ধর্ষণের ভুল প্রতিবেদন: সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর মাদরাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বিপরীতধর্মী তথ্য প্রদানকারী পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. মোজাহিদুল ইসলাম ও মেডিকেল অফিসার রেজাউর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে বুধবার (২২ মে) হাইকোর্টে হাজির হয়ে তারা ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আদালত ক্ষমা না করে চিকিৎসকের উদ্দেশে বলেন, ‘এভাবে যদি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেন, তাহলে জাতির কাছে কী বার্তা যায়? এভাবে রিপোর্ট দেওয়ার কারণে একটা মামলার বিচার প্রভাবিত হয়, এমনকি রায় ভিন্ন হয়, যেখানে বাদী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়।’
এরপর আদালত সিভিল সার্জনের ক্ষমার আবেদন নাকচ করে দেন এবং সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. মোজাহিদুল ইসলাম ও মেডিকেল অফিসার রেজাউর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী হামিদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ওই ছাত্রীর মা থানায় গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করলে তিনমাস পর পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি নালিশি অভিযোগ করেন তিনি।
পরে ওই মামলার আসামি দানেশ চৌকিদার হাইকোর্টে জামিন চাইলে আবেদনের সাথে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ডা. রেজাউর রহমান প্রতিবেদনে লিখেন, মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে, শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এটা দুর্ঘটনাজনিত কারণে হতে পারে। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকের সাথে একমত পোষণ করেছিলেন সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. মোজাহিদুল ইসলাম।