৭ দফা দাবি নিয়ে জবি প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে ১১ শিক্ষার্থীর আমরণ অনশনের প্রেক্ষিতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

১ম দফা দাবি (জকসু নির্বাচন): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ গঠনের বিষয়ে কোন ধারা, উপধারা বা গঠণতন্ত্র নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির সাথে সহমত পোষণ করে দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে একটি গঠণতন্ত্র তৈরি করার জন্য শ্বিবিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাসকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, প্রক্টর এবং পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ), জগন্নাথ বিশ্বিবিদ্যালয়। অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাস, সহকারী রেজিস্ট্রার (আইন) এই কমিটিতে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটিকে আগামী ৪৫ কার্যদিবেসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনের জন্য সুপারিশ প্রদান ও জকসু গঠণতন্ত্র প্রণয়নে অনুরোধ করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জকসু গঠণতন্ত্র প্রণয়ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন প্রথম সমাবর্তন শেষে নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২য় দফা (বাসের ডাবল শিফট্ চালুকরণ): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবহনের জন্য বর্তমানে ৩৫টি বাস ও মাক্রোবাস চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবহনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লি. থেকে আরও ১০টি বাস এবং ১টি দ্বিতল বাস ক্রয়ের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী আগস্টের মধ্যে বাসগুলো সরবরাহ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে বাসগুলোর অন্তর্ভুক্তিতে পরিবহন সমস্যার সমাধান হবে। তাছাড়া অবস্থানগত কারণে এবং পুরান ঢাকার যানজটনের কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাসের ডাবল শিফট্ চালু করা প্রায় অসম্ভব। এ প্রেক্ষিতে উপরোক্ত ১১টি বাস পরিবহন পুলে যুক্ত হলে প্রতিটি রুটে বাসের সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে। ফলশ্রুতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যমান পরিবহন সমস্যার সমাধান হবে।

৩য় দফা (ছাত্রী হল নির্মাণ): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসনের জন্য ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ নামে ১৬ তলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে হলে ছাত্রীদের বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। ওই হলটি নির্মাণের সম্পূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজেত রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি)। ওই নির্মাণকাজের সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, হল হস্তান্তরের সময়সীমা আর কোনোভাবেই বৃদ্ধি করা হবে না। আশা করা হচ্ছে, ওই সময়ের মধ্যেই হলে ছাত্রীদের বসবাসের জন্য সিট বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে।

৪র্থ দফা (শিক্ষক নিয়োগ): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এই নিয়োগের হার বৃদ্ধি করা হবে।

৫ম দফা (নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণের জন্য ৯০০ কোটি টাকা ইতোমধ্যে ছাড় করা হয়েছে। নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান। নতুন ক্যাম্পাসের মাস্টার প্লান প্রণয়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে সে অনুযায়ী প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে।

৬ষ্ঠ দফা (ক্যান্টিনের খাবারের মান): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের খাবারের মান ইতোমধ্যেই বৃদ্ধি করা হয়েছে। হ্রাসকৃত মূল্যে পরাটা, ডিম, ভাজি, খিচুড়ি, ভাত, সবজি, মাছ, মাংস, ভর্তা, সিংগারা ও চা পাওয়া যাচ্ছে। ক্যান্টিনে ছাত্র-ছাত্রীদের বসার জন্য নতুন চেয়ার-টেবিল অর্ডার দেওয়া হয়েছে। লাইট, ফ্যান, পানির ফিল্টার সরবরাহ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংষ্কারকাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন অর্থাৎ শুক্র ও শনিবার ক্যান্টিন খোলা থাকবে।

৭ম দফা (গবেষণায় বরাদ্দ): বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু থেকে গবেষণা খাতে বাজেট উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত ২০১৩ সালে এ খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল মাত্র পাঁচ লাখ টাকা। বর্তমানে এ খাতে বাজেট বরাদ্দ রয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সুতরাং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর গবেষণা বিষয়ে কোনো আর্থিক সংকট নেই। আগামীতে এখাতে বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করা হবে। বর্তমানে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষার্থী সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গত রোববার (৭ জুলাই) থেকে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছে।

৭ দফা দাবিগুলো হলো:

জকসু নির্বাচন, বাসের ডাবল শিফট চালু করণ, ছাত্রী হল নির্মাণ, শিক্ষক নিয়োগ, নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নত করা, ও গবেষণায় বরাদ্দ। 

আরও পড়ুন: ৬ দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

   

ঢাবি অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের কুলখানিতে দোয়ার আয়োজন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্রিমিনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের প্রয়াণে পরিবারের পক্ষ থেকে তার কুলখানিতে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে মরহুম অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে এ দোয়ার আয়োজন করা হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য ড.এ.এস.এম মাকসুদ কামাল, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) ড.আব্দুস ছামাদ, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, প্রক্টর ড. মাকসুদুর রহমান, সাবেক উপাচার্য ড.আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

ঢাবি উপাচার্য ড.এ.এস.এম মাকসুদ কামাল প্রফেসর জিয়া রহমানের স্মৃতিচারণ করেন এবং সকলের নিকট তার জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ড. জিয়া রহমান সকলের সাথে হাসি মুখে কথা বলতেন, সবার সাথে চলাফেরা করতেন। তিনি আমার বন্ধু ছিলেন, খুব ক্লোজ চলাফেরা ছিলো আমাদের। আমরা সকলেই চলে যাবো, কিন্তু কোনো কোনো মৃত্যু একটা বড় ক্ষতি করে যায় আমাদের জন্যে ও প্রতিষ্ঠানের জন্যে। জিয়া রহমানের মৃত্যু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় ক্ষতি। আজকের এই এতো মানুষের ভিড় জিয়ার প্রতি মানুষের ভালোবাসার লক্ষণ। তার জানাযায় ও প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছিল। আমরা সকলেই তার জন্য দোয়া করব ও তার মা-ভাই, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সকলেই যেন শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন সেই প্রার্থনা করব।

এ সময় ঢাবির সাবেক উপাচার্য ড.আখতারুজ্জামান বলেন, ড.জিয়া রহমান জীবদ্দশায় সব জায়গায়ই সম্মানিত হয়েছেন। তার অনেক অনেক ভালো গুণ ছিল। তিনি যে কোনো অনুষ্ঠানে সবাইকে মাতিয়ে রাখতে পারতেন। তার সকল ভুল ত্রুটি সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তার জন্যে দোয়া করবেন।

;

গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে আবেদন করতে চায় চবি



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে আবেদন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নিয়ে আসতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত হয় এই সভা। এসময় তিনি টাইমস ও কিউ এস র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেতে তাঁর বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

এ সময় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মান অনুধাবন করা যায় র‍্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে। দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে আছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণা, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোসহ সার্বিক বিষয়ের সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে। এরপর বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং এর জন্য আবেদন করলে একটা ফলপ্রসু অবস্থান আশা করা যেতে পারে

এছাড়াও উপাচার্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক নিয়োগ, সেন্টার অফ এক্সিলেন্স গঠন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ, ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে পরিকল্পনা, পরিবেশ-বান্ধব ক্যাম্পাস নিয়ে সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন। এ লক্ষ্যে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, চবি আইকিইএসির পরিচালক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন, চবি আইসিটি সেলের পরিচালক কম্পিউটার সায়েন্সেস এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, চবি কলেজ পরিদর্শক পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, চবি ফাইন্যান্স বিভাগের প্রফেসর ড. অনুপম দাশগুপ্ত, চবি জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. আদনান মান্নান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুব হাসান, চবি ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলী, চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ, চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা, চবি একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এস.এম. আকবর হোছাইন ও চবি গ্রন্থাগার দপ্তরের উপ-গ্রন্থাগারিক দিল রুকসানা বসুনীয়া উপস্থিত ছিলেন।

;

এবার দুই পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কুবি শিক্ষক



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষক দুইটি পদ থেকে একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষক হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক। তিনি ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিনিধি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া একটি পদত্যাগপত্র তিনি প্রদান করেন।

পদত্যাগপত্রে মোহাম্মদ আইনুল হক উল্লেখ করেন, আমি ২০২২ সালের ০৬ নভেম্বর থেকে ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরিকৃত সংকটের কোনো সমাধান না করে উপরন্তু নতুন নতুন সংকট তৈরি, অনিরাপদ কর্মক্ষেত্র এবং পেশাগত বিশৃঙ্খলা তৈরির পাশাপাশি বিভিন্নভাবে শিক্ষকদের মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। এ সমস্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে আমি উক্ত পদসমূহের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।'

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আইনুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তা সমাধান না করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিন, বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে আইন মানা হচ্ছে না। এমনকি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের সাথে কর্মকর্তাদের যে অসৌজন্যমূলক আচরণ তার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যার প্রেক্ষিতে আমার মনে হয়েছে এই পদে আমার থাকা অনুচিত। তাই আমি পদত্যাগ করেছি।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মো: কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন। এছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় 'এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনীভাবে ডিন নিয়োগ' দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যর পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ চার হলের চার আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছিলেন।

;

৩ বছরেও সমন্বয় হয়নি জবি শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা এখনো সমন্বয় হয়নি বলে অভিযোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রসায়ন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর স্টুডেন্ট আইডির প্রোফাইলে লগ ইন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

রসায়ন বিভাগ ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিমের স্টুডেন্ট আইডির প্রোফাইলে লগ ইন করে দেখা যায়, প্রতিবছর ১ বার করে সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মেধাবৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি থেকে এক শিক্ষাবর্ষে ২ বার ৬০০ টাকা মওকুফের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। তিনি ২০২১ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। ফলে বৃত্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতি সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ হবার কথা। অর্থাৎ ১ বছরে ২ বার এবং ৩ বছরে ৬ বার ৬০০ টাকা করে মওকুফ হবার কথা থাকলে ৩ বছরে মাত্র ৩ বার ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

২০২১ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩" অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ হতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৪০০/- (চারশত) টাকা হারে মেধাবৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। মেধাবৃত্তি ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীর ১০% (শতকরা দশজন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে।

২০২২ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩" অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ হতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৬৫০/- (ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা হারে মেধাবৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। মেধাবৃত্তি ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীর ১০% (শতকরা দশজন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে।

এ বিষয়ে ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিম বলেন, আমি ২০২১ সালে মেধাবৃত্তি পেয়েছি এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। সে হিসেবে আমার প্রতি সেমিস্টারে ৬০০ টাকা করে মওকুফ হবার কথা। অর্থাৎ এক শিক্ষাবর্ষে দুই সেমিস্টারে ৬০০ করে মোট ১২০০ টাকা মওকুফ হবার কথা কিন্তু প্রতিবছর শুধু একবার করে ৬০০ টাকা মওকুফ করেছে।

রসায়ন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ২০২১ ও ২০২২ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। মেধাবৃত্তির টাকা পেলেও সমন্বয় হয়নি অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ২০২১ ও ২০২২ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। বৃত্তির নোটিশ অনুযায়ী আমার প্রতি সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয় নি। ২০২৩ সালে দুটি সেমিস্টার থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। তবে ২০২১ ও ২০২২ সালে একবার করে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আমি যখন ছাত্রকল্যাণের পরিচালক ছিলাম তখন এ বিষয়গুলো আপডেট করা হয়েছে। এমন হওয়ার কথা না। এরপরেও যদি হয়ে থাকে তবে সমস্যা আইসিটি সেলের নাকি অন্য কোথাও সেটা দেখতে হবে।

তিনি বলেন, যদি কোনো শিক্ষার্থীর অনার্স বা মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়ায় তার টাকা সমন্বয় করার কোনো উপায় না থাকে তবে সে এপ্লিকেশন করলেই তাকে তার প্রাপ্য টাকা দিয়ে দেয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থীই বঞ্চিত হবে না।

সশরীরে উপস্থিত হয়ে সমন্বয় করতে হবে-এমন কথা বৃত্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না থাকলেও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, যখন শিক্ষার্থীরা দেখলেন যে সমন্বয় হচ্ছে না তখন তাদের উচিত ছিল অভিযোগ জানানো। আমরা নিজেরাও তো ব্যাংকে সরাসরি যোগাযোগ করি যখন কোনো সমস্যা হয়।

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, এটা আইসিটি সেলের বিষয় না। রেজিস্ট্রার স্যারের সাথে কথা বললে সঠিক তথ্য পাবেন।

;