বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে ডিপিডিসির কল সেন্টারের বিভ্রান্তিকর তথ্য



স্পেশাল করেসপনেডন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ডিপিডিসির কল সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিদ্যৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ডিপিডিসির কল সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিদ্যৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উদ্বোধনী কলে খোদ বিদ্যৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিল ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) কল সেন্টার ১৬১১৬।

প্রতিমন্ত্রী মঞ্চে বসেই বলেন, ‘আমি শাহবাগ থেকে ফোন করছি, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেছে।’

প্রতিমন্ত্রীকে মিনিট খানেক ওয়েটিংয়ে রেখে কল সেন্টার জানায়, ‘কিছুক্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ পাবেন।’ তখন পুরো হল রুমে হাসির রোল পড়ে যায়। প্রতিমন্ত্রীও বিদ্রুপের হাসি দিয়ে বিদায় নিলেন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বলছিলেন, ‘আমি গত পরশুদিন আপনাদের কল সেন্টারে কল করেছিলাম। প্রথমে চাইল গ্রাহক নম্বর, বললাম মনে নেই, এরপর জানতে চাইল এলাকার কোড বললাম জানি না।’

‘এরপর বললাম ফতুল্লায় বিদ্যুৎ নেই, আব্দুল জলিল তালুকদার নামে একজন জানালেন তিনি ফতুল্লায় লোকমান হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন, ওখানে তার ছিড়ে গেছে, কিছুক্ষনের মধ্যে বিদ্যুৎ পাবেন।’

‘পরে ফতুল্যায় ফোন দিলাম, ধরলেন মোবারক হোসেন, তিনি জানালেন সেখানে লোকমান নামে কেউ নেউ। বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি, আর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।’

‘এরপর আমার পিএসকে দিয়ে ফোন করালাম। সে বলল, আমি চকবাজার থেকে বলছি, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। সঙ্গে সঙ্গে কল সেন্টার জানাল, জাতীয় গ্রিড ফেল করেছে কিছুক্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ পাবেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম চকবাজারে এ রকম ঘটনা ঘটেনি।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলে বুঝেন তাহলে সাধারণ গ্রাহকের কী অবস্থা।’

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিদ্যুৎ ভবনে ডিপিডিসির কল সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী জানতে চান, যারা উপস্থিত আছেন, সবাই কি বিদ্যুতের গ্রাহক কিনা। সবাই জবাব দিলেন হ্যাঁ। মন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনারা কি নিজে বিল দেন?’ অনেকেই জবাব দিলেন হ্যাঁ। এবার সামনের দিকে বসা ডিপিডিসির এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলেন, ‘আপনার গ্রাহক নম্বর কত?’ ঐ কর্মকর্তা কাচুমাচু করছিলেন।

এবার এলাকার কোড জানতে চাইলেন, তাও বলতে পারলেন না। এবার প্রতিমন্ত্রী বললেন, ‘এটা মনে রাখা কঠিন। আর আপনারা কল সেন্টারে এসব নম্বর জানতে চাচ্ছেন। জরুরি নম্বর হতে হবে সহজবোধ্য। আজকে ডিপিডিসি করল, কালকে পিডিবি কল সেন্টার করবে। তাহলে মানুষ কয়টা মুখস্ত রাখবে। আবার আমি অন্য এলাকাতেও যেতে পারি। তখন নম্বর প্রয়োজন হতে পারে।’

‘২০১৪ সালে বলেছিলাম একটি ইন্ট্রিগ্রেটেড নম্বর হতে পারে। যেটার সঙ্গে সবগুলো প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকবে। যেমন ৯৯৯ এ কল করলে হাসপাতাল পুলিশ সবই পাওয়া যায়। সহজ করতে হবে। আপনি নিজে কোড মনে রাখতে পারেন না। কাস্টমার কী করে মনে রাখবে?’

ডিপিডিসির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শফিকউল্লাহ বলেন, ‘কল সেন্টারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে। শুধু যেন কলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘দেশে অনেক কল সেন্টার রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় তাদের পাওয়া যায় না। আশা করি ডিপিডিসি সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে সচেষ্ট থাকবে।‘

ডিপিডিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, জরুরি সময়ে কল করা হলে কেউ রিসিভ করেন না, অনেক সময় বন্ধও পাওয়া যায়। এই দুর্ভোগ দূর করতে পাইলট প্রকল্পের আওতায় নতুন কল সেন্টার ১৬১১৬ চালু করা হলো।

এই নম্বরে কল করে অভিযোগ করার পাশাপাশি বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে জানা যাবে। এখানে কল করে নতুন সংযোগ সমস্যার সমাধান, বৈদ্যুতিক ক্রটি, ভোল্টেজ আপ-ডাউন, পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা, মিটার সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা, প্রি-পেইড মিটারের ভেন্ডিংয়ে জটিলতা জানা যাবে।

   

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও দুইজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণের নাম তাফসির (১৮)। তবে আহত দুজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাফসির নামের এক তরুণকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী দুজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। 

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ ছিল। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে চালক লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া
মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার পার্লিস প্রদেশের পেদাং বাসারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের চত্বর থেকে ৪৫ জন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।

অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

পার্লিস ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিন তালিব বলেন, আটককৃতরা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করছিলেন এবং তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

আটককৃতদের মধ্যে ১ জন নারীসহ মোট ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়াও ৩ জন ইন্দোনেশিয়া এবং ১ জন ভারতের নাগরিক রয়েছে। এদের বয়স ১৯ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।

তালিব জানান, শহরের বুকিত চাবাং এলাকার সেকোলাহ সুকান নির্মাণাধীন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের অধিকতর তদন্তের জন্য কুয়ালা পার্লিস কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোট ১০১ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয় অভিযানের সময়। যার থেকে ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি), ধারা ১৫(১)(সি) এবং ধারা ৫৬(১)(ডি) এর অধীনে এই বিদেশিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

;

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকায় ফরিদুল (৪০) নামে এক চোরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে খুটামারার টেংগনমারী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার ছিটমহল বালাগ্রাম এলাকার ইউনূস আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ফরিদুল দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল, গরুসহ বিভিন্ন চুরি করে আসছিলেন। জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে ২১টি চুরির মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সাথে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শিশুদের শরীর ও মনকে সুস্থ-সুন্দরভাবে গড়ে তোলে। শিশুদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতেও খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাঁদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;