বাতির নিচেই অন্ধকার!



সাইফ সাইফুল্লাহ, রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা। ক্যাম্পাসের একটি চায়ের দোকানের এপাশ থেকে ওপাশে ছুটোছুটি করছে দশ বছর বয়সী শিশু শুভ। ‘এই পিচ্চি, এদিকে আয়’ বলে বিভিন্ন পাশ থেকে ডাক পড়ছে তার। ডাক পড়তেই সেখানে ছুটে যাচ্ছে সে। চাহিদা মতো সরবরাহ করছে চা-সিগারেট।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পাশে খালেকের চায়ের দোকানের সামনের দৃশ্য এটি। শুধু এই দোকানই নয়, ক্যাম্পাসের চাসহ অন্যান্য খাবারের দোকানের চিত্র একই। উত্তরবঙ্গের সেরা এই শিক্ষাঙ্গনে আইন অমান্য করে দোকানগুলোতে কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। জ্ঞানার্জনের বিদ্যাপীঠে এ চিত্র যেন আলোর প্রদীপের নিচেই অন্ধকার।

শিশু শ্রমিক শুভ জানায়, তার বাবা একজন রং মিস্ত্রি। মা অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে কাজ করে ৪০ টাকা পায় সে। সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার মা তাকে খাইয়ে দিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে চলে যান। পড়াশোনা করার ইচ্ছে থাকলেও পরিবারের অভাব অনটনের কারণে প্রতিদিন তাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চায়ের দোকানে কাজ করতে হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/16/1542341839407.gif

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে চায়ের দোকানে কাজ করে ১২ বছর বয়সী শিশু নাসরুল্লাহ। সে জানায়, সাত বছর বয়সে বাবাকে হারায়। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে। মায়ের উপার্জনে সংসারের খরচ না মেটায় চায়ের দোকানে কাজ নেয় নাসরুল্লাহ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চায়ের দোকানে কাজ করলে প্রায় দেড়শ টাকা পায় সে। সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার মা একটি বাটিতে করে খাবার দিয়ে দেয়। সেই খাবার দুপুরে খায়। লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ থাকলেও অভাবের কারণে নাসরুল্লাহের আর বিদ্যালয়ে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।

এছাড়া ক্যাম্পাসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করে রাব্বী। সকাল হতেই চুলায় বাদাম ভেজে দেন মা। তারপর ক্যাম্পাসেই ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করে সে। দুপুরে খাবার হাতে মা ছুটে আসে ক্যাম্পাসে। একসঙ্গে মা ও ছেলে খাবার ভাগ করে খায়। এভাবেই তাদের মা ছেলের দিন চলে।

রাব্বীর মা রাবেয়া খাতুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই ব্যাটাটা (ছেলে) বাপ মইরি যাওয়ার পর থেইকি সংসারের হাল ধইরিছে। এই বয়সীর ছাওয়ালেরা (ছেলেরা) সারাদিন কতো দৌড়ি বেড়ায়, আর আমার রাব্বীক বাদাম লিয়া ছুটতি হয়। ক্যাম্পাসের মামারা (শিক্ষার্থীরা) ওক অনেক আদর করে। আমি হতভাগা মা ওর জন্য কিছুই করতি পারি না। আমি দুয়া করি আমার রাব্বী জানি জীবনে মেলা বড় অয়।’

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, শুভ, রাব্বী ও নাসরুল্লার মতো আরও অনেক শিশু ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দোকানে কাজ করে। যে বয়সে তাদের বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, অন্য শিশুদের মতো মাঠে খেলাধুলা করার কথা, সেই বয়সে তারা কাজে নিয়োজিত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে দোকান থেকে তারা পায় পঞ্চাশ থেকে দেড়শ টাকা। দিন শেষে তা তুলে দেয় বাবা-মায়ের হাতে। তাদের এই সামান্য রোজগারের টাকায় ঘুরছে সংসারের চাকা।

দোকানিরা বলছেন, অল্প মজুরিতে শিশুদের বেশি কাজ করানো যায়। এছাড়া শিশুদের যা বলা হয়, তারা তাই শোনে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে যেখানে দিনে তিন থেকে চারশ টাকা দিতে হয়, সেখানে শিশুদের পঞ্চাশ থেকে দেড়শ টাকা দিলেই চলে। এজন্য সবাই শিশুদের কাজে লাগায়।

অথচ বাংলাদেশ শ্রম আইন (২০০৬) অনুসারে শ্রমিকের বয়স ১৪ বছরের নিচে হওয়া যাবে না। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। শ্রমে নিয়োজিত বহু শিশুর বয়স ১৪ বছরের নিচে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনেকেই শিশু শ্রমে নিয়োজিত থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। অপরদিকে, ছোট বয়সে শ্রমে নিয়োজিত হওয়ায় মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/16/1542341865135.gif

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ওয়ারদাতুল আকমাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘শিশুদের দিয়ে কাজ করানোর বিষয়টা অমানবিক। শিশু কাজে নিয়োজিত থাকলে তার মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। দোকান মালিক নিজেদের লাভের আশায় শ্রমে শিশুদের ব্যবহার করছেন, এটা উচিত না। শিশু শ্রম বন্ধে সবার এগিয়ে আসার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনা প্রয়োজন।

আইন অমান্য করে শিশুদের দিয়ে কাজ করানো প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুল আলম প্রধান বার্ত২৪.কমকে বলেন, ‘শিশুদের দিয়ে কোনো ভাবেই স্বাস্থ্যহানিকর বা ঝুঁকিপূর্ণ কোনো কাজ করানো যাবে না। এ বিষয়টি ২০০৬ এর শিশু শ্রম আইনে বলা থাকলেও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনি বিধান ও প্রয়োগের সীমাবদ্ধতার কারণে শিশুদেরকে শ্রমে নিয়োজিত করা হচ্ছে। যার ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। দেশে শিশু শ্রম বন্ধের আইন ও নীতিমালা আছে, কিন্তু আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকার ফলে শিশু শ্রম বন্ধ হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আঞ্জুমান বানু বার্তা২৪.কমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব দোকান রয়েছে তা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন এর মালিকরা। এ সকল দোকানগুলোতে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে মালিক পক্ষের ভূমিকা থাকে। তারা কাকে দিয়ে দোকানের কাজ পরিচালনা করবেন এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে কেউ যদি এ বিষয়ে অভিযোগ করে তাহলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;