রোগীর শরীরে এইচআইভি ব্লাড ‘ট্রান্সফিউশন’ বামরুনগ্রাড হাসপাতালে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ব্যাংককের বামরুনগ্রাড ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতাল, ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংককের বামরুনগ্রাড ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতাল, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের স্বনামধন্য হাসপাতাল বামরুনগ্রাড ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে এক ক্যান্সারের রোগীর শরীরে এইচআইভি আক্রান্ত ব্লাড ট্রান্সফিউশন (রক্ত পরিবহন) করার কথা স্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অসাবধানতাবশত এই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছে তারা।

একজন রোগী তার ক্যান্সারের কেমোথেরাপির জন্য হাসপাতালে ৭০ লাখ বাথ বা ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা প্রদান করে। এ সময় তার শরীরে অসাবধানতাবসত এইচআইভি পজিটিভ ব্লাড ট্রান্সফিউশন (রক্ত পরিবহন) করিয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে বামরুনগ্রাড হাসপাতাল নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে এবং জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছে।

এক বিবৃতিতে হাসপাতালটি জানিয়েছে, রোগীর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় বারমুনগ্রাড ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতাল সত্যিকারভাবেই দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমাপ্রার্থী। ওই রোগীর সঙ্গে যেটা ঘটেছে তার জন্যে আমরা আমাদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং রোগীর পরিবার যে ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করছি।

এই হাসপাতালে স্থানীয়দের চেয়ে বিদেশি রোগীর সংখ্যাই বেশি থাকে। যার একটি বড় অংশ বাংলাদেশের উচ্চবিত্তের মানুষ। থাইল্যান্ডের সেরা এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই হাসপাতালটি জানিয়েছে, এই রক্ত রেডক্রসের থেকে নেয়া হয়েছিল। তবে যেই সময় রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেই সময় রক্তে এইচআইভি ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রক্ত পরীক্ষার সময় ভাইরাসে বহনকারী ব্যক্তি উইনডো পিরিয়ড রিস্কে ছিলেন। এই সময়টা হচ্ছে, ওই রক্ত প্রদানকারী ব্যক্তির রক্তে এইচআইভি ভাইরাস প্রাথমিক অবস্থায় ছিল যেটা পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। এই রক্ত কাউকে প্রদান করলে সেখানে ধরা পড়া এবং আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে খুবই কম।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর ফলে হাসপাতাল সব ধরনের কার্যকরী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই ওই রোগীকে রক্ত প্রদান করেছে। যেখানে রোগীকে আগে থেকেই জানানো হয়েছে ব্লাড ট্রান্সফিউশনের কারনে এইচআইভি'র মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং সেই সময় তার জন্যে ব্লাড ট্রান্সফিউশনও ছিল অবধারিত।

২০১৭ সালে রেড ক্রসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার এক বা দুই সপ্তাহ পরই জানা যাবে ভাইরাসের উপস্থিতি।

এই বিষয়টি প্রথম নজরে আসে যখন লিউকেমিয়া রোগী হিসেবে ২৪ বছর বয়সী তাকেরু নোপ্পাসিন জিন জানান তিনি বামরুনগ্রাড হাসপাতালে চিকিৎসাকালীন সময়ে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/11/1557560737986.jpg

স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে দেয়া স্বাক্ষাৎকারে ওই জাপানিজ বংশোদ্ভুত ব্যক্তি জানিয়েছেন, ২০০৪ সালে ৯ বছর বয়সে তিনি ওই হাসপাতালে কেমোথেরাপি নেয়া শুরু করেন। হাসপাতাল থেকে বলা হয় তার ১৪ ডোজেজ ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন। তিনি ভালভাবেই ডোজগুলো ফলো করছিলেন। তবে ১২ তম ভিজিটে ব্লাড ট্রান্সফিউশনের পর তার শরীরে যক্ষ্মা এবং বিভিন্ন রোগের উপসর্গ ধরা পড়ে।

পরবর্তীতে চিকিৎসক তাকেরুকে জানান, তিনি এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন। রক্তদাতা একজন পুলিশ ছিলেন যিনি কয়েক বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন।'

তাকেরুর পরিবার জানান, প্রাথমিকভাবে তারা বামরুনগ্রাডের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছিলেন। তবে পরে হাসপাতাল বিনামূল্যে চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিলে আর মামলা করেননি।

তবে পরিবারটি জানিয়েছে, তাকেরু সাপ্লিমেন্টারি হারবাল মেডিসিন চাইলে হাসপাতাল তার চিকিৎসা প্রদান বন্ধ করে দেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিবৃতিতে হাসপাতালটি জানিয়েছে, এই রোগীকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া হবে এবং সকল ধরনের নীতি মেনে চলে এবং সুযোগ সুবিধা প্রদান করেই তাকেরুর পাশে থাকবে হাসপাতাল।

বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী থাইল্যান্ডের এই বামরুনগ্রাড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান।

 

   

তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অবস্থার অবনতি হয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদান, বুর্কিনা ফাসো, সোমালিয়া এবং মালির লোকেরা সম্ভবত ২০২৩ সালে তীব্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন করোনাভাইরাস আঘাত হানে, তখন ৫৫টি দেশের ওপর বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন উদ্বেগজনক হারে খাদ্য সংকটে ভুগছিল। ঠিক পরের বছরই এ সংখ্যা পাঁচজনের মধ্যে একজনে চলে আসে।

২০২৩ সালে ৫৯টি দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালে ৪৮টি দেশে ১০ জনের মধ্যে একজন খাদ্য সংকটে ভুগছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরিচালক ডমিনিক বারজিন বলেছেন, ‘তীব্র খাদ্য সংকটের ফলে তীব্র ক্ষুধার সৃষ্টি হয়। এটি মানুষের জীবিকা ও জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে। এমন খাদ্য সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হতে পারে এবং এতে ব্যাপক মৃত্যু হতে পারে।’

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লওিএফপি) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ১.২ শতাংশ বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছিল। করোনা মহামারির পর থেকে এ সংকট উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে খাদ্য সংকট উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক জিয়ান কার্লো সিরি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা এবং সুদানে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এসব এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষুধার কারণে ঘাস খাচ্ছে, ভিক্ষা করছে। যেখানে মানুষ স্পষ্টতই ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই এখন নিঃস্ব।

ডব্লিউএফপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা দিনে দিনে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে আসছি। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা অনুমান করছি, দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টি এবং উত্তরাঞ্চলের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে। দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় এখন প্রয়োজন খুব স্বল্প সময়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।

;

তিউনিসিয়া উপকূলে ১৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির জেরবা উপকূল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তিউনিসিয়ার জেরবার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত দুই দিনে তিউনিসিয়ার উপকূলে মৃত অভিবাসীর সংখ্যা আরও বাড়ল।

নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে।

এদিকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।

 

;

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা

বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে বকেয়া রাজস্ব পরিশোধে আয়াটার আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর জোট ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আয়াটা) বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কাছ থেকে মোট ৭২ কোটি ডলার রাজস্ব পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছে। দ্রুত এ রাজস্ব পরিশোধের জন্য উভয় দেশকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আয়াটার মতে, বাংলাদেশের কাছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং পাকিস্তানের কাছে ৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে এই জোট ভুক্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা সংস্থার। এই রাজস্ব থেকেই সংস্থার বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ হয়ে থাকে, তাই রাজস্ব বকেয়া থাকায় পরিস্থিতি বর্তমানে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । এ অবস্থায় দ্রুত এই বকেয়া অর্থ পরিশোধে দুই দেশের সরকারকে তাগাদাও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়াটা।

আয়াটার এশিয়া-প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ গোহ বলেছেন, পরিষেবা সংস্থাগুলোকে বিমান, ইঞ্জিন, খুচরা যন্ত্রাংশ, জ্বালানী খরচ, ওভারফ্লাইট ফি এর জন্য ইজারা সহ ডলার-নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব বকেয়া থাকলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় বিমান পরিষেবা কোম্পানিগুলোকে। এছাড়া রাজস্ব পেতে বিলম্ব হলে মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামার কারণে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারি যে করোনা মহামারির পর থেকে বিভিন্ন দেশ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে ব্যাপক চাপে রয়েছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানও রয়েছে সেসব দেশের তালিকায়। কিন্তু আমরা নিরুপায়। কারণ চুক্তি অনুযায়ী রাজস্ব প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত বিলম্ব করা (চুক্তির) প্রাথমিক শর্তের লঙ্ঘণ। যদি শিগগিরই রাজস্ব পরিশোধ না করা হয়, তাহলে এ দুটি দেশে পরিষেবা প্রদান সংকুচিত করতে বাধ্য হবে সংস্থাগুলো।

উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আয়াটা। সংস্থাটির সদর দপ্তর কানাডার মন্ট্রিয়ালে। এর অন্তর্ভূক্ত সংস্থাগুলো প্রতিদিন বিশ্বের মোট বিমানযাত্রীর ৮৩ শতাংশকে পরিবহন পরিষেবা দেয়। এই পরিষেবা বাবদ এই সংস্থাটিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব দিতে হয় দেশগুলোকে। রাজস্বের অর্থ দিয়ে পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করে সংস্থাটি।

;

১৯৯৪ সালের বোমা হামলা

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৪ সালের বোমা হামলার জন্য ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা। ৩০ বছর আগের সেই হামলায় ৮৫ জন নিহত হয়েছিল। এ বিষয়ে ইন্টারপোলকে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদির জন্য গ্রেফতারের নোটিশ জারি করতে বলেছে দেশটি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার একটি আদালত ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের একটি ইহুদি সম্প্রদায় কেন্দ্রে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই অনুরোধ জানিয়েছে। এছড়া ওয়াহিদীকে গ্রেফতার করতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও আহ্বান জানিয়েছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইন্টারপোল তথাকথিত ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে। যদিও একটি রেড নোটিশ সদস্য দেশগুলোতে পুলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে ওয়ান্টেড পলাতকদের সম্পর্কে কেবল সতর্ক করে, এটি গ্রেফতারি পরোয়ানা গঠন করে না।

যার জন্য রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোল পুলিশকে বাধ্য করতে পারে না, গ্রেফতার করা হবে কিনা তা সদস্য দেশের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।


বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি-সহ ইরানি প্রতিনিধিদল বুধবার শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন। তবে, বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদীকে প্রেসিডেন্টের সাথে যেতে দেখা যায়নি।

ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, আহমেদ ওয়াহিদী মঙ্গলবার ইরানে ফিরে এসেছেন। তবে তাদের প্রতিবেদনে রেড নোটিশের কোনও উল্লেখ করা হয়নি।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বোমা হামলাটি ছিল আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। সেই সময় বিস্ফোরণে ৮৫ জন নিহত এবং তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। ইরান অবশ্য সবসময়ই এই হামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

তবে গত ১১ এপ্রিল আর্জেন্টিনার কোর্ট অব ক্যাসেশন দেশের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত রায় দেয়, ইরান এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলাটি চালিয়েছিল।

আদালত এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আদালত রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের জন্য ভিত্তিহীন এ বিষয়কে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে।

;