বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যতো ভুল (শেষ পর্ব)



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, লন্ডন, ইংল্যান্ড থেকে
বিশ্বকাপটা মনে রাখার মতো হলো না বাংলাদেশের

বিশ্বকাপটা মনে রাখার মতো হলো না বাংলাদেশের

  • Font increase
  • Font Decrease

৩ জয়। ৫ হার। বৃষ্টিতে বাতিল একটি ম্যাচ। বিশ্বকাপের দশ দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সাত নম্বরে। র‌্যাঙ্কিংয়ের সাত নম্বর দল হিসেবেই খেলতে এসেছিল বাংলাদেশ। ফিরে গেলো সেই একই অবস্থানে থেকে। অনেক সম্ভাবনা নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ ফিরছে সেমিফাইনালের আগে। মাঠের ক্রিকেটে ভাল-মন্দ দুই সময়ই দেখেছে বাংলাদেশ এই বিশ্বকাপে। ভুলও করেছে বেশ। সেই ভুলের খোঁজ এই ধারাবাহিক রিপোর্টে, আজ শেষ পর্ব-

ব্যয়বহুল বোলিং:

৮ ম্যাচে বোলিংয়ে বাংলাদেশের ব্যয় ২৪৯৫ রান। প্রতি ম্যাচে হিসেবটা দাড়াচ্ছে ৩১১ রানের কিছু বেশি। এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বলা হচ্ছিলো এটি হবে বড়ো স্কোরের বিশ্বকাপ। এখানে তিনশ রান উঠবে। আবার সেই রান তাড়া করে জেতাও যাবে। তবে তিনশ প্লাস রান দেয়ার ক্ষেত্রে যে বাংলাদেশ বাকি সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে সেটা কে ভেবেছিলো?

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের ৮ ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিংই সবচেয়ে বেশি খরুচে। তিনশ’ প্লাস রান খরচা দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু (ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩০৯)। আবার ঠিক একই কায়দায় তিনশ রানের ব্যয়ে বিশ্বকাপ শেষও (লর্ডসে পকিস্তান, ৩১৫)।
৮ ম্যাচের ছটিতেই বাংলাদেশ তিনশর বেশি রান খরচ করেছে। আফগানিস্তান ছাড়া আর কোনো প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশ ম্যাচে অলআউট করতে পারেনি। এই পরিসংখ্যানই জানাচ্ছে বোলিংয়ে বিশ্বকাপটা মোটেও ভালো কাটেনি বাংলাদেশের।

অধিনায়ক মাশরাফির ব্যাখাও মিললো সেই সত্যতা-‘আমি মনে করি বোলিং আমাদের আপ টু দ্য মার্ক ছিলো না। আমার থেকে শুরু করে বাকিদেরও। বিশেষ করে প্রথম ১০-১৫ বা ২০ ওভার পর্যন্ত আমাদের বোলিং ভালো হয়নি। সেই সময়ে আমাদের অবশ্যই উইকেট পেতে হতো।’

পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশের বোলিং তেমন ‘পাওয়ার’ দেখাতে পারেনি। মাত্র একটি ম্যাচে শুরুর দশ ওভারে বাংলাদেশ দুটি উইকেট পায়। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে শুরুর বোলিং ভালো হলেও শেষের বোলিংয়ে ম্যাচের হিসেব মেলাতে পারলো না বাংলাদেশ!
এই বোলিং নিয়ে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা যায়। একটা-দুটো ম্যাচে লড়াই করা যায়। সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়া যায় না-এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের বোলিংয়ের ফুটনোট এটাই!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/07/1562503676985.JPG

মাশরাফির ম্রিয়মান পারফরমেন্স:

বোলিংয়ে বাজে সময় নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বোলার মাশরাফির আর সুসময় এলোই না! ৮ ম্যাচে অর্জন মাত্র ১টি উইকেট! লম্বা ক্যারিয়ারে কখনোই কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগত পারফরমেন্সে এতো বাজে সময় কাটেনি মাশরাফির।

ছন্দ ফিরে পেলে ম্যাচে মানিয়ে নেয়াটা মাশরাফির জন্য নেহাতই সময়ের ব্যাপার। কিন্তু পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে সেই ছন্দের দেখাই যে পেলেন না অধিনায়ক। অনুশীলনে চেষ্টা করেছেন বেশ। ম্যাচের আগের দিন লম্বা সময় নেটে কাটিয়েছেন। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বিস্তর গবেষণাও চলেছে। বোলিং কোচ কোটর্নি ওয়ালসের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। কিন্তু বিশ্বকাপে নিজের ফর্ম এবং পারফরমেন্সের শুরুর সঙ্কট শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেননি মাশরাফি।

অধিনায়কের পারফরমেন্স ক্রিকেট ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে বোলার মাশরাফি ছিলেন প্রভাবহীন। শুরুতে বোলিং করেন। আবার মাঝ থেকেও শুরু করেন। কোনো সময় শেষের দিকেও বল হাতে আক্রমণে নামেন। কিন্তু কোনোকিছুতেই সাফল্যের দেখা যে পেলেন না বোলার মাশরাফি। টন্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে কোনো উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে ১ মেডেনসহ তার ৩৭ রানকে ‘ভালো’ পারফরমেন্স মানতেই হচ্ছে।

৮ ম্যাচে সবমিলিয়ে ৫৬ ওভার বল করেন মাশরাফি। রান খরচ ৩৬১। শিকার ১ উইকেট। তাও আবার সাত ম্যাচে নিজের বোলিং কোটা শেষ না করা- দলের স্ট্রাইক বোলারের জন্য এটা ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের মতোই। অধিনায়ক হিসেবে তিন ম্যাচ জিতেছেন। কিন্তু বোলার হিসেবে এই বিশ্বকাপ মাশরাফিকে যা দিলো তার নাম-দুঃস্বপ্ন!

এবং ফিটনেস সমস্যা:

বিশ্বকাপ দল ঘোষণার সময়ই শঙ্কটা জেগেছিলো-১৫ জনের দলে ইনজুরির সংখ্যাই যে বেশি! বিশেষ করে পেস বোলিং বিভাগের প্রায় সবাই চোটে ছিলেন। রুবেল হোসেনের সাইড স্ট্রেইন। সাইফুদ্দিনের পিঠে ব্যথা। গোড়ালিতে চোট ছিলো মুস্তাফিজের। আবু জায়েদ রাহীও ইনজুরিতে ছিলেন। সামান্য চোট ছিলো মাশরাফিরও। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ইনজুরি তালিকায় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কাঁধে এমন চোট যে জোরে থ্রো করতেও সমস্যা হয় তার। বোলিং করা যাবে না-শুধু ব্যাটিং, এমন শর্ত মেনেই তিনি ফিটনেস পান!

বিশ্বকাপের মাঠে এসেও ইনজুরি এবং চোট নিয়ে সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ। ট্রেন্টব্রিজ ম্যাচের আগে সাইফুদ্দিন ও মোসাদ্দেক জানান- খেলার মতো ফিটনেস নেই তাদের। আফগানিস্তান ম্যাচেও চোট নিয়ে খেলায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইনজুরির মাত্রা আরো বাড়ে। বার্মিংহ্যামে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মিস করেন তিনি।

পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ দলের নড়াচড়ায় ক্ষিপ্রতার অভাবেই স্পষ্ট ফিটনেস সঙ্কট!

আরো পড়ুন-

 

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যতো ভুল (পর্ব-১)

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যতো ভুল (পর্ব-২)

 

   

লক্ষ্ণৌয়ের কাছে পাত্তাই পেল না মুস্তাফিজের চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকে দিয়ে কুইন্টন ডি কক আর কেএল রাহুলের জোড়া ফিফটিতে এক ওভার এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য স্বাগতিকদের পক্ষে ছিল। টস জিতে আগে অতিথিদের ব্যাটিংয়ে পাঠান লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল। আইপিএলের চলতি আসরে দুইশ রানকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছে বেশ কয়েকটি দল। তবে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না চেন্নাই। আইপিএলে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসেও সে 'ম্যাজিক ফিগার' ছোঁয়া হয়নি তাদের।

রবীন্দ্র জাদেজার ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সঙ্গে রাহানে (৩৬) আর মঈনের (৩০) ছোট দুটি ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় চেন্নাই। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের জাদুকরী ক্যামিও'র কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাতে ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬।

লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ৩ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে মুস্তাফিজ-তুষারদের তুলোধুনো করে ওপেনিং জুটিতেই ডি কক-রাহুল মিলে তুলে ফেলেন ১৩৪ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ যখন ডি কককে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান, ম্যাচ তখন লক্ষ্ণৌয়ের করতলে। তাই তো সেই উইকেটের উদযাপনও তেমন হল না বললেই চলে। ফেরার আগে ৫৪ রান করে দিয়ে গেছেন ডি কক।

লক্ষ্ণৌকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে মাতিশা পাতিরানার বলে আউট হয়েছেন ৮১ রান করা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রাহুল। বাকি কাজটা নির্ঝঞ্ঝাটে সেরেছেন নিকোলাস পুরান (২৩*) ও মার্কাস স্টয়নিস (৮*)।

বল হাতে আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলার মুস্তাফিজ। একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান।

এই জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের পয়েন্ট হয়েছে চেন্নাইয়ের সমান ৮। তবে নেট রানরেটের ব্যবধানে চেন্নাই এখন টেবিলের তিনে, আর লক্ষ্ণৌয়ের অবস্থান ৫ নম্বরে।

;

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

পিছিয়ে পড়েও আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;