চট্টগ্রাম বন্দর ‘তিন’ বছর ভুল পথে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরের আগামীর বন্দর হিসেবে পরিচিত বে টার্মিনাল। নগরীর ইপিজেডের পেছন থেকে দক্ষিণ কাট্টলী রাসমনি ঘাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় সাগরের ভেতরের অংশে ২৩০০ একর ভূমিতে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বে টার্মিনাল। দিন রাত ২৪ ঘন্টা নেভিগেশন সুবিধার সম্ভাবনার এই টার্মিনালের ভূমি বরাদ্দ প্রক্রিয়া ঘুরছে তিন বছর ধরে। ২০১৫ সালে ভূমি বন্দোবস্তের আবেদন করার পর এখন আবার তা অধিগ্রহণের আওতায় যাচ্ছে।

বন্দোবস্ত হিসেবে আবেদনের তিন বছর পর একই ভূমি বরাদ্দের জন্য আবার অধিগ্রহণে কেন যেতে হচ্ছে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চট্টগ্রামের নতুন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াসের কথা।

দীর্ঘদিন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে কর্মরত থাকা মোহাম্মদ ইলিয়াস চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনালের জন্য ভূমি বরাদ্দের জন্য আবেদন করা বন্দোবস্তের পরিবর্তে অধিগ্রহণের আওতায় আবেদন করার পরামর্শ দেন।

এবিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনালের জন্য ৬৮ একর ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু আরো ৮২০ একর ভূমি বন্দোবস্তের মাধ্যমে বরাদ্দ পেতে আবেদন করা হয়েছিল। এখন এই ভূমিও অধিগ্রহণের আওতায় আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসকের পরামর্শে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়েছিলাম, মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন দিয়েছে অধিগ্রহণের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য।’

কিন্তু তিন বছর পর আবার প্রথম থেকে শুরু করতে কেন হলো জানতে চাইলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, বে টার্মিনালের এই জায়গাটি আগে অনেককে ইজারার মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এসব জায়গা নিয়ে মামলাও রয়েছে। তাই ভূমি আইন অনুযায়ী এগুলো বন্দোবস্তে যাওয়ার সুযোগ নেই। এজন্য বন্দোবস্তের পরিবর্তে অধিগ্রহণে গেলে দ্রুত ভূমির বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এজন্য অধিগ্রহণের মাধ্যমে বরাদ্দ পেতে বন্দরকে বলেছিলাম।

এদিকে বন্দর সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য নৌ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে। জেলা প্রশাসন তা বরাদ্দের অনুমোদনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এখন ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে বিষয়টি উত্থাপিত হবে।

জানা যায়, ২২ বছর আগে পতেঙ্গা থেকে দক্ষিণ কাট্টলী পর্যন্ত সাগরের উপকূলের খাসজমিগুলো প্রায় ৫০টি ব্লকে ভাগ করে জেলা প্রশাসন বরাদ্দ দিয়েছিল। ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে চিংড়ি চাষের জন্য ৯৯ বছরে মেয়াদে ইজারা হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয় এসব ভূমি। কথা হয় বরাদ্দপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০ একর জায়গা বরাদ্দ পাওয়া মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সাথে।

তিনি বলেন, ‘আমরা টাকা দিয়ে সরকারের কাছ থেকে ভূমি বরাদ্দ নিয়েছি। সরকার রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে আমাদেরকে তা বরাদ্দ দিয়েছে। এখন এই জমি জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কিভাবে বরাদ্দ দেবে? এক জমি কি দুই জায়গায় বরাদ্দ দেয়া যায়?’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে বন্দরকে বরাদ্দ দেয়া হলে আমাদের আপত্তি নাই। তবে বর্তমান মৌজামূল্যে আমাদেরকে ভূমির মূল্যবাবদ অর্থ বুঝিয়ে দেয়া হউক।‘

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হালিশহর ও দক্ষিণ কাট্টলী উপকূলে এধরনের প্রায় অর্ধশত লোককে এসব ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কাউকে পাঁচ একর আবার কাউকে ১০ একর করে ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে সাগরের ভেতরের এসব ব্লকেই গড়ে তোলা হয়েছিল বিভিন্ন ধরনের মাছের খামার।

এবিষয়ে কথা হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ( অধিগ্রহন-১) মির্জা তারিক হিকমতের সঙ্গে। উদাহরন হিসেবে তিনি বলেন,‘ সরকারের কোনো একটি সংস্থার জন্য এক হাজার একর ভূমি প্রয়োজন। যদি এই এক হাজার ভূমির সবটা সরকারের খাস জমি হয় তাহলে তা বন্দোবস্ত প্রক্রিয়ায় বরাদ্দ নিতে হবে। আর যদি ৯৫০ একর জমি খাস ও ৫০ একর জমি ব্যাক্তি মালিকানাধীন, অথবা অল্প পরিমান জায়গাও ব্যক্তি মালিকানাধীন থাকে তাহলে পুরো জায়গাটি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বরাদ্দ নেয়ার সুযোগ রয়েছে।’

তাহলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বে টার্মিনালের জন্য ৮২০ একর জায়গা প্রথমে বন্দোবস্ত ও এখন অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখানকার কিছু জায়গা জেলা প্রশাসন ৯৯ বছরের ইজারা দলিলের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়েছিল। তাই এখন আর এখানে বন্দোবস্ত হবে না, এই ভূমি বরাদ্দ পেতে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।’

এদিকে বে টার্মিনালের নির্মাণের সম্ভাব্যতা জরিপের কার্যক্রম শেষ করে জার্মানির হামবুর্গ পোর্ট কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান বন্দরের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের মাধ্যমে বে টার্মিনাল গড়ে তোলবে। বে টার্মিনালে তিনটি টার্মিনাল থাকবে। একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল ও দুটি কনটেইনার টার্মিনাল। প্রাথমিকভাবে সবার আগে বে টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনারগুলো ডেলিভারি দেয়ার জন্য স্পেস তৈরি করা হবে। এতে বন্দরের জেটিতে প্রবেশ করা প্রতিদিন প্রায় ছয় হাজার ট্রক নগরীতে প্রবেশ করতে হবে না।

উল্লেখ্য, ইপিজেড থেকে দক্ষিণ কাট্টলী রাসমনি ঘাট পর্যন্ত সাগরের ভেতরের প্রায় ২৩০০ একর জায়গায় নির্মিত হবে বে টার্মিনাল। জোয়ার-ভাটা, দিন-রাত, বাঁকা চ্যানেল কিংবা ড্রাফটের বিবেচনা কর্ণফুলী নদীর জেটিতে জাহাজ ভিড়তে হলেও বে-টার্মিনালের ক্ষেত্রে সেই সীমাবদ্ধতা নেই। বর্তমানে কর্ণফুলী নদীর জেটিতে পৌছাতে একটি জাহাজকে ১৫ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু বে টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে তা শূন্য কিলোমিটারের মধ্যেই বার্থিং করতে পারবে।

বে টার্মিনাল নির্মাণ হলে যেকোনো দৈর্ঘ্য ও প্রায় ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ এখানে ভিড়তে পারবে। বিপরীতে বর্তমান চ্যানেলে মাত্র ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ কর্ণফুলীতে প্রবেশ করতে পারে। সেইক্ষেত্রেও জাহাজকে দুটি বাঁক অতিক্রম করতে হয় এবং দিনের মাত্র চার ঘন্টা সময় পাওয়া যায়। কিন্তু বে টার্মিনালে ২৪ ঘন্টা জাহাজ পরিচালনা করা যাবে। বিদ্যমান জেটিতে একসাথে ১৬টি জাহাজ বার্থিং করা গেলেও বে-টার্মিনালে গড়ে প্রায় ৫০টি জাহাজ একইসাথে বার্থিং করা যাবে। বন্দরের জেটির দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটার হলেও বে টার্মিনালের দৈর্ঘ্য হবে ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার। ল্যান্ড লর্ড পদ্ধতিতে চালু হতে যাওয়া বে টার্মিনাল চট্টগ্রামের গভীর সমুদ্র বন্দরের অভাব গোচাবে বলে বন্দর সংশ্লিষ্টদের ধারনা।

পতেঙ্গা ইপিজেডের পেছন থেকে দক্ষিণ কাট্টলী রাসমনি ঘাট পর্যন্ত সাগরের অংশে ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে বে টার্মিনাল। এই বে টার্মিনালের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বরাদ্দ পেতে এবং ৮২০ একর ভূমি বন্দোবস্ত প্রক্রিয়য় বরাদ্দ পেতে ২০১৫ সালে আবেদন করা হয়েছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৬৮ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটি অনুমোদন দেয়। সরকারের বিধি অনুযায়ী মৌজা মূল্যের তিনগুণ মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে এই ভূমি বরাদ্দ পাবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সে অনুযায়ী ফিল্ড বুক তৈরির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু টাকা পরিশোধের চিঠি ইস্যু বাকি রয়েছে। কিন্তু আটকে থাকে বন্দোবস্ত প্রক্রিয়ায় আবেদন করা ৮২০ একর ভূমির বরাদ্দ পেতে।

   

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

;

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;