অর্ধেক কমল ঢাবির বিজয় একাত্তর হলের ফি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক তিন হাজার ৩০০ টাকা ফি দিতে হতো, যা অন্যান্য হলের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। এখন থেকে ফি দ্বিগুণ কমিয়ে এক হাজার ৭০০ টাকা নির্ধারণ করেছে হল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভুইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ফি: প্রথম বছর সর্বসাকুল্যে দুই হাজার ১০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং পরবর্তী বছরগুলোতে দুই হাজার ১০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলো।
‘আবাসিক শিক্ষার্থীদের ফি: প্রথম বছর সর্বসাকুল্যে তিন হাজার ৬০০ টাকা থেকে তিন হাজার ৩০০ টাকা (দুই হাজার ৭০০+৩০০ টাকা ফেরতযাগ্য জামানত) এবং পরবর্তী বছরগুলোতে তিন হাজার ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।’
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলটিতে শুরুতেই তিন হাজার ৬০০ টাকা ফি ছিল। পরবর্তীতে হলের শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ আর ছাত্রলীগের দাবির প্রেক্ষিতে তা তিন হাজার ৩০০ টাকা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের পর হলটির ছাত্র সংসদ ফি কমানোর জন্য হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করে। হল প্রশাসন বিষয়টি নোট আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে পাঠায়। প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করার পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান নতুন এই ফি অনুমোদন করেন।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জনবল খাতে ব্যয় কমাতে সক্ষম হয়। এতে বার্ষিক ফি পুনর্নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে হল প্রশাসন ও হল সংসদ নেতৃবৃন্দের আন্তরিকতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) সজিবুর রহমান সজিব বলেন, ডাকসু নির্বাচনে আমাদের ইশতেহার ছিল বর্ধিত ফি কমিয়ে আনা। হল প্রশাসন আর ছাত্র সংসদের চেষ্টায় আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের হয়ে কাজ করে যাব।
হলের যুগ্ম সম্পাদক (এজিএস) আবু ইউনুস বলেন, হলের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি আমরা পূরণ করতে পরেছি। ভবিষ্যতেও হলের জন্য আরো কাজ করতে চাই।