‘স্বপ্নতরীতে’ নিঃস্ব উত্তরাঞ্চলের হাজারো খামারি



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড, ছবি: বার্তা২৪.কম

স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার খামারি খালিদ মাহমুদ। টার্কি মুরগির আদর্শ খামারি প্যাকেজে একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন ১৭ লাখ টাকা। তার মতো এই উপজেলার অন্তত ৩০ জন বিভিন্ন প্যাকেজে কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। 

চুক্তি অনুযায়ী বিনিয়োগকারীর শুধু খামার থাকলেই চলবে। বাকি সব দায়িত্ব নেবে প্রতিষ্ঠানটি। মুরগির দেখাশুনা থেকে খাবার সরবরাহ এবং কোনো কারণে মুরগি মারা গেলেও ক্ষতি হবে না খামারির। বরং ৯০ দিন পর শর্ত অনুযায়ী খামারিদের কাছ থেকে মুরগি ফেরত নিয়ে মূলধন ও লভ্যাংশ বুঝিয়ে দেয়ার কথা। 

তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মূলধন কিংবা লভ্যাংশ কোনো টাকাই পাননি খামারিরা। বিভিন্ন অজুহাতে বিনিয়োগের টাকা না দিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এতে করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর গ্রামের সহজ সরল খামারিরা এখন নিঃস্ব। খালিদ মাহামুদের মতো রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার  হাজারের অধিক খামারি বিভিন্ন প্যাকেজের ফাঁদে পড়ে দিশেহারা।

অভিনব প্রতারণার এই অভিযোগ উঠেছে স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। ডেসটিনির আদলে ব্যবসার ফাঁদে ফেলে খামারিদের কাছ থেকে অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। 

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে স্লুইসগেট রোড সংলগ্ন স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড গত এক বছরে বিভিন্ন প্যাকেজে অন্তত এক হাজার দুইশ খামারিকে বিনিয়োগ করাতে সফল হয়েছেন। এখন চুক্তি অনুযায়ী প্যাকেজের মেয়াদ পার হওয়ার পর খামারিদের টাকা না দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন স্বপ্নতরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানিক চন্দ্র বর্মন ও মহাব্যবস্থাপক শরিফুল আলম। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/21/1555827337041.jpg

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উত্তরের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ দিয়ে অল্প সময়ে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বিনিয়োগকারী সংগ্রহ করে থাকেন। লোভনীয় ছয়টি প্যাকেজে এই প্রতিষ্ঠানটিতে অংসখ্য মানুষ বিনিয়োগ করেন। চুক্তি অনুযায়ী বিনিয়োগকারী স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেডের কাছে টার্কি মুরগি কিনবে আবার নির্দিষ্ট ৯০ দিন পর তাদের কাছেই মুরগি বিক্রি করবে খামারিরা। 

স্বপ্নতরীর টার্কি মুরগির প্রথম প্যাকেজে ২৪ হাজার ৮০০ টাকা বিনিয়োগে ৯০ দিন পর বিক্রয় মূল্য হবে ৩৩ হাজার ৩০০ টাকা। দ্বিতীয়টিতে ৯৯ হাজার ২০০ টাকা বিনিয়োগে বিক্রয় মূল্য ১ লাখ ৩৩ হাজার ২০০ টাকা, তৃতীয় প্যাকেজে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা বিনিয়োগে বিক্রয় মূল্য ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬০০ টাকা। চতুর্থ প্যাকেজে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ২০০ টাকা বিনিয়োগে বিক্রয় মূল্য ৭ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা, পঞ্চম প্যাকেজে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা বিনিয়োগে ১৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা  এবং ষষ্ঠ প্যাকেজটিতে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে ৯০ দিন পর লভ্যাংশসহ ফেরত পাবে ১৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। প্রতিটি প্যাকেজেই আলাদা করে খাবার ও বিদ্যুৎ বিলের টাকা জমা দিতে হবে খামারিদের। তবে মুরগির খাবার ও দেখাশুনার জন্য স্বপ্নতরী থেকেই প্রত্যেক উপজেলায় রয়েছে একজন করে মাঠ পরিদর্শক। 

ডেসটিনির আদলে গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানিক চন্দ্র বর্মণ। যিনি এক সময় ডেসটিনির পিএসডি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলন। তাঁর চতুর্মূখী প্রলোভন আর ব্যবসার পরিকল্পনা সহজেই আকৃষ্ট করেছে রংপুর বিভাগের সাধারণ খামারিদের। 

দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার সহস্রাধিক খামারি টার্কি মুরগির প্রজেক্টে অর্ধশত কোটির মতো বিনিয়োগ করেছে। তাদের সবার স্বপ্ন ছিলো স্বপ্নতরীর হাত ধরে স্বাবলম্বী হবেন। কিন্তু এখন এই বিনিয়োগে তৈরি হয়েছে খামারিদের নিঃস্ব হওয়ার পথ 

জানা গেছে,  ৮ সদস্যের নির্বাহী কমিটি দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। যার চেয়ারম্যান মানিক চন্দ্র বর্মন নিজেই। আর বাকিদের মধ্যে মানিক চন্দ্রের স্ত্রীসহ তার নিকটতম আত্মীয় স্বজনরা রয়েছেন। যারা মানিক চন্দ্রের স্বপ্নতরীর কারবার সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করছেন। 

স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড এর উপদেষ্টা মানিক চন্দ্র বর্মণের স্ত্রী মিনতি রাণী সাহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা কাউকে হয়রানি করছি না। কিছু সমস্যার কারণে টাকা দিতে দেরি হচ্ছে। চুক্তির মেয়াদ পার হয়েছে সত্য। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি।’

এদিকে বিনিয়োগকারী খামারিদের অভিযোগ চুক্তির মেয়ার উত্তীর্ণ হবার পর থেকে দেখা দিচ্ছেন না প্রতিষ্ঠান প্রধান। আর অন্য দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরাও বলছেন তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এতে করে চরম হতাশা ও দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছে নিরুপায় খামারিদের। 

ডোমার উপজেলার জয়নাল আবেদীন, সালিম জাবির ও আল-আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা অনেক আশা নিয়ে স্বপ্নতরীতে বিনিয়োগ করেছিলাম। ভেবেছিলাম বেকারত্ব ঘুচিয়ে পরিবারকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকব। কিন্তু স্বপ্নতরীর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আজ আমরা নিঃস্ব। চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিলাম, মুরগি নিলাম, ফের মুরগি ফেরত দিলাম। কিন্তু এখন বিনিয়োগকৃত টাকা বা লভ্যাংশ কোনটাই পাচ্ছি না। আমরা অনেকবার মানিক চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ফিরে এসেছি।’

খুব অল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া মানিক চন্দ্র বর্মণের এমন প্রতারণার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন কিছুই জানেন না বলে দাবি করলেও ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা বলছেন, স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড সকলকে ম্যানেজ করেই শত শত কৃষক ও খামারির কষ্টার্জিত বিনিয়োগের টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/21/1555827360011.jpg

স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড এর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শুভ সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা কারো  সঙ্গে প্রতারণা করব না। যারা বিনিয়োগ করেছে, সবাই টাকা ফেরত পাবে। আমাদের জিএম শরিফুল আলম মোটা অংকের টাকা ও গাড়ি নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এছাড়াও বেশ কিছু সমস্যার কারণে খামারিদের টাকা দিতে বিলম্ব হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিলা পারভীন জানান, ‘স্বপ্নতরীতে হয়রানি বা প্রতারণার শিকার হয়েছেন, এমন কেউ অভিযোগ করেনি। আমরা অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার কাছে অনেকেই মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি স্বপ্নতরীর ব্যাপারে কোনো ধরণের গ্রাহক হয়রানি বা অর্থ আত্মসাতের ঘটনার চেষ্টা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসময় তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক কোনো অনুমতি ছাড়াই মাইক্রোকেডিট ব্যবসা ও স্বপ্নতরী মেধা ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ নামে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন।    

এ ব্যাপারে স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানিক চন্দ্র বর্ম্মণের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  

 

   

২৮৮ সেনা-বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে পাঠাল বিজিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ফলে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনা সদস্যসহ ২৮৮ জনকে সে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।

বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বিজিপি সদস্য, চারজন সেনা সদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্যসহ মোট ২৮৮ জনকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আজ ভোরে বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর উপলক্ষে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট কাছে বিজিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। পরে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট ত্যাগ করে।

এর আগে জাহাজে করে আগত মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আগত বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়।

;

যুদ্ধ কখনোই কোনো সমাধান দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ইউএনএসকাপ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

যুদ্ধের ভয়াবহতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কখনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনও বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেয়া উচিত।

এ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান শেখ হাসিনা।

;

ভার পেয়ে মওকা খুঁজলেন মাউশির ডিজি, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে উকিল নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: মাউশির ডিজি প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী

ছবি: মাউশির ডিজি প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)র মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে ভারপ্রাপ্ত হয়েছিলেন অধিদপ্তরের কলেজ প্রশাসনের পরিচালক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী। এ সময়ে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করে উচ্চতর পদটি পাওয়ার চেষ্টাই করার কথা ছিলো তার। কিন্তু সেটা না করে মওকা বুঝে অর্থ আত্মসাৎ করে নিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে পাঠানো হয়েছে উকিল নোটিশ। বলা হচ্ছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির বড় অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই অধ্যাপক।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির বর্তমান সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর শাহেদুল খবির ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে গত দুই বছর ধরে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত ছয় বছরে দুই পদে দায়িত্ব পালনের সময়ে সমিতির সাধারণ তহবিল ও বিশেষ তহবিল খাতের অর্থ জনতা ব্যাংকের দুটি ব্যাংক হিসাব থেকে তুলে বিভিন্ন কাজে ব্যয় করেন। যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন কলেজ থেকে চাঁদা আদায়সহ সমিতির নানাখাতের আয় ও ব্যয়ের হিসাব নিয়ে সদস্যদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ফলে অনেকটা চাপের মুখে শাহেদুল খবিরের নিজের লোক হিসেবে পরিচিত প্রফেসর আ ন ম শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে অডিট কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি সমিতির ব্যাংক হিসাব ও আয়-ব্যয়ের অডিট করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকার গড়মিল খুঁজে পায়। 

আর সেই অডিটের সূত্র ধরে শাহেদুল খবিরকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সমিতির সাধারণ সদস্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক।

এই শিক্ষকের পক্ষে আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. শাহীন আলী।

এই নোটিশে শাহেদুল খবিরের পাশাপাশি তার সঙ্গে আর্থিক অনিয়মে জড়িত জড়িত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর খান রফিকুল ইসলাম, সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বর্তমানে ওএসডি হয়ে চট্টগ্রাম জেলার স্বন্দীপের হাজী আব্দুল বাতেন কলেজে সংযুক্ত সহযোগী অধ্যাপক মো. শওকত হোসেন মোল্ল্যা, সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমানে ওএসডি হয়ে একই কলেজে সংযুক্ত ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামাল আহমেদকে একই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নোটিশে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সমিতির একাধিক সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রফেসর নাসরিন বেগম ও আইকে সেমিলউল্লাহ খন্দকার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির দায়িত্বে ছিলেন। তাদের মেয়াদে এক কোটি ৯ লাখ টাকা পরবর্তী কমিটি অর্থাৎ ২০১৬ সালে নির্বাচিত সভাপতি আই কে সেলেমউল্লাহ খন্দকার ও মহাসচিব প্রফেসর শাহেদুল খবিরের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে যান। ২০১৬ সালের সমিতির ১২৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশগ্রহণ করে। একটি আই কে সেলেমউল্লাহ খন্দকারের প্যানেল, অন্যটি শাহেদুল খবিরের প্যানেল। এই নির্বাচনে সেলেমউল্লাহ খন্দকার সভাপতি নির্বাচিত হন। তার প্যানেলের আর কেউ নির্বাচিত হতে পারেন নি। বাকি ১২২ পদে শাহেদুল খবিরের প্যানেল নির্বাচিত হয়। ফলে কমিটিতে সেলেমউল্লাহ খন্দকার একা হয়ে যান। এই সুযোগে মহাসচিব হিসেবে শাহেদুল খবির ও তার প্যানেলের কোষাধক্ষ্য মুন্সিগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও নায়েমের সাবেক উপ-পরিচালক খান রফিকুল ইসলাম মিলে সভাপতিকে পাশকাটিয়ে সমিতির সকল ব্যাংক একাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এই সুযোগে ২০১৬ থেকে ২০১২২ সাল পর্যন্ত দুজনের স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে কয়েক কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। সারাদেশের কলেজগুলো থেকে গত ৬ বছর ধরে তারা চাঁদা তুলেছেন। এই সময়ে কোন কলেজ কতটাকা চাঁদা দিয়েছে। এই টাকা কি ভাবে খরচ করা হয়েছে। পূর্বের হিসাবের সঙ্গে বর্তমান হিসাবের কোনো ধারাবাহিকতা তারা রক্ষা করেন নি। 

এর ফলে সমিতির সাধারণ সদস্যদের মাঝে কমিটির নানা খাতের ব্যয় ও আয়ের বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে সমিতির ক্ষমতাশীন নেতাদের এমন অন্যায়ের প্রতিবাদ জানালে চলতি বছরের মার্চ মাসের ৭ তারিখ দুটি অডিট কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ২৪ দিন পর গত ৩১ মার্চ অডিট প্রতিবেদন জমা দেয়। দুটি কমিটির প্রধান ছিলেন দুজন অধ্যাপক। তারা এই হিসাব ও ব্যাংক বিবারণ দেখে নিজেরাই বিব্রত। ফলে অনেকটা অনিচ্ছা সত্যেও সভাপতির নিজেদের লোকদের করা অডিটেও ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার গরমিল উল্লেখ করা হয়।

সমিতির সদস্যদের আরও অভিযোগ, সাধারণ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে নিজেদের ক্ষমতাধর ভেবে কমিটির সভাপতি ও তার নেতৃত্বাধীন নেতারা কোনো নিয়ম মানছেন না। এছাড়া বর্তমান কমিটির ভোটেও নয়-ছয়ের অভিযোগও করছেন অনেকে। 

অডিটে অংশ নেওয়া একাধিকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অডিট কমিটির কাছে উপস্থাপন করা বেশিরভাগ ভাউচারে কাটাকাটি করা হয়েছে। ব্যয়ের খাত উল্লেখ নেই। এমন কি লাখ লাখ টাকা খরচ করা হলেও তার খাত বা ভাউচার দেখাতে পারেন নি। ফলে বিসিএস ক্যাডারের পেশাজীবি একটি সংগঠনের সদস্যদের কোটি কোটি টাকার ব্যয়ের হিসাব রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের বড় ধরনের অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। এতে অডিট কমিটির প্রধানসহ সবাই হতবাক হয়েছেন।   

এদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসে বিসিএস ক্যাডার–বৈষম্য, পদোন্নতিসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারাদের প্রায় ১৫ দিন কর্মবিরতি পালন করেন। এই কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবিতে সারাদেশে শিক্ষকদের ১৫ দিন কর্মবিরতির নেপথ্যে ছিলেন শাহেদুল খবির। তিনি পদোন্নতি এনে দেওয়ার নামে অনেকটা চাপ প্রয়োগ করে বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের শেষ সময়ে নির্বাচনের আগে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। যদিও পরবর্তীতে তার পদ নিয়ে টানাটানি শুরু হলে তিনি আন্দোলন থেকে সরে আসেন এবং শিক্ষকদের  আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে বলেন। সেই সময়ে আন্দোলনের বিষয়ে শাহেদুল খবির গণমাধ্যমে নানা বক্তব্য দিয়েছিলেন। বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে খুঁজে যার সত্যতা পাওয়া যায়। 

এছাড়া শাহেদুল খবিরের অন্যতম সহযোগী শওকত হোসেন মোল্যার সন্দ্বীপ হাজী আব্দুল বাতেন কলেজে বদলি হলেও তিনি বিগত তিন বছর কলেজে যান না। কলেজে না যেয়েও কলেজ অধ্যক্ষের সহযোগিতায় বেতন তুলছেন। তিনি শাহেদুল খবির চৌধুরীর নিজের লোক হওয়ায় কর্মস্থলে দীর্ঘদিন না গেলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই শাহেদুল খবির চৌধুরীর যোগসাজশে নোয়াখালী সরকারি কলেজের যাবতীয় অনিয়ম দুর্নীতি শিক্ষক হয়রানি হচ্ছে। শিক্ষা সচিব নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সালমা আক্তার ও উপাধ্যক্ষ লোকমান ভূঞাঁ এর বিরুদ্ধে পৃথক তদন্তের আদেশ দিলেও তদন্ত আটকে রেখেছেন শাহেদুল খবির চৌধুরী। সারাদেশে শিক্ষায় দুর্নীতিবাজদের গুরু শাহেদুল খবির চৌধুরী। কেউ অনিয়ম করে ধরা পড়লেও তার কারণে কোন তদন্ত হয় না। তদন্ত হলেও সেই প্রতিবেদনের কাগজ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় না। এমন কি কুমিল্লা বোর্ডের চিঠি জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার তদন্তও আটকে আছে অদৃশ্যের বাধায়।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদফতরে চাকরি করে একই অধিদফতরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির একজন সাধারণ সদস্য। সে হিসেবে এই সমিতির আর্থিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব জানার অধিকার আমার আছে। কারো ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নয় সমিতির সকল সদস্যদের মতো আমিও সমিতির আর্থিক হিসাব চাইতে পারি। সে জন্যই সম্প্রতি অডিটে উঠে আসা আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে জড়িতদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। সমিতির কোটি কোটি টাকা ক্ষমতার জোরে তারা আত্মসাৎ করেছেন। এমন কি জোর করে কোষাধ্যক্ষের কাছ থেকে চেকে স্বাক্ষর নেওয়ার কথাও আমরা ফেসবুকে দেখতে পাই। ব্ল্যাংক চেকে স্বাক্ষর নেওয়ার যৌক্তিকতা কোথায় আছে? একজন ক্যাডার সার্ভিসের কর্তকর্তা হিসেবে তারা এই কাজ করতে পারেন না। যদি আমার নোটিশের উপযুক্ত জবাব তারা দিতে না পারেন, বৈধ কাগজ না দেখাতে পারেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে। 

অধিদফতেরর মহাপরিচালককে আইনি নোটিশ পাঠানোর কারণে হয়রানির আশঙ্কা করছেন কি না জানতে চাইলে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষক বলেন, আমি ২০১৮ সাল থেকে হয়রানির শিকার। মাউশির ১০ স্কুল প্রকল্পের দূর্নীতি বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। সেই সময়ে আমি অভিযোগ দিয়েছিলাম। সেই অভিযোগে ৯ জনের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি জানতেল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। অথচ আমাকে ওএসডি করে রাখা হয় দুই বছর। সেখান থেকে নোয়াখালী সরকারি কলেজে বদলি করা হয়। সেখানেও পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল, ফলাফল টেম্পারিং করে টাকা নেওয়া, শিক্ষার্থী ভর্তিতে ব্যাপক দূর্নীতি নিয়ে দুদক ও শিক্ষা সচিবের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। সেখানেও দূর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং আমাকে খাগড়াছড়ি বদলি করা হয়। আমি এতেও ভীত নই। আমি জানি হয়রানির শিকার হবো। তবে আমি যতদিন বেঁচে আছি দূর্নীতির সঙ্গে আপষ করবো না। শুধু তাই নয় আমার এসিআরে বিরূপ মন্তব্য করে আমার পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয়েছে। আমার জুনিয়রদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তাই আমি থেমে যাবো না। তাদের বিচার না হলেও বরং মানুষ জানুক তারা কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।

এ দিকে যার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ সেই শাহেদুল খবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। টানা দুই দিন তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি উত্তর দেন নি।

;

সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ‘নব্বই ডিগ্রি’ এলাকায় সাড়ে ৫ টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে গেলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ঘটনাস্থলেই ৬ শ্রমিক নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন ৮ জন। ট্রাকটিতে ১৭ জন শ্রমিক ছিলেন। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল। তিনি জানান, সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে করে শ্রমিক বহনকারী ট্রাকটি মূল স্টেশনে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। সাজেক থানায় ৫ জনের মরদেহ আছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের ৪ জনের মরদেহসহ মোট ৯ জন নিহত হয়েছে এ দুর্ঘটনায়। হতাহতদের নাম ও পরিচয় শনাক্তের কাজ চলমান। 

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সাগর দেব তপু জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনের মধ্যে ৪ জন হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন ৬ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হতাহত শ্রমিকদের বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। তারা উদয়পুর বাঘাইছড়ি সীমান্ত সড়কের ১৭ কিলোমিটার নামক স্থানে হারিজাপাড়া সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। 

;