প্রসবজনিত ফিস্টুলা সংক্রান্ত জাতীয় কৌশলপত্র ২০১৭-২২ উন্মোচন
প্রসবজনিত ফিস্টুলা সংক্রান্ত জাতীয় কৌশলপত্র ২০১৭-২২ এর উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফিস্টুলা নির্মূলে ৫ বছর মেয়াদি এই কৌশলপত্র উন্মোচন আয়োজন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় জাতীয় কৌশলের লক্ষ্য হচ্ছে, জরুরি প্রসূতি ও নবজাতক পরিচর্যা সেবাকে সহজলভ্য করার মাধ্যমে আয়াট্রোজনিক ফিস্টুলার সংখ্যা কমিয়ে আনা। ২০২২ সালের মধ্যে বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্ত প্রসবের কারণে সৃষ্ট ফিস্টুলার সংখ্যা ৫০ ভাগে নামিয়ে আনা। ২০১৭-২২ এর মধ্যে নিরাময় যোগ্য ফিস্টুলার সংখ্যা শতকরা ৯০ ভাগ এ কমিয়ে আনা।
কৌশলপত্র উন্মোচন অনুষ্ঠানে মুরাদ হাসান বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যেই ফিস্টুলা নির্মূল করতে পারবো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা যদি একসাথে কাজ করি তাহলে ফিস্টুলা নির্মূল করা সম্ভব। সারাদেশে ফিস্টুলা আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি নয়। সচেতন হতে হবে নতুন করে যেন কেউ ফিস্টুলায় আক্রান্ত না হয়। যে সংখ্যা আছে তা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব তন্দ্রা শিকদার, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. আশা টর্কেলসন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডমিন) প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা প্রমুখ।