নোয়াখালীর আদালতে নাজির আলমগীরের জামিন বাতিলে রুল
নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের নাজির আলমগীর হোসেনকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দুই মামলায় দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।
গত ৫ আগস্ট গ্রেফতারের সাত ঘণ্টার মধ্যে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা আদালতে জামিন পেয়েছিলেন নাজির আলমগীর হোসেন। তার জামিনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, ‘নাজির আলমগীর হোসেনের জামিন কেন বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।’
গত ৫ আগস্ট দুদকের নোয়াখালীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির আলমগীর হোসেন, তার স্ত্রী নাজমুন নাহার এবং বোন আফরোজা আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত মোট ৭ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৫ টাকার সম্পত্তি অর্জন করেন। অর্জনকৃত ওই সম্পদ ভোগদখল রেখে প্রতারণামূলকভাবে মানি লন্ডারিং-সম্পৃক্ত অপরাধ, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের উৎস গোপনের লক্ষ্যে হেবা দলিল সম্পাদন, দলিলে জাল জালিয়াতি এবং বেনামে সম্পদ অর্জন এবং ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঐশী ট্রেডার্সের ব্যবসার আড়ালে মোট ২৭ কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৬ টাকা অবৈধভাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করেছেন।
এছাড়া আলমগীর হোসেনকে আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়। এ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী হয়েও নাজিরের দাফতরিক পরিচয় গোপন করে ব্যবসার হিসাব দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক হিসাব খুলে ২০১০ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৭ কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৬ টাকা লেনদেন করেছেন।