হঠাৎ ক্রিকেট থেকে অবসরে নাজমুল



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানলেন নাজমুল হোসেন

খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানলেন নাজমুল হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় দলে তাকে সবশেষ দেখা গেছে ২০১২ সালে। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকলেও মাঝে ৬ বছর কেটে গেল! ডাক পাননি জাতীয় দলে। অবশ্য ইনজুরিও বেশ ভুগিয়েছে তাকে। বছর চারেক আগে অভিমানে গুডবাই বলেছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটের দলগুলো মূল্যায়ন করছে না- এমনই অভিযোগে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রিকেট থেকে। কিছুদিন পরই সিদ্ধান্ত পাল্টে নামেন মাঠে। তারপরও সুযোগ পাচ্ছিলেন না। এ কারণেই এবার হঠাৎ বিদায় বলে ফেলেছেন নাজমুল হোসেন।

যদিও তার বয়স মাত্র ৩১। তারপরও ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন এই পেস বোলার। মঙ্গলবার মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, ‘নিয়মিত না হলেও দলের সঙ্গে ছিলাম প্রায় ১১ বছর। অপারেশন শেষে ২০১৪ থেকে আমি লড়ে যাচ্ছি। তখনই সরে দাঁড়ানোর কথা ভেবেছি। আসলে আমার ক্যারিয়ারটাই অন্যরকম। প্রথম টেস্টের ৭ বছর পর দ্বিতীয় টেস্ট খেলেছি। আপনারাই জিজ্ঞাসা করেছিলেন এরপর এরকম গ্যাপ হলে কি করবেন? আমি বলেছিলাম ক্যারিয়ার শেষ! দেখুন ক্যারিয়ার শেষই হয়ে গেল!’

তবে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে বেশ ভেবেছেন তিনি। নাজমুল জানাচ্ছিলেন, ‘এক বছর ধরে আমি এটা নিয়ে চিন্তা করছি। আমি সাকিব, রিয়াদ ও মুশফিকের সঙ্গে কথা বলেছি। মাশরাফি ভাই ও রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে মনে হয়েছে আমার জাতীয় দলে কোন ভবিষ্যত নেই।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/23/1556016765250.jpg

নাজমুলের আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০০৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু ওয়ানডে ক্রিকেটে পথচলা। বার্মিংহামে সেই ম্যাচে কোন উইকেট না পেলেও ৬ ওভারে খরচ দেন মাত্র ১৭ রান। ২০০৪ থেকে ২০১২ ছিলেন জাতীয় দলে। এরমধ্যে ৮ বছরে এই পেসার খেলার মাত্র ৩৮ ওয়ানডে। ৩১.৫০ বোলিং গড়ে নিয়েছে ৪৪ উইকেট।

উত্থান-পতনের সেই ক্যারিয়ারের সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে মঙ্গলবার নাজমুল বলছিলেন, ‘আকরাম ভাই, সুমন ভাই, সুজন ভাইদের মতো লিজেন্ডদের সঙ্গে খেলতে পেরেছি। আমি সত্যিই ভাগ্যবান। মাশরাফি ভাই, সাকিব, তামিম ওদের সঙ্গেও খেলতে পেরেছি। রফিক ভাইয়ের কথাও বলতে হবে। সব মিলিয়ে বলবো না পাওয়ার চেয়ে পেয়েছি বেশি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/23/1556016786844.jpg

টেস্টে অভিষেক ২০০৪ সালে, প্রতিপক্ষ ভারত।  দুই ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষটা খেলেন ২০১১ সালে। পাকিস্তানের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে শিকার করেছেন ৫ উইকেট। নাজমুল আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৪টি। নিয়েছেন ১ উইকেট।

খেলা ছাড়লেও ক্রিকেই জড়িয়ে থাকতে চান নাজমুল। বয়সভিত্তিক দলের পরামর্শক হিসেবে থাকবেন। আবার কাজ করতে চান পেসারদের নিয়েও। বিদায় বেলায় বলছিলেন, ‘ঈদের পর শুভাশিষ, শহিদ, আল আমিন, তাসকিন এরকম ১০ জন পেস বোলারকে নিয়ে আমি কাজ করতে চেয়েছি। আমি চাই ওরা যেন আমার মতো হারিয়ে না যায়। আমি উত্তরাতে ছোট খাটো একটা একাডেমি করেছি। সবাইই কমবেশি সাহায্য করছে। লেভেল ১ কোর্স করবো, বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি এরপর লেভেল ২ ও করবো। কাজ করে যদি দুই তিনটা বোলার বের করে নিয়ে আসতে পারি তাহলে দেশের জন্য ভালো।’

এর অর্থ ক্রিকেটার অধ্যায় শেষে কোচ হয়েই আসছেন নাজমুল হোসেন!

   

নাহিদের ৫ উইকেটের দিনে মোহামেডানের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে শাইনপুকুরের কাছে ডিএলএস মেথডে ৬ উইকেটে হেরে গেছে মোহামেডান। ৫ উইকেট নিয়ে শাইনপুকুরকে জয় এনে দিয়েছেন তরুণ গতিতারকা নাহিদ রানা।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান। ওপেনার ইমরুল কায়েস ফিফটি পেলেও টপ এবং মিডল অর্ডারের অন্য ব্যাটাররা তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ৫৬ রান করে ইমরুল থেমেছেন হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হয়ে।

মোহামেডানের টপ এবং মিডল অর্ডার একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন নাহিদ রানা। ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচায় ৫ উইকেট ঝুলিতে পোরেন এই পেসার।

লোয়ার অর্ডারে আবু হায়দার রনির ৫৫ বলে ৫১ রানের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে দুইশ ছাড়ায় মোহামেডানের সংগ্রহ। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে সাদাকালোরা।

রান তাড়ায় শাইনপুকুরকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং জিসান আলম। ৩৬ বলে সমান ৩৬ রান করেন তানজিদ, ১৫ বলে ১ চার এবং ৩ ছক্কায় ২৬ রান আসে জিসানের ব্যাটে।

শাইনপুকুরের ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি হানা দিলে তাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। ৩০ ওভারে লক্ষ্য নেমে আসে ১৫৮ রানে।

অধিনায়ক আকবর আলির ২০ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শাইনপুকুর। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাহিদ।

ডিপিএলের চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচ শেষে মোহামেডান এবং শাইনপুকুরের পয়েন্ট সমান ১৪। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় তিনে রয়েছে শাইনপুকুর, চার মোহামেডান।

;

ভারতের বিপক্ষে মেয়েদের দলে দুই পরিবর্তন



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। আগামী ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশে পা রাখবে তারা। এই সিরিজের জন্য এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছে ভারত। এবার বাংলাদেশও সিরিজকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের দল চূড়ান্ত করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ফারজানা আক্তার লিসা এবং সুমাইয়া আক্তার দলে তাদের জায়গা হারিয়েছেন। তাদের বদলে দলে ডাক পেয়েছেন রুবয়া হায়দার ঝিলিক ও ১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবা ইসলাম পিংকি।

২৮ এপ্রিল মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বাকি চারটি ম্যাচ যথাক্রমে ৩০ এপ্রিল, ২ মে, ৬ মে ও ৯ মে।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল

নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, সোবহানা মুশতারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, রাবেয়া, সুলতানা খাতুন, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, শরিফা খাতুন, দিলারা আক্তার, রুবয়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি

স্ট্যান্ডবাই: সুমাইয়া আক্তার, নিশিতা আক্তার নিশি

;

হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হলেন মুশতাক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লঙ্কান রঙ্গনা হেরাথের উত্তরসূরি পাকিস্তান থেকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের কোচিং প্যানেল বড় রদবদল হয়েছে। হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং সহকারী কোচ নিক পোথাস বাদে কোচিং প্যানেলের অন্য সদস্যরা তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষের পর দায়িত্ব ছাড়েন। শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার হেরাথও তখন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।

পরে অবশ্য হেরাথকে ফেরাতে চেয়েছিল বিসিবি। বছরে ২০০ দিন কাজের অভিনব এক প্রস্তাবও দিয়েছিল। তবে হেরাথ তাতে সাড়া দেননি। যার ফলে নতুন স্পিন বোলিং কোচ খুঁজতে হয় বিসিবিকে। মুশতাক আহমেদকে নিয়োগের মধ্যে সে খোঁজাখুঁজির কাজ শেষ হল।

মুশতাক আহমেদের খেলোয়াড়ি জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৪০০’র বেশি উইকেট রয়েছে এই ঘূর্ণিবাজের।

২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ায় মনোযোগী হন মুশতাক। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন, ২০১৪ পর্যন্ত সে পদে ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মেয়াদে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলেও কাজ করেছেন। আইপিএল এবং কাউন্টি ক্রিকেটেও কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

;

সহজ জয়ে ফেড কাপের সেমিতে বসুন্ধরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের সামনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। যে রহমতগঞ্জের সঙ্গে আগের ১২ সাক্ষাতে কোনো হার নেই, তাদের মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ কী! সহজ কাজটা সহজেই সেরেছে কিংস। দুই অর্ধের দুই গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই ছিল বসুন্ধরার দাপট। ২৪ মিনিটে সে দাপটের পুরস্কারও পেয়ে যায় তারা। ২৪ মিনিটে রবসনের লে অফে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বসুন্ধরাকে এগিয়ে দেন সোহেল রানা। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা।

বিরতির পর টনক নড়ে রহমতগঞ্জের। ৪৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগও পেয়েছিল তারা। ডান পাশ থেকে মোহাম্মদ রকির ক্রস থেকে গোলের মুখে ফাঁকায় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন দাউদা সিসে। তবে সে সুযোগ হেলায় হারান রহমতগঞ্জের এই ফুটবলার।

সুযোগ নষ্টের মূল্য দ্বিতীয় গোল হজম করে চুকাতে হয় রহমতগঞ্জকে। ৬২ মিনিটে রবসন রবিনিওর লব করে বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান এমফন উদোহ। তার আলতো চিপে বোকা বনেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা।

শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই স্কোরলাইন ধরে রেখে মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের শেষ চারের টিকিট পায় বসুন্ধরা।

;