জনসংখ্যার অনুপাতে শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়াতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাখাতে বাজেটে যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা টাকার পরিমাণে কম না; কিন্তু জনসংখ্যার অনুপাতে সেটি খুব কম। এসব বিষয় চিন্তা করে শিক্ষাখাতে আরো বাজেট বাড়াতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটসের উদ্যোগে ‘আগামী বাজেট ও শিক্ষাখাত: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংখ্যাগত উন্নয়নের সাথে শিক্ষার মান বাড়ানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। বলনে, প্রাথমিকে শিশু ঝড়ে পড়ার হার আমরা কমিয়েছি। চেষ্টা করছি শিক্ষার মান উন্নয়ন করার। শিক্ষার মান যদি উন্নত করতে হয় এবং ঝরে পড়ার হার যদি আরও কমাতে পারি তাহলে শিক্ষার ক্ষেত্রে বাজেটে বরাদ্দের হার আরও বাড়াতে হবে।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষা বাজেটের আকার বাড়লেও, মূল বাজেটের দুই শতাংশেরও কম। শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মাথায় রাখতে হবে। যেহেতু পদ্মাসেতুর মতো বড় প্রকল্প সরকার নিজ টাকায় করছে। তবে, সরকার শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাজেটে শিক্ষাখাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ আমরা পাব। কারণ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব ও শিক্ষাবান্ধব সরকার। এই সরকারের যতগুলো জায়গায় কাজ করার সুযোগ আছে, সেখানে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ কাজ করবে। আমরা আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা হবে, বিষয়টি উল্লেখ করেছিলাম। সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যে পরিমাণ আর্থিক বরাদ্দ ও বিনিয়োগ প্রদান করতে হবে, সেখানেও বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার সমানভাবে মনোযোগী।

তিনি বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু পরিবর্তন হয়। গত ১০টা বছর কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হয়েছে সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার। আমরা সব শিশুদের স্কুলে আনতে চাই। ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের যে নির্বাচনী ইশতেহার ছিল সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, আমাদের জিডিপির অন্তত চার ভাগ শিক্ষারক্ষেত্রে থাকবে। বিশ্বের অনেক দেশ এটি চার এর ওপরে আছে। আমাদের সমপরিমাণও আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির এনএইচএনের ডিরেক্টর অ্যান্ড কনসালটেন্ড ডা. সিএম দিলোয়ার রানা, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেন এমডব্লিউইআরের আহবায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ প্রমুখ। সেমিনার সঞ্চালনা করেন এএসএম সুজাউদ্দীন।

সেমিনারে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, নতুনরা শিক্ষা বাজেট নিয়ে ভাবছে এটিই বড় পাওয়া। আমরা কাজটা শুরু করেছিলাম দীর্ঘদিন বিষয়টি বন্ধ ছিল। নতুনদের কাজে কিছু দুর্বলতা থাকবেই।

স্কুলগুলোকে মিড ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করতে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, পেটে ক্ষুধা রেখে বিদ্যা হয় না। তাই মিড ডে মিলে বিস্কুট দিলে চলবে না। তাদের পেট ভরে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষায় অবশ্যই বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে। সুশিক্ষিত মানুষ গড়ে তুলতে হবে। আজ সুশিক্ষিত মানুষের অভাবের কারণে নুসরাতের মতো মেয়েদের নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুর মুখে পড়তে হচ্ছে।

ডা. দিলওয়ার রানা বলেন, শিক্ষার সাথে সাথে স্বাস্থ্যখাতেও বাজেট বাড়াতে হবে। সাথে সাথে সেই বাজেট কিভাবে ব্যয় হচ্ছে সেটিও তদারকি করতে হবে।

আসন্ন অর্থবছরে সরকারি, বেসরকারি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বাজেটের আওতায় আনতে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজনের প্রস্তাব তুলে ধরেন ফারুক আহমাদ আরিফ। তিনি বলেন, ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় এবং মাধ্যমিকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এতে উন্নয়ন খাতে ২৫ হাজার কোটি ও অনুন্নয়ন খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে। আর উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসা ও উচ্চ শিক্ষায় ৮০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। আর উচ্চ মাধ্যমিকে ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে উন্নয়ন খাতে ৮ হাজার কোটি ও অনুন্নয়ন খাতে ১২ হাজার কোটি টাকা। মাদরাসায় ৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে উন্নয়ন খাতে ৩ হাজার ও অনুন্নয়ন খাতে ৫ হাজার কোটি টাকা। তবে এসব অর্থ জঙ্গি অর্থায়নে যাতে ব্যবহার করা না হয় সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে। উচ্চ শিক্ষায় ৪৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে উন্নয়ন খাতে ২২ হাজার কোটি টাকা ও অনুন্নয়ন খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং শুধু গবেষণা খাতে আলাদাভাবে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে। অর্থাৎ জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ এবং জাতীয় আয়ের ৭ শতাংশ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করতে হবে বরাদ্দ নয়।

বাজেটে আয়ের খাতসমূহ: আয়ের খাতের মধ্যে সরকারি উৎস হতে ৮০ হাজার কোটি টাকা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দিবে ৪০ হাজার কোটি টাকা ও ২০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান।

উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো টিউশন ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে অর্থ আদায় করে সেখানে- ১. একাডেমিক ব্যয়, ২. অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যয় বাদ দিয়ে যে অর্থ রয়ে যাবে তা সরকারকে দিয়ে দিতে বাধ্য থাকবে। সরকার সেই অর্থ দিয়ে সরকারি-বেসরকারি ১. প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যে জমি প্রদান, ২. শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, পেনশন, উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ৩. কর্মকর্তা-কর্মচার্রীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন, ৪. সিলেবাস ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও বিতরণ করবে ৫. শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঋণ দিবে, ৬. শতভাগ আবাসন (শিক্ষার্থী-শিক্ষক), ৭. যাতায়াত, ৮. গবেষণা, ৯. চিকিৎসা, ১০. পুষ্টিকর খাবার, ১১. বিদেশি বৃত্তিসহ শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

এছাড়াও তিনি বিশেষভাবে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। যথা-

১. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অনার্স ও ডিগ্রির প্রথম বর্ষে ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি তথ্য সম্বলিত সংক্ষিপ্ত বই রচনা করে অনার্স ও ডিগ্রির দ্বিতীয় বর্ষে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

২. শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঋণ দিতে হবে, যা কর্মজীবনে গিয়ে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করবে।

৩. শিল্প-কারখানা, প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা তাদের লাভের শতকরা ৩ শতাংশ অর্থ সরকারকে দিবে, সরকার সেসব অর্থ দিয়ে এডুকেশন ব্যাংক নামে শুধু শিক্ষাসংক্রান্ত ব্যাংক হিসেবে চালু করবে।

৪. ২০৪১ সালে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বিনামূল্যে প্রদান করতে হবে।

৫. এসব কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য একটি কমিটি করতে হবে যেখানে সদস্য থাকবে ক. শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, খ. প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি এবং গ. সরকারে প্রতিনিধি থাকবে।

   

চরফ্যাসনে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার চরফ্যাশনে হিটস্ট্রোকে মিরাজ (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে দুলারহাট থানার আবুবক্করপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক মিরাজ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

প্রতিবেশী আরিফ জানান, যুবক মিরাজ প্রচণ্ড রোদে দুপুরে তার নিজ বাড়িতে কাজ করছিলো। প্রায় দুই ঘণ্টা তীব্র রোদে থাকার পর হঠাৎ তার বুকে ব্যথার অনুভব হয়। বিকালে ব্যথা আরও তীব্র হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরফ্যাসন হাসপাতালে কর্মরত সাব-অ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যুবক মিরাজ হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

;

ফেনীতে গরমে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকদিনের তীব্র গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা, সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে ছোট সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এটি রেকর্ড মূল্য মনে করছে ক্রেতারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, নাজির রোড, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, কলেজ রোড ও সদর হাসপাতাল মোড়, মুক্তবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ডাবের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বেশি হলেও গরমের ক্লান্তি কাটাতে ডাব কিনে খাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।


শহরের নাজির রোড এলাকায় ডাব বিক্রি করেন রিফাত। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে। গত বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখিনি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এত দাম ছিল না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুক্তাবাজারের ডাব বিক্রেতা এসানুল হক বলেন, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত, কিন্তু এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন, আর তাই পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

সাফওয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।


শহরের হাসপাতাল মোড়ে কথা হয় সাহাবউদ্দিন নামে আরেক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের বাজারদর নিয়ে তিনি বলেন, ১২০ টাকার নিচে তেমন কোনো ভালো ডাব নেই। যেভাবে গরম পড়ছে কিছুটা স্বস্তির জন্য এখানে এসেছি। সব দোকানেই দাম প্রায় একই।

শহরের নাজির রোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, গরমে গত কয়েকদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০-৪০টি ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।

ফেনী মহিপাল ফল আড়তের আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ফেনী শহরে যেসব ডাব বিক্রি হয় সেগুলো মূলত নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এলাকার। অল্প কিছু ডাব জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী থেকে আসে। এখানে ডাবের কোনো আড়তও নেই। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে ট্রাকে করে ডাবগুলো এনে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি ডাবের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে।

শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের এডাব ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, গরমে প্রতিদিন এখন ৬০ থেকে ৭০টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। নোয়াখালী ও সোনাগাজী অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেনা ডাব মানভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঠান্ডা মৌসুমে একই ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় বলেন তিনি।

;

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় জানা যায়নি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে শহরের সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে চলমান রেললাইন হতে ১০ ফিটের বাহিরে এক মহিলার লাশ পড়ে থাকতে থেকে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

;

রাজ-পরীর সংসারে নতুন ২ অতিথি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ রাজ ও বাঘিনী পরীর ঘর আলোকিত করে এসেছে নতুন তিন অতিথি। যদিও একটা শাবক মৃত ছিল। এ নিয়ে চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ টিতে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ।

তিনি বলেন, রোজার ঈদের দুই দিন আগে ৯ এপ্রিল সকাল আটটার দিকে বাঘ রাজ-পরীর সংসারে তিনটি মেয়ে বাঘ শাবক জন্ম নেয়। তখন আমরা একটি শাবক মৃত অবস্থায় পায়। বাকি দুটি শাবক মায়ের সঙ্গে আছে। সুস্থ আছে, দুধও খাচ্ছে। ঈদের সময় একটু ব্যস্ততা ছিল তাই আমরা বিষয়টি তখন জানাতে পারিনি।

‘এনিয়ে রাজ-পরীর ঘরে মোট ১২টি বাঘ ও শাবক রয়েছে। যার মধ্যে ৪টি পুরুষ, বাকি সব মেয়ে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন শাবক ‍দুটির নাম দেওয়া হবে। আমরা আরও একমাস পর দর্শনার্থীদের জন্য শাবকগুলো উন্মক্ত করব, বলেন চিড়িয়াখানার এ কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন দুই শাবকসহ বর্তমানে বাঘের সংখ্যা মোট ১৯টি, যার মধ্যে ১৩টি মেয়ে ৬টি পুরুষ। ১৯টির মধ্যে ৫টি সাদা বাঘ‌।

গতবছর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্মগ্রহণ করা এক জোড়া বাঘ দিয়ে প্রাণী বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা হতে এক জোড়া জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ৩৩ লাখ টাকায় কেনা ১১ মাস বয়সী রাজ এবং ৯ মাস বয়সী পরীকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই বেঙ্গল টাইগার দম্পতি রাজ-পরীর তিনটি ছানার জন্ম হয়। যার মধ্যে দুটি ছিল ‘হোয়াইট টাইগার’, অন্যটি কমলা-কালো ডোরাকাটা। পরদিন একটি সাদা বাঘ শাবক মারা যায়। অন্য সাদা বাঘিনীটি ‘শুভ্রা’। কমলা-কালো বাঘিনীটির নাম দেওয়া হয় ‘জয়া’। শুভ্রা বাংলাদেশে প্রথম সাদা বাঘ। এর আগে দীর্ঘ পাঁচ বছর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা বাঘ শূন্য ছিল।

;