মসিকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ময়মনসিংহ, বার্তা২৪.কম
মসিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান, ছবি: বার্তা২৪

মসিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) প্রথম নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৩৩ টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১ টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) নগরীর টাউনহলস্থ এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো. আলীমুজ্জামান ফলাফল ঘোষনা করেন।

বেসরকারিভাবে নির্বাচিত সাধারণ কাউন্সিলর যারা:

১ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে আসাদুজ্জামান বাবু ৩৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম লাটিম প্রতীকের আব্দুল ওয়াদুদ ১৩৮০ ভোট পেয়েছেন।

২ নং ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে মোঃ গোলাম রফিক দুদু ১৮১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের এম এ মতিন পেয়েছেন ১৫৯৩ ভোট। 

৩ নং ওয়ার্ডে ঘড়ি প্রতীক নিয়ে মোঃ শরীফুল ইসলাম পেয়েছেন ২৯৮১ ভোট, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকের মোঃ রফিকুল ইসলাম শাহীন পেয়েছেন ৪২৯ ভোট।   

৪ নং ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীক নিয়ে মোঃ মাহবুবুর রহমান ১৯১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীকে মোঃ রাসেল পাঠান ১৪৫৯ ভোট পেয়েছেন।   

৫ নং ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীক নিয়ে মোঃ নিয়াজ মোর্শেদ ১৩৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে মোঃ মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৮২৯ ভোট।

৬ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু ২৮৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকে মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান ১৭২ ভোট পেয়েছেন।

৭ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে আসিফ হোসেন ডন ১৪৯০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকের বিপ্লব কুমার সরকার ৩৯৮ ভোট পেয়েছেন।  

৮ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীকের ফারুক হাসান ১৮৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকে বিকাশ সরকার পেয়েছেন ১৪৭৫ ভোট।

৯ নং ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে শীতল সরকার ২২৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীকের মোঃ আল মাসুদ পেয়েছেন ১৬৫৯ ভোট। 

১০ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম ১৮২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম লাটিম প্রতীক নিয়ে রতন চৌধুরী পন্ডিত পেয়েছেন ১৭৪৪ ভোট।  

১১ নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে মোঃ ফরহাদ আলম ১৩৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকে খন্দকার আনিসুজ্জামান এলিছ ৪২৯ ভোট পেয়েছেন।  

১২ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ২০১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আনিসুর রহমান, তার নিকটতম লাটিম প্রতীকে হানিফ মোঃ ওয়ালিউল্লাহ ১৩৭৭ ভোট পেয়েছেন।  

১৩ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে দেলোয়ার হোসেন ১৬২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মোঃ আব্বাস আলী তালুকদার ১২৬৫ ভোট পেয়েছেন।  

১৪ নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে মোঃ ফজলুল হক ১৩৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মোঃ আাতিকুর হাসান মাসুম ১০৭২ ভোট পেয়েছেন।

১৫ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে মোঃ মাহবুব আলম হেলাল ২০৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম লাটিম প্রতীকে মোঃ রফিকুল ইসলাম ১৫৬৪ ভোট পেয়েছেন।  

১৬ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে মোঃ আব্দুল মান্নান ১৯২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীকে মোঃ শরাফ উদ্দিন ১৫৭১ ভোট পেয়েছেন।  

১৭ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মোঃ কামাল খান ২০৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকের মোঃ নজরুল ইসলাম ১৮৩৭ ভোট পেয়েছেন।  

১৮ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে হাবিবুর রহমান হবি ২৮১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকে মোঃ জামাল হোসেন রোজ ২২১৫ ভোট পেয়েছেন।

১৯ নং ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে মোঃ আব্বাস আলী মন্ডল ৩২০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম করাত প্রতীকে মোঃ মাহবুবুর রহমান ২৭৯৭ ভোট পেয়েছেন।  

২০ নং ওয়ার্ডে লাঠিম প্রতীক নিয়ে মোঃ সিরাজুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন  ২১১৩ ভোট পেয়ে, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকে মোঃ সাইদুর রহমান তারু ১০৫৫ ভোট পেয়েছেন।

২১ নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে মোঃ মোস্তফা ফারুক ৯৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মোঃ লাল মিয়া লাল্টু ৩৯৮ ভোট পেয়েছেন।  

২২ নং ওয়ার্ডে ট্রাক্টার প্রতীক নিয়ে মোঃ মোস্তফা কামাল ১০১১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীকে মোঃ আবুল হাসেম ৬৩৯ ভোট পেয়েছেন।

২৩ নং ওয়ার্ডে করাত প্রতীক নিয়ে মোঃ সাব্বির ইউনুস ১৭৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ট্রাক্টর প্রতীকে মোঃ নাজমুল হাসান ৯৫৩ ভোট পেয়েছেন।  

২৪ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ৯৪৫ ভোট পেয়ে  নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম কাটা চামচ প্রতীকের মোঃ আসলাম হোসেন পেয়েছেন ৫৬৫ ভোট।

২৫ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মোঃ মনোয়ার হোসেন ১১২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম  মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে মোঃ ওমর ফারুক ১০৩২ ভোট পেয়েছেন।

২৬ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে মোঃ শফিকুল ইসলাম ১৯৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে মোমিন রুবেল পেয়েছেন ৭৯১ ভোট পেয়েছেন।

২৭ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে মোঃ শামসুল হক ১৯৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে মোঃ খায়রুল ইসলাম ১৪৭৮ ভোট পেয়েছেন।

২৮ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে কায়সার জাহাঙ্গীর আকন্দ ১৯৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকে মোঃ গোলাম হোসেন হামিদ ৮৬৮ ভোট পেয়েছেন।

২৯ নং ওয়ার্ডে এয়ার কন্ডিশন প্রতীক নিয়ে মোঃ রফিকুল ইসলাম ১০২১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে, তার নিকটতম ঝুড়ি প্রতীকে মোঃ আবুল হোসেন ৭০৯ ভোট পেয়েছেন।

৩০ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে আবুল বাসার ১৫৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম এয়ার কন্ডিশনার প্রতীকে মোঃ শাহ আলম ১০২৫ভোট পেয়েছেন।

৩১ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মোঃ আসাদুজ্জামান ৩১০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ট্রাক্টর প্রতীকে মোঃ সেলিম উদ্দিন ২৭৪৪ ভোট পেয়েছেন।

৩২ নং ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীক নিয়ে মোঃ এমদাদুল হক মন্ডল ২৩৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ঝুড়ি প্রতীকে আবু বক্কর সিদ্দিক ১৬১৩ ভোট পেয়েছেন।

৩৩ নং ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীক নিয়ে মোঃ শাহজাহান ৪৫১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম মিষ্টি ঘুড়ি প্রতীকে মোস্তফা কামাল পেয়েছেন ২২১১ ভোট।

সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচিত যারা:

১/২/৩ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে স্টীল আলমারী প্রতীক নিয়ে সেলিনা আক্তার ৩৮০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম চশমা প্রতীকে আকিকুন নাহার ৩৭৫২ ভোট পেয়েছেন।

৪/৫/৬ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে শাম্মী আক্তার মিতু ৪৮৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম আনারশ প্রতীকে খোদেজা আক্তার ৩২৭৫ ভোট পেয়েছেন।

৭/৮/৯ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে মোছাঃ হামিদা পারভীন ৩৩০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ডলফিন প্রতীকে আরতী গুপ্তা ২৯৭০ ভোট পেয়েছেন।

১০/১১/১২ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে রোকসানা শিরিন ২৩১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছের, তার নিকটতম জীপগাড়ি প্রতীকে রীতা পাল ২১০৭ ভোট পেয়েছেন। 

১৩/১৪/১৫ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে রোকেয়া হোসেন ৪৫৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম আনারশ প্রতীকে স্বপ্না খন্দকার ৩৪৬৩ ভোট পেয়েছেন। 

১৬/১৭/১৮ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে রোকসানা পারভীন কাজল ৪৪০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম মোবাইল ফোন প্রতীকে মোছাঃ রানী বেগম ৩৫৭৪ ভোট পেয়েছেন। 

১৯/২০/২১ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে শামীমা আক্তার ৯৫৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম বই প্রতীকে ইসমত আরা বানু  ৩৬৮৪ ভোট পেয়েছেন। 

২২/২৩/২৪ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে শাহনাজ বেগম ৪৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম আনারশ প্রতীকে মোছাঃ হাজেরা খাতুন ৩৮০৬ ভোট পেয়েছেন। 

২৫/২৬/২৭ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে আইরিন আক্তার ৪৯৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম মোবাইল ফোন প্রতীকে মোছাঃ রিনা আক্তার ৪৭৫৮ ভোট পেয়েছেন। 

২৮/২৯/৩০ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে কাউসার ই জান্নাত ৫৭২১ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম বেহালা প্রতীকে মোছাঃ হামিদা ৫০১৫ ভোট পেয়েছেন।

৩১/৩২/৩৩ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে মোছাঃ ফারজানা ববি কাকলী ৬৫৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম হেলিকপ্টার প্রতীকে মোছাঃ কুলসুম বেগম ৪৮৯৩ ভোট পেয়েছেন। 

আর আগে, ১২৭ টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে সকাল ৮ টা থেকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। এতে ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪২জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।  

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বি কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র ও মসিক প্রশাসক ইকরামুল হক টিটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হয় শুধুমাত্র কাউন্সিলর পদে।

   

সিরাজগঞ্জে দুই মাথা ৪ চোখ নিয়ে বাছুরের জন্ম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই মাথা ও চার চোখ নিয়ে জন্ম নিয়েছে একটি গরুর বাছুর। এ খবর শুনে উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে খামারির বাড়িতে ভিড় করছে।

এই অদ্ভুত বাছুরটি জন্ম হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পালাশী গ্রামের খয়বার আলীর বাড়িতে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকালে খামারির বাড়িতে জন্ম নেওয়া পর থেকে বাছুরটি দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।

খয়বার হোসেন বলেন, গাভীটি আমার গৃহপালিত। চার বছর আগে বিদেশি ষাড়ের মাধ্যমে প্রজনন দিয়ে প্রসূতি গাভীটির জন্ম হয়। পরবর্তীতে গাভীটি বড় হলে প্রজননের জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করে গর্ভধারণ করা হয়। দীর্ঘ আট মাস ২৩ দিন পর গাভীটি দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি বকনা বাছুর প্রসব করে। বকনা বাছুরটি এখনো নড়াচড়া করছে। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দুই মাথার কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, বাছুরটি অস্বাভাবিক, দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট। অস্বাভাবিক প্রকৃতির এই বাছুরটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে।

তাড়াশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে এরকম বাছুর প্রসব করার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও প্রজনন গত কারণেও এ রকম অস্বাভাবিক বাছুর প্রসব হতে পারে। তবে এমন বাছুর প্রসব খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।

;

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;