বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) টেলিফোন সেবাকে আরও জনবান্ধব ও সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে মাসিক টেলিফোন লাইনরেন্ট বাতিল করা হয়েছে। ফলে মাসিক ১৫০ টাকায় বিটিসিএল থেকে বিটিসিএলে আনলিমিটেড কথা বলা যাবে। এছাড়াও বিটিসিএল থেকে অন্য যেকোনো অপারেটরে ৫২ পয়সা মিনিট কলচার্জ নির্ধারণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে তার দফতরে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বিটিসিএলকে জনবান্ধব এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিকতা, নিষ্ঠা এবং সর্বোচ্চ সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান জনবলকে আধুনিক প্রযুক্তি উপযোগী করে তৈরি, বিডি ডোমেইন নিবন্ধন ফি ও টেলিফোন সংযোগের ডিমান্ড নোট পদ্ধতি পরিবর্তন, গ্রাহক সেবা অটোমেশন করে বিটিসিএলকে জনবান্ধব ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে যুগোপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অটোমেশন পদ্ধতিতে ঘরে বসেই যাতে গ্রাহকগণ যাতে সেবা পেতে পারেন এ বিষয়েও মন্ত্রী করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন। সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে জনবান্ধব সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে বলেও জানান তিনি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, 'বিশ্ব ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশে ঢুকেছে বাংলাদেশ। অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করতে ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করবে।'
শহর এবং গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য যাতে না হয় সেই লক্ষ্যে দেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত বিদ্যমান ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ফাইভ-জি উপযোগী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'দেশব্যাপী বিটিসিএলের নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই নেটওয়ার্ক যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।' মন্ত্রী বিটিসিএলের সকল ফোন সচল রাখা ও সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল মাহমুদসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিসিএল এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।