বিশ্বে প্রতি মিনিটে ২০ জন মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে!



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর,বার্তা২৪.কম
আদিঅন্তহীন শরণার্থীরা, ছবি:রয়টার্সের সৌজন্যে

আদিঅন্তহীন শরণার্থীরা, ছবি:রয়টার্সের সৌজন্যে

  • Font increase
  • Font Decrease

উদ্বাস্তু বা শরণার্থী বা রিফিউজিদের পক্ষে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ২০ জুন আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস পালন করা হলেও বৈশ্বিক রিফিউজি সমস্যার চিত্রটি মোটেও ভালো নয়। শরণার্থী দিবসের প্রাক্কালে বিলাতের প্রখ্যাত ডেইলি সান পত্রিকা যে সর্বসাম্প্রতিক পরিসংখ্যান হাজির করেছে, তা মারাত্মক, ভয়াবহ ও আশঙ্কাজনক।

'সান'-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ে প্রতি এক মিনিটে বিশ্বের নানা স্থানে ২০ জন মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে। যুদ্ধ, সহিংসতা ও প্রাণনাশের বিপদ থেকে বাঁচতে ঘরবাড়ি ছেড়ে এসব মানুষ উদ্বাস্তু পরিচয়ে শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছে, যাদের অর্ধেকই শিশু-কিশোর।

উদ্বাস্তুদের ৮৬% ভাগ উন্নয়নশীল দেশের হতভাগা নারী ও পুরুষ। এরা মূলত এশিয়া ও আফ্রিকার সংঘাত কবলিত দেশগুলোর বিপন্ন নাগরিক। দাঙ্গা-হাঙ্গামা-যুদ্ধ-বিদ্রোহের বিশ্ব তালিকাটিতেও এশিয়া-আফ্রিকার দেশগুলো এগিয়ে। এসব দেশের মানুষই অকাতরে উদ্বাস্তু হচ্ছে।

বিশ্বের মোট শরণার্থীর ৫১% ভাগ ১৮ বছরের কম বয়সী। তারা হলো শিশু ও কিশোর। জীবনের কঠিন বাস্তবতায় যাদের শিক্ষা ও শৈশব ধূলিসাৎ হচ্ছে রক্ত, মৃত্যু, অস্ত্রের তাণ্ডবে।

কেনিয়ার দাদাব শরণার্থী শিবিরকে বলা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্বাস্তু আবাস, যেখানে ৩২৯,০০০ শরণার্থী নারী-পুরুষ-শিশু বসবাস করে। তবে সান পত্রিকার এই সংখ্যাগত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চ্যালেঞ্জ করা যায়, বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ-কুতুপালং রিফিউজি ক্যাম্পকে সামনে রেখে।

মায়ানমারের জাতিগত নিধনের কবল থেকে রক্ষা পেতে যে ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তরেখায় বসবাস করছেন, অনেক বিশেষজ্ঞই তাদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ শরণার্থী গোষ্ঠী বলে মনে করেন। তাদের আশ্রয়স্থলকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রিফিউজি ক্যাম্প বলেও বিশ্বাস করেন তারা।

ডেইলি সান আরও যে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে তা হলো, বিশ্বের আলাদা আলাদা রিফিউজিরা এখন একটি একক জনগোষ্ঠীতে পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ ও জাতিসত্তার পাশাপাশি বিশ্বের রিফিউজিরাও একটি নিজস্ব দল গঠন করে অলিম্পিক ক্রীড়ায় অংশ নিচ্ছে। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো রিফিউজিদের নিয়ে তৈরি টিম অংশ নেয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/20/1561003239358.jpg
বিপন্ন-অসহায় শরণার্থীরা, যাদের অর্ধেকই শিশু, ছবি:রয়টার্সের সৌজন্যে

 

জাতিসংঘের একাধিক সংস্থা, মানবিক ও ত্রাণ সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞরা একটি বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, পৃথিবীতে মানব সভ্যতার ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক শরণার্থীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে বর্তমান সময়ে। অতীতে আর কখনোই এতো বিপুল শরণার্থী পৃথিবীতে ছিল না।

তবে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার পক্ষে বিশ্বে শরণার্থীর প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা সত্যিই কঠিন। কারণ, বর্তমানে পৃথিবীর নানা প্রান্তে প্রতি মিনিটে মানুষ গৃহহীন ও উদ্বাস্তু হচ্ছে। স্রোতের মতো মানুষ ঘরবাড়ি, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে আদিঅন্তহীন শরণার্থীদের মিছিলে। ফলে ক্রমবর্ধমান সংখ্যাটি সঠিকভাবে হিসাব করে বের করাও বেশ দুরূহ বিষয়।

তথাপি ধারণা করা হয় যে, বিশ্বে বর্তমানে আনুমানিক ৭ কোটি মানুষ স্বদেশ ও স্বগৃহ ছেড়ে শরণার্থী জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) কর্তৃক প্রতি বছর প্রকাশিত 'গ্লোবাল রিফিউজি ট্রেন্ডস' নামক রিপোর্টে প্রাপ্ত তথ্য, পরিসংখ্যান ও হিসাবগুলো লক্ষ্য করলে শরণার্থীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা দেখতে পাওয়া যায়।

বিভিন্ন স্টাডি রিপোর্ট অনুযায়ী ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, মায়ানমার, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিয়েরালিওন প্রভৃতি দেশকে বিশ্বের প্রধান শরণার্থী উৎসস্থল রূপে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ, লেবানন, আজারবাইজানকে গণ্য করা হয় সর্বাধিক সংখ্যক রিফিউজিদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসাবে। 

আফ্রিকা, এশিয়া, বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের মানুষ শরণার্থী হয়েছেন সবচেয়ে বেশি। দেশগুলো অনুন্নত ও দরিদ্র এবং সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে পশ্চাৎপতা ও অশিক্ষায় জর্জরিত। দুঃখজনক তথ্য হলো, সংঘাত কবলিত ও শরণার্থী সমস্যাগ্রস্ত সিংহভাগ দেশই মুসলিম অধ্যুষিত।

বর্তমান সময়ে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শরণার্থী সৃষ্টি হওয়ার পেছনে যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ, দাঙ্গা ও সংঘাতকে অন্যতম কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞ-গবেষকরা। রাজনৈতিক-মতাদর্শিক কারণে এবং ধর্মীয়-জাতিগত উগ্রতা ও সম্প্রদায়গত বিরোধের জন্য সৃষ্ট যুদ্ধ-বিগ্রহ, গণহত্যা ও শারীরিক-মানসিক-যৌন নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পরিবার বা আস্ত সম্প্রদায় দেশ ছেড়ে শরণার্থী হয়ে পালিয়ে রক্ষা পাচ্ছে।

যারা পালাচ্ছে, তারা মানবেতর জীবন-যাপন করে হলেও বেঁচে থাকতে পারছে। কিন্তু খুব সামান্যই স্বদেশের নিজ বাস্তুভিটায় ফিরে যেতে পারছে। পৃথিবীতে এমন বহু শরণার্থী শিবির আছে, যেখানে উদ্বাস্তুরা কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করছেন। শরণার্থী পরিচয়েই মারা যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ এবং শরণার্থী পরিচয়েই জন্ম নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ শিশু।

ফলে বিশ্বের মানবিক সমস্যার মধ্যে এক নম্বর বলে শরণার্থী ইস্যুকে বিবেচনা করা হচ্ছে। শুধু শরণার্থী বা তাদেরকে স্বভূমিতে প্রত্যাবর্তনই নয়, তাদের পরিবার-পরিজন, শিশু-নারী, স্বাস্থ্য-শিক্ষা, ভরণপোষণ, নিরাপত্তা ইত্যাদি চ্যালেঞ্জিং এজেন্ডাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আশ্রয়দাতা দেশগুলোর বিভিন্ন বিষয়ও শরণার্থীদের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা কাঠামোয় অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

এসব কারণে শরণার্থী ইস্যু একজন ব্যক্তি বিশেষের সমস্যার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সামাজিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য, রাজনৈতিক শান্তি ও সাংস্কৃতিক সহনশীলতা বিষয়ক প্রপঞ্চের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহকেও স্পর্শ করছে।

শরণার্থী সমস্যার বহুমাত্রিক অভিমুখের কারণে এবং সংশ্লিষ্ট প্রাসঙ্গিক বিষয়াবলীকে মোকাবেলার প্রত্যয়ে বিদ্যমান শরণার্থী সমস্যাকে সমন্বিত ভাবে দেখার প্রয়োজনীয়তা তীব্রতর হচ্ছে। ফলে চলতি ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবসের মূল স্লোগান বা প্রতিপাদ্য ঘোষণা করা হয়েছে 'Global Compact on Refugees'.

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কাঁধে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা

   

ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইরানের ইসফাহান শহরের বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানি বার্তাসংস্থা ফার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের বরাতে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এই শহরে ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক কেন্দ্র রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের আকাশসীমায় বেশ কয়েকটি ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইরান ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর এর কড়া জবাব দেয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছিল ইসরায়েল প্রশাসন। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল। আর এরই মধ্যে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল।

এর আগে, ১ এপ্রিলে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবেই শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। 

এ ঘটনায় অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। তবে সেই আহ্বান কর্ণপাত না করেই ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েলি বাহিনী। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইরান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে পরিণতি ভালো হবে না, কঠিন জবাব দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, ইরানের মাটিতে ইহুদিবাদী শাসকদের (ইসরায়েল) যেকোনো ধরনের আক্রমণের কড়া জবাব দেয়া হবে।

একই অনুষ্ঠানে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান এয়ার ফোর্সের কমান্ডার বলেন, ‘ইসরায়েলি হামলা মোকাবিলা করতে রাশিয়ার তৈরি সুখোই-২৪ এবং আমাদের অন্যান্য যুদ্ধবিমানগুলো সর্বোচ্চ প্রস্তুতিমূলক অবস্থায় রয়েছে। আমরা সবসময় প্রস্তুত।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। 

;

আজ থেকে ভারতে শুরু লোকসভা নির্বাচন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ভোট নেওয়া শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার থেকে। সাত দফায় দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। প্রথম দফায় দেশটির ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে আজ। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্র রয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির আসন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য রাজ্য পুলিশের উপরেও আস্থা রেখেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে মূল লড়াই হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইনডিয়া’ জোটের মধ্যে। ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের মূল দল ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন।

শুক্রবার ভোটকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল ১০২টি আসনে ভোট হবে। ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

;

যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে আটকে গেল জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘে রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পথ আটকে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে ভেটো দিয়েছে দেশটি।

খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণসদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল।নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২টি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোটদানে বিরত ছিল। ভেটো প্রদান করে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

ভেটো দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে চলেছে।এই ভোটটি ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রত্বের বিরোধিতাকে প্রতিফলিত করে না। আমরা চাই তারা সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসুক।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মার্কিন ভেটোকে অন্যায়, অনৈতিক এবং অযৌক্তিক বলে নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মার্কিন ভেটো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ভেটো দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করে বলেছেন, লজ্জাজনক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা হবে না।

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘ সদস্য না হলেও ২০১২ সালে তারা জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য ফিলিস্তিন বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

তবে তাদের এই আর্জি প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তারপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এর পক্ষে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে।

২০১১ সালে পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। এরপর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে ফিলিস্তিন এ মাসের শুরুতে আবারও সদস্যপদের জন্য আবেদন করে।

;

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোল্লাসহ শীর্ষস্থানীয় ৯ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এই খবর জানিয়েছে বিবিসি, এএফপিসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।

কেনিয়ার একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার এএফপিকে জানিয়েছেন, উড্ডয়নের পরপরই হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায় এবং এতে জেনারেল ওগোল্লাসহ ৯ জন সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। তার মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, হেলিকপ্টারে অবস্থান করা সবাই ছিলেন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে জেনারেল ফ্রান্সিস ওগোল্লা, রাষ্ট্রপতির প্রধান সামরিক উপদেষ্টাও ছিলেন। তবে বিবিসি এসব প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

খবরে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি কেনিয়ার রিফট ভ্যালিতে নেমে এসেছিল এবং আগুনে ফেটে পড়েছিল। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থলে তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের মাতৃভূমি তার সবচেয়ে বীর জেনারেলদের একজনকে হারিয়েছে। জেনারেল ওগোল্লার মৃত্যু আমাদের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।

ওগোল্লা ১৯৮৪ সালে কেনিয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সঙ্গে একজন ফাইটার পাইলট এবং কেনিয়া এয়ার ফোর্সে (কেএএফ) একজন প্রশিক্ষক পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। ডেপুটি মিলিটারি চিফ হওয়ার আগে ওগোল্লা কেনিয়ার বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন। গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট তাকে পদোন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান করেন।

;