মিয়ানমারের সেনা ও বিদ্রোহীদের প্রতি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আহ্বান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং দেশটির উত্তরের শান প্রদেশে লড়াইরত বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সাধারণ নাগরিকদের রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে নিউ ইয়র্কের হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এক বিবৃতির মাধ্যমে সংস্থাটি এ আহ্বান জানিয়েছে।

১৫ আগস্ট শুরু হওয়া এ লড়াইয়ে কমপক্ষে ১৭ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

আগস্টের লড়াইয়ে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অস্থায়ী আশ্রয়ে রয়েছেন সাড়ে তিন হাজার লোক।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, দুই পক্ষের সশস্ত্র লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে সাহায্য পৌঁছানোর সব পথ বন্ধ রয়েছে। ফলে সেখানে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহী সশস্ত্র দলগুলোর উচিত বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় যুদ্ধের আইনের একটি মূল নিয়ম মেনে চলা। যুদ্ধের সময় সব পক্ষের উচিত বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে বেআইনি আক্রমণ বন্ধ করা এবং সাধারণ জনগণের কাছে যথাযথভাবে সাহায্য পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা।

a

অ্যাডামস আরো বলেন, সাধারণ মানুষের সেবা করতে দেওয়া উচিত। মানবতাবাদী সংস্থাগুলোকে অহেতুক বেসামরিক মানুষের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে মিয়ানমার সরকার দেশজুড়ে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে অসংখ্য বার সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়েছে। এসব সশস্ত্র দলের মধ্যে তা'আং জাতীয় মুক্তি বাহিনী, মায়ানমার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট সেনা, আরাকান সেনা এবং কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি উত্তর জোট নামে চারটি দল জোটবদ্ধ হয়েছে।

১৫ আগস্ট উত্তর মৈত্রী বাহিনী, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি, ম্যান্ডেলের নিকটবর্তী লশিও, ন্যাংহকিয়ো এবং পাইয়ন ওউ লুইনে সামরিক লক্ষ্য এবং বেসামরিক কাঠামোর ওপর সমন্বিত আক্রমণ চালানোর পরে সাম্প্রতিক এ যুদ্ধ শুরু হয়।

এ সশস্ত্র জোটটি ১৫ আগস্ট আর্মি একাডেমিসহ ছয়টি স্থানে সমন্বিত হামলা চালায়। এর ফলে ১৫ জন নিহত হন। এর পরেই সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহী জোটের লাগাতার সংঘর্ষের খবর মিয়ানমার মিডিয়া জানিয়েছে।

শান স্টেটের ন্যাংচো জনপদের কাছে পাইয়ন ওউ লুইন অঞ্চলে ডিফেন্স সার্ভিসেস টেকনোলজিক্যাল একাডেমিসহ বিদ্রোহী জোটটি ছয়টি ভিন্ন এলাকায় হামলা চালানোর পর এ সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে।

এ হামলায় স্থানীয় ব্রিজের একটি প্রহরী চৌকিতে সাতজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হন। ব্রিজটি চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী চীন সীমান্তের নিকটবর্তী কুতকাই শহরের কাছে এবং উত্তর-পূর্ব ল্যাসিও জনপদ জুড়ে পাল্টা লড়াই শুরু করে। এলাকাটির প্রধান হাইওয়ে জুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, যুদ্ধের আইন অনুযায়ী, অ্যাম্বুলেন্স এবং অন্যান্য মেডিকেল ট্রান্সপোর্টের ওপর আক্রমণ নিষিদ্ধ।

৩১ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং উত্তর জোট বাহিনীর মধ্যে ভারী গোলা বিনিময়ে কুতকাইতের পাঁচ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে তিনটি শিশু রয়েছে। তাদের বাড়িতে একটি মর্টার শেল আঘাত হানায় আরো দু’জন আহত হন। কোনো পক্ষই এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। বরং পরস্পর দোষ দিয়েছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ২ সেপ্টেম্বর কুতকাই জনপদে হেলিকপ্টার হামলা চালিয়ে একটি মঠ এবং কিছু বেসামরিক সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি করেছে বলে জানা গেছে।

৩৪৬টি বেসরকারি সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল ৩ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে এ লড়াইয়ের নিন্দা জানিয়েছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।

৪ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী জুন কুনুগি এক বিবৃতিতে বলেন, উত্তর শান প্রদেশে সাম্প্রতিক লড়াইয়ে কমপক্ষে ১৭ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

a

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, আন্তর্জাতিক মানবতা আইন বা যুদ্ধের আইন মেনে বেসামরিক জনগণকে রক্ষার জন্য সামরিক অভিযানের সময় সংঘাতের ঝুঁকি ও বেসামরিক জনসাধারণের ক্ষয়ক্ষতি ও বেসামরিক বস্তুর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সমস্ত সম্ভাব্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক জনগণ বা বেসামরিক বস্তুর ওপর আক্রমণ করা নিষিদ্ধ। শুধু তাই নয়, নির্বিচারে বা অসমর্থনমূলক আক্রমণ করাও নিষিদ্ধ। জনবহুল অঞ্চলে আর্টিলারি এবং মর্টার শেলের মতো ভয়াবহ ক্ষতি সাধনকারী বিস্ফোরকও এড়ানো উচিত।

কুতকাইতে অবস্থিত একটি বেসরকারি সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছে, আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর কোনো সহায়তা এখনো তাদের কাছে পৌঁছায়নি।

যুদ্ধের আইনের অধীনে, লড়াইরত উভয়পক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের মানবিক সহায়তার জন্য দ্রুত সাহায্য পৌঁছানোর অনুমতি দিতে হবে। মানবিক সহায়তাকারীদের চলাফেরার স্বাধীনতাও নিশ্চিত করতে হবে।

   

পৃথিবীর বৃহত্তম দুর্নীতিতে বিজেপি: অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী বন্ড শুধু ভারতের নয়, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। এর জন্য নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ভুগতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর। তিনি বলেন, এই দুর্নীতির কারণে কেন্দ্রের বর্তমান সরকারকে ভোটাররা শাস্তি দেবেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর বলেন, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা সবাই দেখতে পেয়েছেন। এটাও বুঝতে পেরেছেন, এটি শুধু ভারত নয়, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে ব়ড় দুর্নীতি। এটা বিজেপিকে ভোগাবে বলেই মনে হয়। এই নির্বাচনী বন্ড আগামী দিনে আরও বেশি করে প্রচারিত হবে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচনী বন্ডের যে তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন, তাতে দেখা যায়- নির্বাচনী বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি।

উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৬ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা পেয়েছে। তালিকায় তাদের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। তারা ওই সময়ের মধ্যে পেয়েছে ১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। কংগ্রেস পেয়েছে ১ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।

;

আরও চারদিন বাড়ল কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরও চারদিন বাড়ল কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ

আরও চারদিন বাড়ল কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবগারি দুর্নীতি মামলায় অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ আরও চার দিন বাড়িয়েছে ভারতের একটি আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ প্রথম দফায় বাড়িয়ে ১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে।

ভারতের জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে গত ২১ মার্চ দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মদ নীতি কেলেঙ্কারির মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত তার রিমান্ড মঞ্জুর করে ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়।

;

নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে রুশ গোয়েন্দা প্রধানের উ.কোরিয়া সফর : কেসিএনএ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যে ঐতিহাসিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হওয়ার প্রেক্ষিতে রুশ গোয়েন্দা প্রধান চলতি সপ্তাহের শুরুতে নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ কথা জানায়।

রাশিয়ার বিদেশি গোয়েদা সংস্থা এসভিআর-এর প্রধান সের্গেই নারিশকিন ২৫ থেকে ২৭ মার্চ তার সফরকালে উত্তর কোরিয়ার সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রী রি চ্যাং ডে-এর সাথে বৈঠক করেন।

কেসিএনএ জানায়, কর্মকর্তারা শত্রু শক্তির ক্রমবর্ধমান গুপ্তচরবৃত্তি ও ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপের মোকাবিলা করতে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়া ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়া উভয়ই বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলে শীর্ষ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে কিম ঘোষণা করেন, রাশিয়ার সাথে তার দেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তবে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করা শুরু করেছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে।

এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরিয়া জোর দিয়ে বলেছে, গত জুলাইয়ের দিকে স্থানান্তর শুরু হওয়ার পর থেকে উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ায় প্রায় ৭ হাজার কন্টেইনার অস্ত্র পাঠিয়েছে।

ওয়াশিংটন ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া বিনিময়ে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও তার সোভিয়েত যুগের সামরিক সরঞ্জাম উন্নত করার মতো সামরিক সহায়তা চায়।

কেসিএনএ'র রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই পক্ষ একটি বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনার টেবিলে থাকা বিষয়গুলোর ওপর সম্পূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

;

নিরস্ত্র ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা, বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা দিল ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরস্ত্র ২ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার পর সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ বালুচাপা দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সৈকতে ২ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তাদের একজনকে বারবার সাদা কাপড়ের টুকরো নাড়তে দেখা যায়। কিন্তু কোনো হুমকি সৃষ্টি না করলেও ইসরায়েলি সেনারা গুলি করে তাদের হত্যা করে। পরে গাজা শহরের কাছে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, এটা ইসরায়েলি বাহিনীর ফ্যাসিবাদ, অপরাধের মাত্রার আরও একটি প্রমাণ যা জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।

 

;