মুন্সিগঞ্জের শাহিন হত্যায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
পূর্ব শত্রুতার জেরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানাধীন আলামিন বাজারে যুবলীগ নেতা শাহিন হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও ২ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ১৬ জনকে এ মামলায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোহেল চৌকিদার, এমারত চৌকিদার, আওলাদ চৌকিদার, মো. বাঁধন, রনি কাজী, রাজা খাঁ এবং মাসুদ তালুকদার।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রাজা খাঁ ছাড়া অপর আসামিরা পলাতক আছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- রনি সিকদার ওরফে কানা রনি, জসীম ওরফে চোরা জসিম, মুক্তার হাওলাদার, আমজাদ হোসেন, জহুরুল কাজী, শাহীন চৌকিদার, সাব্বির শেখ, শাকিল শেখ, রাসেল হাওলাদার, মিঠু হাওলাদার, জুয়েল মোল্লা, সেতু মোল্লা, রুবেল মৃধা, ভুট্টু চৌকিদার, বাবু খাঁ ও রিমন খাঁ।
রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৬ মার্চ মামলার শাহিন আরাম পরিবহনের বাসে করে শ্রীনগর যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আলামিন বাজার বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব ব্রিজের আসামিরা ওপর ওত পেতে ছিলেন। বাসটি ব্রিজের উপর আসলে কয়েক আসামিরা থামিয়ে ভেতরে ঢুকে শাহিনকে গুলি করে।
অপর আসামিরা তাদের হাতে থাকা রাম দা দিয়ে শাহিনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন শাহিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ওই ঘটনায় শাহিনের ফুফু কানন বেগম মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানায় ১১ মার্চ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি রায়ের আগে ২৯ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।