই আরেকটি প্রকল্পের রিভিউ শেষ হলে পটুয়াখালী, বরগুনা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলার ৩২টি উপজেলায়ও বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে 'বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে' পরিচালনা করা হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

ভূমিসচিব খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় ভূমি মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

;

সাভারে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাভারে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দূর্বৃত্তরা। নিহতের নিথর দেহ উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন। এর আগে দুপুরের দিকে সাভার পৌরসভার সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. শহিদুল ইসলাম (২৪) চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার চরধরমপুর গ্রামের সাইদুলের ছেলে। তিনি সাভারের সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন দন্ত চিকিৎসকের সহকারী।

হত্যাকান্ডের কারণ বা এর সাথে কারা জড়িত তা এখনও বলতে পারেনি পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত করে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

;

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নে ২ হাজার ২৯৪ মিলিয়ন ইয়েন (১৭২ কোটি টাকা) অনুদানের কথা জানিয়েছে জাপান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বাংলাদেশস্থ জাপানের দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য এ অনুদান দিয়েছে জাপান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ ব্যয় হবে।

অনুদান প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, জাপান সরকারের অনুদানে মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ এবং হস্তান্তরে দক্ষতা বাড়ানো হবে। এছাড়া কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ও উপকূলে অবতরণের মান উন্নয়ন, জেলেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতিতে ব্যয় হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, এ অনুদানের অর্থ বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিকে সমৃদ্ধির পাশাপাশি কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। পাশাপাশি এ অনুদানের অর্থ দেশে রোহিঙ্গা নিয়ে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে সেটিরও প্রশমন ঘটাবে।

;

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলতে হলে সবাইকে মন দিয়ে রেলের জন্য কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

তিনি বলেন, রেলের কিছুটা পরিবর্তন সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছেন এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর রেলভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রেলকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অনেক কষ্টে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে অনেক স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। এদেশের মানুষকে ভালোবেসেই তিনি নিজের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। আমাদের এই দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের মনে, চেতনায়, মননে ও মানসিকতায় বঙ্গবন্ধুর নাম আমাদের বুকে লেখা হয়ে গেছে। তাই আমরা যদি সবাই মিলে উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই আমাদের মহান স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর আত্মদান অর্থবহ হবে।

এর আগে অফিস কক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা সাক্ষাৎ করেন। ভারতের সহায়তায় বাস্তবায়নধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে অলোচনা করেন তারা।

;