ম্যাচ শেষে মাশরাফির বিশ্লেষণ



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড থেকে
সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিন মর্তুজা, ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিন মর্তুজা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

'এই ম্যাচটাও আমাদের হতে পারত' এমন আরেকটি আফসোস অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার গলায়। অস্ট্রেলিয়া এমন দল, যারা খেলার মাঠে খুব বেশি সুযোগ দেয় না। যে সামান্য সুযোগ আসে সেটা কাজে লাগাতে হয়। নইলে আফসোস আরও বাড়ে। অস্ট্রেলিয়ার ৩৮১ রানের জবাবে ৩৩৩ রান তোলা ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে বসে মাশরাফি সেই দুঃখেই কাতর।

অধিনায়ক বললেন, 'আসলে এটা এমন উইকেট ছিল, উভয় দলই এখানে আগে ব্যাট করতে চাইবে। তারপরও আমরা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের সময় শুরুতে কয়েকটি সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিলাম। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। এমন উইকেটে হাফ চান্সগুলোকেই কাজে লাগাতে হয়। নইলে পস্তাতে হয়। আমরা ভালোই জানতাম শুরুতে উইকেট তুলতে না পারলে ওদের যে ব্যাটিং লাইন আপ সেটা দিয়ে পরের দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলবে। আমার মতে উইকেট নিতে পারায় আমরা ওদের ব্যাটিংয়ের সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখতে পারিনি।'

ওয়ার্নারের ক্যাচ মিস। শুরুতে রান আউট মিস। মাঝে কোনো উইকেট নিতে পারা। শেষের খরুচে বোলিং-৪৮ রানে হারা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট এমন অনেককিছু, 'এই ধরনের ম্যাচে যেকোনো কিছু হতে পারে। ডেভিড ওয়ার্নারকে আউটের প্রথম সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। তারপর সে যখন সেঞ্চুরি করল, সেখানেও তাকে থামাতে পারিনি। একশ থেকে আবার যে একশ পঞ্চাশের বেশি করে ফেলল! শেষের বোলিংটা আমাদের মোটেও ভালো কিছু হয়নি। শেষ ছয় ওভারে আমাদের খরচ হয়েছে একশর বেশি রান! ওই সময়ের বোলিং আমাদের ম্যাচ থেকে অনেক দূরে নিয়ে গেছে।'

পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় দুটি। তিনটি হার। একটি বৃষ্টিতে নষ্ট। বাকি আছে আরও তিন ম্যাচ। সেই তিন ম্যাচে যদি বাংলাদেশ জিতেও তবু নিশ্চিত নয় শেষ চারে পৌঁছানো। অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সেমিফাইনালের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে মাশরাফি জানালেন, 'এখনো যেকোনো কিছু হতে পারে। এখনই আমাদের বাদ দিয়ে দেয়ার কিছু নেই। আমাদের এখনো তিনটি ম্যাচ বাকি আছে। সেই তিনটি ম্যাচে কঠিন ক্রিকেট খেলতে হবে। জানি সামনের পথটা কঠিন। বাকি তিন ম্যাচ আমরা জিতলেও যে সেমিতে খেলব তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। অন্য দলের ফলাফলের দিকেও তখন তাকিয়ে থাকতে হবে। এখন আমাদের সামনে একটাই কাজ, বাকি তিন ম্যাচে ভালো ক্রিকেট খেলা। নিজেদের অবস্থানকে নিজেদের মতো করে রাখা।'

মূলত এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়েই বাংলাদেশে সম্ভাবনা শেষ করে দেয়। মাশরাফিও সেটা মানলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরাই আমাদের কাজটা এই ম্যাচে কঠিন করে দেয়। ওয়ার্নার, ফিঞ্চ ও খাজা ওপরের দিকে দুর্দান্ত কায়দায় ব্যাট করে। শেষের দিকে এসে ম্যাক্সওয়েলও ভালো ব্যাটিং করে। ট্রেন্টব্রিজের এই উইকেটে রান আছে- সেটা আমরা জানতাম। তবে এখানে ৩২০ বা ৩৩০ রান তাড়া করা যায়। কিন্তু সেই টার্গেট ৩৭০/৮০ হয়ে গেলো তখন সেটা অবশ্যই অনেক কঠিন।'

   

নাহিদের ৫ উইকেটের দিনে মোহামেডানের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে শাইনপুকুরের কাছে ডিএলএস মেথডে ৬ উইকেটে হেরে গেছে মোহামেডান। ৫ উইকেট নিয়ে শাইনপুকুরকে জয় এনে দিয়েছেন তরুণ গতিতারকা নাহিদ রানা।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান। ওপেনার ইমরুল কায়েস ফিফটি পেলেও টপ এবং মিডল অর্ডারের অন্য ব্যাটাররা তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ৫৬ রান করে ইমরুল থেমেছেন হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হয়ে।

মোহামেডানের টপ এবং মিডল অর্ডার একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন নাহিদ রানা। ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচায় ৫ উইকেট ঝুলিতে পোরেন এই পেসার।

লোয়ার অর্ডারে আবু হায়দার রনির ৫৫ বলে ৫১ রানের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে দুইশ ছাড়ায় মোহামেডানের সংগ্রহ। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে সাদাকালোরা।

রান তাড়ায় শাইনপুকুরকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং জিসান আলম। ৩৬ বলে সমান ৩৬ রান করেন তানজিদ, ১৫ বলে ১ চার এবং ৩ ছক্কায় ২৬ রান আসে জিসানের ব্যাটে।

শাইনপুকুরের ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি হানা দিলে তাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। ৩০ ওভারে লক্ষ্য নেমে আসে ১৫৮ রানে।

অধিনায়ক আকবর আলির ২০ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শাইনপুকুর। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাহিদ।

ডিপিএলের চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচ শেষে মোহামেডান এবং শাইনপুকুরের পয়েন্ট সমান ১৪। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় তিনে রয়েছে শাইনপুকুর, চার মোহামেডান।

;

ভারতের বিপক্ষে মেয়েদের দলে দুই পরিবর্তন



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। আগামী ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশে পা রাখবে তারা। এই সিরিজের জন্য এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছে ভারত। এবার বাংলাদেশও সিরিজকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের দল চূড়ান্ত করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ফারজানা আক্তার লিসা এবং সুমাইয়া আক্তার দলে তাদের জায়গা হারিয়েছেন। তাদের বদলে দলে ডাক পেয়েছেন রুবয়া হায়দার ঝিলিক ও ১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবা ইসলাম পিংকি।

২৮ এপ্রিল মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বাকি চারটি ম্যাচ যথাক্রমে ৩০ এপ্রিল, ২ মে, ৬ মে ও ৯ মে।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল

নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, সোবহানা মুশতারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, রাবেয়া, সুলতানা খাতুন, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, শরিফা খাতুন, দিলারা আক্তার, রুবয়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি

স্ট্যান্ডবাই: সুমাইয়া আক্তার, নিশিতা আক্তার নিশি

;

হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হলেন মুশতাক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লঙ্কান রঙ্গনা হেরাথের উত্তরসূরি পাকিস্তান থেকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের কোচিং প্যানেল বড় রদবদল হয়েছে। হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং সহকারী কোচ নিক পোথাস বাদে কোচিং প্যানেলের অন্য সদস্যরা তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষের পর দায়িত্ব ছাড়েন। শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার হেরাথও তখন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।

পরে অবশ্য হেরাথকে ফেরাতে চেয়েছিল বিসিবি। বছরে ২০০ দিন কাজের অভিনব এক প্রস্তাবও দিয়েছিল। তবে হেরাথ তাতে সাড়া দেননি। যার ফলে নতুন স্পিন বোলিং কোচ খুঁজতে হয় বিসিবিকে। মুশতাক আহমেদকে নিয়োগের মধ্যে সে খোঁজাখুঁজির কাজ শেষ হল।

মুশতাক আহমেদের খেলোয়াড়ি জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৪০০’র বেশি উইকেট রয়েছে এই ঘূর্ণিবাজের।

২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ায় মনোযোগী হন মুশতাক। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন, ২০১৪ পর্যন্ত সে পদে ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মেয়াদে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলেও কাজ করেছেন। আইপিএল এবং কাউন্টি ক্রিকেটেও কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

;

সহজ জয়ে ফেড কাপের সেমিতে বসুন্ধরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের সামনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। যে রহমতগঞ্জের সঙ্গে আগের ১২ সাক্ষাতে কোনো হার নেই, তাদের মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ কী! সহজ কাজটা সহজেই সেরেছে কিংস। দুই অর্ধের দুই গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই ছিল বসুন্ধরার দাপট। ২৪ মিনিটে সে দাপটের পুরস্কারও পেয়ে যায় তারা। ২৪ মিনিটে রবসনের লে অফে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বসুন্ধরাকে এগিয়ে দেন সোহেল রানা। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা।

বিরতির পর টনক নড়ে রহমতগঞ্জের। ৪৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগও পেয়েছিল তারা। ডান পাশ থেকে মোহাম্মদ রকির ক্রস থেকে গোলের মুখে ফাঁকায় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন দাউদা সিসে। তবে সে সুযোগ হেলায় হারান রহমতগঞ্জের এই ফুটবলার।

সুযোগ নষ্টের মূল্য দ্বিতীয় গোল হজম করে চুকাতে হয় রহমতগঞ্জকে। ৬২ মিনিটে রবসন রবিনিওর লব করে বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান এমফন উদোহ। তার আলতো চিপে বোকা বনেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা।

শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই স্কোরলাইন ধরে রেখে মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের শেষ চারের টিকিট পায় বসুন্ধরা।

;