অস্ট্রেলিয়ান ওপেন নাওমি ওসাকার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলেন ওসাকা

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলেন ওসাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সেপ্টেম্বরে ইউএস ওপেন জিতেই যোগ্যতার পরিধিটি দেখিয়েছিলেন তিনি! বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে সাফল্যটা যে ‘ঝড়ে বক মরা’ ছিল না সেটা এবার বুঝিয়ে দিলেন নাওমি ওসাকা। চমক জাগানো টেনিসে মুগ্ধ করলেন এই জাপানিজ। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে হারালেন দুইবারের উইম্বলডন জয়ী পেত্রা কেভিতোভাকে। আর মেতে উঠলেন ক্যারিয়ারের প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জয়ের আনন্দে।

বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে মেয়েদের এককে নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা মিলল। শনিবার মেলবোর্ন পার্কের রড লেভার অ্যারেনায় লড়াইটা অবশ্য বেশ জমেছিল। ফাইনালের আমেজ ছিলো গোটা ম্যাচ জুড়ে। এরমধ্যে প্রথম সেট ওসাকা জেতেন ৭-৬ গেমে। কিন্তু দ্বিতীয় সেটেই তাকে হারিয়ে দেন চেক রিপাবলিকের কেভিতোভা। আর শেষ সেটে বাজিমাত ওসাকার। জাপানের এই টেনিস তারকা দুই ঘন্টা ২৭ মিনিটের লড়াই শেষে হাসিমুখে ট্রফি নিয়ে কোর্ট ছাড়েন!

এর আগে ২০১৮ সালে প্রথম জাপানি হিসেবে কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড গড়েন ওসাকা। তার হাতে ওঠে ইউএস ওপেন। এবার বছরের শুরুতেই আরেকটি বড় ট্রফি!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/26/1548506358229.JPG

ট্রফি জিতে হাওয়াড় উড়ছেন ২১ বছর বয়সী এই তারকা। বলছিলেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমি। আমার মনে হয় না, আপনাদের ছাড়া এই সপ্তাহে এসব কিছু করতে পারতাম। এক জন টেনিস খেলোয়াড়ের পেছনে দারুণ একটা দল থাকে। আর সেই দলের সহযোগিতায় এই ট্রফি উঠেছে আমার হাতে।’

এদিকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের পর এবার সিমোনা হালেপকে টপকে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠবেন ওসাকা। প্রথম এশিয়ান হিসেবে ‘নাম্বার ওয়ান’ হচ্ছেন তিনি। এটাই শেষ নয়, কারোলিন ওজনিয়াকির পর সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওসাকা। ২০১০ সালে ২০ বছর বয়সে ডেনমার্কের ওজনিয়াকি হয়েছিলেন নাম্বার ওয়ান।

 

 

   

সহজ জয়ে ফেড কাপের সেমিতে বসুন্ধরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের সামনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। যে রহমতগঞ্জের সঙ্গে আগের ১২ সাক্ষাতে কোনো হার নেই, তাদের মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ কী! সহজ কাজটা সহজেই সেরেছে কিংস। দুই অর্ধের দুই গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই ছিল বসুন্ধরার দাপট। ২৪ মিনিটে সে দাপটের পুরস্কারও পেয়ে যায় তারা। ২৪ মিনিটে রবসনের লে অফে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বসুন্ধরাকে এগিয়ে দেন সোহেল রানা। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা।

বিরতির পর টনক নড়ে রহমতগঞ্জের। ৪৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগও পেয়েছিল তারা। ডান পাশ থেকে মোহাম্মদ রকির ক্রস থেকে গোলের মুখে ফাঁকায় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন দাউদা সিসে। তবে সে সুযোগ হেলায় হারান রহমতগঞ্জের এই ফুটবলার।

সুযোগ নষ্টের মূল্য দ্বিতীয় গোল হজম করে চুকাতে হয় রহমতগঞ্জকে। ৬২ মিনিটে রবসন রবিনিওর লব করে বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান এমফন উদোহ। তার আলতো চিপে বোকা বনেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা।

শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই স্কোরলাইন ধরে রেখে মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের শেষ চারের টিকিট পায় বসুন্ধরা।

;

আকরামের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নয় বিসিবি

মুস্তাফিজের জন্য বিসিবির পরিস্কার বার্তা 



এম. এম. কায়সার
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএলে থাকা এবং না থাকা বিতর্কে পরিস্কার দুই ভাগ বিসিবি। আগের দিন বিসিবি পরিচালক আকরাম খান বলেন, তিনি চান মুস্তাফিজ যেন আইপিএলে বাকি ম্যাচগুলোতে খেলেন। 

ঠিক কী বলেছিলেন আকরাম খান তা শুনি আগে– ‘মুস্তাফিজকে ব্যবহার করতে পারলে শতভাগ ফল পাওয়া যায়, যেটা ধোনির দল করে দেখাচ্ছে। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলার চেয়ে ওখানে (আইপিএলে) খেললে সে অনেক কিছু শিখতে পারবে।’

আকরাম খানের এই মন্তব্য গত সোমবার মিডিয়ায় আসার ঘণ্টাকয়েক পরে বিসিবি টিম অপারেশন্স বিভাগ জানায় মুস্তাফিজের ছুটির মেয়াদ আরো একদিন বাড়ানো হয়েছে। আইপিএলের জন্য মুস্তাফিজ বিসিবি থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) পেয়েছিলেন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সেটা আরো একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এরপরই তাকে দেশে ফিরে আসতে হবে। জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে। 

অর্থাৎ মুস্তাফিজের আইপিএলে ‘থেকে যাওয়া’ নিয়ে আকরাম খানের মতামতের সঙ্গে বিসিবির অন্য অংশ মোটেও একমত নয়। এই বিষয়ে স্পোর্টস বাংলা এবং বার্তা২৪ এর পক্ষ থেকে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রশ্ন রাখা হয় মুস্তাফিজের আইপিএল বিষয়ক যে মন্তব্য আকরাম খান করেছেন তার সঙ্গে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগও একমত কি না? 

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের পরিস্কার উত্তরটা এমন– ‘আমরা মোটেও এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নই। সিদ্ধান্ত সহজ, আইপিএল থেকে জাতীয় দলের স্বার্থটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া টানা খেলায় থাকা মুস্তাফিজের বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে। তার ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টও আমাদের দেখতে হবে। তাই নির্ধারিত ছুটি শেষে মুস্তাফিজকে দেশে ফিরে এসে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতেই হচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদের দ্বিতীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই।’

আইপিএলে মুস্তাফিজের নতুন করে শেখার কিছু নেই বলেও মনে করে ক্রিকেট পরিচালক কমিটি। সাত-আট বছর ধরে মুস্তাফিজ আইপিএলে খেলছেন। আইপিএল তো তার জন্য নতুন কোনো ক্ষেত্র নয়। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে এই মৌসুমে তিনি ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন। কিন্তু ধোনির পরামর্শেই তিনি অনেক বেশিকিছু অর্জন করে ফেলেছেন, এমন প্রচলিত জনপ্রিয় ধারণায় বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির মোটেও আস্থা নেই। 

তাদের বক্তব্য পরিস্কার। মুস্তাফিজ প্রথম ম্যাচে শুধু চার উইকেট পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে তার শিকার ১০ উইকেট। কিন্তু যে ম্যাচগুলোতে মুস্তাফিজ রান খরুচে ছিলেন, সেটা কেন তাহলে ধোনি কমাতে পারলেন না? আসলে যার কাজ তাকেই করতে হয়। কেউ পরামর্শ দিলো আর তাতেই সব সমাধান হয়ে গেল, এই ভাবনা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে টিকে থাকা যায় না। ৯ বছর ধরে মুস্তাফিজ আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট খেলছেন। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং টেস্ট-এই তিন ফরম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে তার আর্ন্তজাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা ২১০টি। আইপিএলে নিজের অভিষেক মৌসুম ২০১৬ সালে ভালো পারফরম করেছিলেন তিনি। সেবার তার দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।মুস্তাফিজ ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট পেয়েছিলেন।

তবে আইপিএলের সেই ক্লান্তি নিয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্সের হয়ে খেলতে নেমে বড় ইনজুরিতে পড়েন মুস্তাফিজ। সেই ইনজুরির জন্য তাকে দেড়বছর ভুগতে হয়েছিল। বিসিবি সেই সময় তার সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। অস্ত্রোপচার টেবিলে উঠতে হয়েছিল মুস্তাফিজকে। সেই ইনজুরির ধাক্কায় মুস্তাফিজ তার শুরুর সময়কার রিদম হারিয়ে বসেন বলে বিসিবি প্রায়ই অভিযোগ করে। তাই মুস্তাফিজকে ইনজুরি থেকে বাঁচিয়ে রাখার জোর চেষ্টা তাদের। ২০২১ সালের টি- টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে আইপিএল খেলে ক্লান্ত হওয়া সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজ রহমানের শ্রান্তি ও অবসাদকে আজও দায়ী করে বিসিবি। 

আইপিএলের কঠিন সিডিউল, ভ্রমণ ক্লান্তি, কড়া অনুশীলন-ভীষণ পরিশ্রমসাধ্য কাজ। এই ব্যস্ত সুচি এবং অতিরিক্ত ক্রিকেট ক্রিকেটারদের শক্তি শুষে নেয়। এমন অবস্থায় ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীর নিয়ে পরবর্তী কঠিন কোনো ক্রিকেট মিশনে খেলতে নামলে ইনজুরিতে পড়ার শঙ্কা প্রচুর। সম্ভাব্য সেই জটিলতা বা দুর্ঘটনা এড়াতেই মুস্তাফিজকে টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাড়তি বিশ্রামে রাখতে চায় বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। 

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সব ম্যাচে মুস্তাফিজকে খেলানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে না। হয়তো দুটি ম্যাচে খেলিয়ে বাকি তিন ম্যাচে বিশ্রামে রাখা হবে। মুস্তাফিজের এই ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি শুধুমাত্র বিসিবিরই চিন্তার বিষয়। নিশ্চয়ই এটা নিয়ে ধোনির চেন্নাই কিংস মেধা খরচ করবে না!  

অনেকের মতো জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক আকরাম খানেরও ধারণা, জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজে খেলার চেয়ে আইপিএলে খেললেই বরং মুস্তাফিজের জন্য বেশি উপকার হতো। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট, কঠিন প্রতিপক্ষ, বিপুল দর্শকদের চাপ সামলানো, বিশ্বের সেরাদের সঙ্গে খেলা-এসব অনুষঙ্গ নিশ্চয়ই মুস্তাফিজ জিম্বাবুয়ে সিরিজে পাবেন না। কিন্তু আইপিএলে পাবেন। 

তবে বিসিবির চিন্তা একটু ভিন্ন। মুলত জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলকেই নিয়েই বিশ্বকাপের মঞ্চে নামতে চায় বাংলাদেশ। তাই পুরো দলকে একজোট করে রাখতে, দলের বাঁধন শক্তপোক্ত করতে সব ক্রিকেটারকে এই সিরিজে খেলাতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই সঙ্গে টানা ক্রিকেটে থাকা ক্রিকেটারদের ক্লান্তি এড়াতে ওয়ার্ক লোডকেও একটা সুষ্ঠ ব্যবস্থপনার মধ্যে আনতে চায় ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ।

সেজন্যই মুস্তাফিজের এনওসি’র মেয়াদ ১ মে’র পর বাড়াতে নারাজ বিসিবি।

;

বিশ্বকাপ নিয়ে মাতামাতি করবেন না: শান্ত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা থাকে, সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদ চড়ে। বিশ্বমঞ্চে দেশের পতাকা সমুন্নত করবেন খেলোয়াড়রা, এমন আশায় বুক বাঁধেন ক্রীড়ানুরাগীরা। অথচ সেই বিশ্বকাপের আগেই কিনা সমর্থকদের মাতামাতি করতে নিরুৎসাহিত করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক! এ যেন মাঠে নামার আগেই হাল ছেড়ে দেয়ার দশা।

আজ (মঙ্গলবার) গুলশানে একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের চিফ ব্র্যান্ডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শান্ত। সে অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে এমন অদ্ভুত আবদার করে বসেন শান্ত, ‘আমার একটা চাওয়া আপনাদের কাছে, প্রত্যাশা অত বেশি করার দরকার নাই।’

বিশ্বকাপে দলকে নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা উপভোগ করেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন শান্ত, ‘এটা (বিশ্বকাপ) নিয়ে যখন খুব বেশি মাতামাতি হয়, আমার ব্যক্তিগতভাবে এটি ভালো লাগে না।’

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রত্যাশার পারদ চড়াতে বারণ করলেও নিজেদের সেরাটা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমি বলতে পারি যে টিমটা খেলবে তারা ১২০ ভাগ দেবে জেতার জন্য। এটা নিশ্চিত করেই বলতে পারি, প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলবে।’

;

একের সঙ্গে দুইয়ের লড়াই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল যে দুই দল, তারাই একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে আজ। ইডেন গার্ডেন্সে রাত ৮টায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামছে রাজস্থান রয়্যালস। যেহেতু এটি পয়েন্ট তালিকার শীর্ষের দুই দলের লড়াই, তাই এই ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে।

আইপিএলের এবারের আসরে শুরু থেকেই দারুণ ফর্মে আছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দল কলকাতা। তারাই এবার প্রথম দল হিসেবে ঘরের বাইরের মাঠে যেয়েও জয় তুলে নিয়েছিল। টানা তিন ম্যাচ জেতার পর চতুর্থ ম্যাচে যদিও হারের স্বাদ হজম করতে হয়েছিল কেকেআরকে। তবে সেই ধাক্কাও সামলে উঠে সবশেষ নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে দাপটের সঙ্গে হারিয়ে দিয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল।

অপরদিকে টেবিল টপার রাজস্থান রয়্যালসও আছে দুর্দান্ত ছন্দে। টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে গুজারাটের কাছে প্রথম হারের দেখা পায় রাজস্থান, তাও সেটি ছিল খুব অল্প ব্যবধানের হার। সবশেষ পাঞ্জাব সুপার কিংসকে হারিয়ে নিজেদের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করে তারা।

ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্স বরাবরই দাপুটে। তাদের মাঠে যেয়ে জয় তুলে আনাটা বেশ কঠিন তার প্রমাণ সবসময়ই দেখা গেছে। তাই এই ম্যাচে নিজেদের পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই মাঠে নামবে রাজস্থান। অন্যদিকে রাজস্থানকেও সহজভাবে নিচ্ছে না স্বাগতিকরা। কারণ চলতি আসরে রাজস্থানের প্রত্যেকজন খেলোয়াড়ই আছেন নিজেদের সেরা ফর্মে। ব্যাট-বল উভয় ক্ষেত্রেই তারা এবার বিধ্বংসী।

কলকাতার দলে চোটের কারণে খুব সম্ভবত এই ম্যাচেও দেখা যাবেনা নিতিশ রানাকে। তার পরিবর্তে খেলতে পারেন অংক্রিশ রাঘুবংশী। এছাড়া বল হাতে মিচেল স্টার্ক আজ নিজের ঝলক দেখাবেন এমনটাই আশা করছে সমর্থকরা। ওপেনিং জুটিতে সুনীল নারাইন আজও ব্যাটিং তান্ডব চালাবেন এই প্রত্যাশায় আছে দল। অর্থাৎ অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই ঘরের মাঠে নামবে কলকাতা।

অপরপক্ষে রাজস্থানের দলে আবারও ফেরত আসার সম্ভাবনা আছে জশ বাটলার এবং রবীচন্দ্রন অশ্বিনের। সবশেষ পাঞ্জাবের বিপক্ষে এই দুইজনের কেউই দলে ছিলেন না, তবে আজ কলকাতার বিপক্ষে হাই ভোল্টেজ এই ম্যাচে তাদের দেখা যাবে।

বর্তমান পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্টের সঙ্গে শীর্ষে আছে রাজস্থান। এক ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্টের সঙ্গে দুইয়ে আছে কলকাতা। তবে নেট রানরেটের হিসেবে ঢের এগিয়েই আছে নাইট রাইডার্স। আজ যে দল জয় তুলে নিবে তারাই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান দখল করবে। তাই জয়ের উদ্দেশ্যেই মাঠে নামছে দুই দল। আশা করা যায় দারুণ এক ম্যাচ উপভোগ করতে যাচ্ছে সমর্থকরা।

;