জাকারবার্গের ব্রেক থ্রু চ্যালেঞ্জের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি মেয়ে

সোশ্যাল মিডিয়া, টেক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-12-13 20:35:42

আবু ধাবির ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব চৌইফাত থেকে পাশ করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আয়েশা আহমেদ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ এবং তার স্ত্রী প্রিসচিলা চ্যানের অর্থায়নে এই বছরের ব্রেক থ্রু জুনিয়র চ্যালেঞ্জের শীর্ষ প্রতিযোগীদের একজন আয়েশা।

যদি আয়েশা জিততে পারেন তবে তার আবু ধাবির স্কুল পাবে এক লাখ ডলার বা ৮৩ লাখ টাকা, তার নমিনেটেড শিক্ষক পাবেন ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর আয়েশা নিজেও পাবেন এক লাখ মার্কিন ডলার বা ৮৩ লাখ টাকা।

এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের পদার্থ বিজ্ঞান, গণিত অথবা জীবন বিজ্ঞান নিয়ে একটি থিওরির ভিডিও আপলোড করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আয়েশা এরই মধ্যে ফেসবুকে তার ভিডিওতে লাইক দেওয়ার জন্যে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জাকারবার্গের এই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল পর্যায়ে এখন আর ২৯ জন প্রতিযোগী টিকে রয়েছেন, যাদের মধ্যে আয়েশা একজন। তিনি বলেন, 'আমি আমার কম্পিউটার সায়েন্স এবং গণিতের শিক্ষক ইয়াহিয়া নাসেরের জন্যে ৫০ হাজার ডলার এবং স্কুলের বিজ্ঞান গবেষণাগারের জন্যে এক লাখ ডলারের উল্লেখ করেছি।'

নিজের শিক্ষকের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি অসংখ্যবার উনাকে ক্লাসের বাইরে উনার অফিসেও ক্যালকুলাস আর কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে প্রশ্ন করেছি। তিনি কখনোই আমাকে না করেননি। বরং সঠিকভাবে সবসময় সব প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমার মতো জুনিয়র শিক্ষার্থীকে তিনি যে দয়া করেছেন, সেটা শিক্ষকদের মধ্যে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিখুঁত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী তিনি, কম্পিউটিং সর্ম্পকে রয়েছে গভীর ধারণা এবং গভীরভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারেন।

আয়েশা গত বছরও অংশ নিয়েছিলেন, তবে তার পদার্থ বিজ্ঞানের স্ট্রিং থিওরি নিয়েও ফাইনালে যেতে পারেননি।

বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নে স্ট্যাটিকস এন্ড সায়েন্স ডাটা নিয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি। তিনি আশা করছেন, পপুলার ভোটে এই বছর বিজয়ী হতে পারবেন। তার আপলোড করা থিওরির ভিডিও নিয়ে তিনি বলেন, 'গণিত এবং কম্পিউটার সায়েন্সে পি ভার্সেস এনপি সমস্যা একটি বহুল আলোচিত উন্মুক্ত সমস্যা।

এই পি আর এনপি’র সমস্যার সমাধান করা গেলে ক্যান্সার প্রতিরোধে বড় মাইলফলক হবে বলে আশা করেন তিনি।

তিনি বলেন, যদি ২ লাখ মার্কিন ডলারের পুরস্কার জিততে পারি তবে আমার গণিতবিদ হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে তা খরচ করবো। আমি জন্মগ্রহণ করেছি দুবাইতে এবং আমার বাবা-মায়ের রুম থাকতো বইতে বোঝাই। তবে বিজ্ঞানের সাগরে অদ্ভূত সব ভ্রমণ আমাকে আন্দোলিত করতো।

চলতি বছরের নভেম্বরের ৪ তারিখে সিলিকন ভ্যালি থেকে সরাসরি ব্রেক থ্রু জুনিয়র চ্যালেঞ্জের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

আয়েশার বাবা মুনির আহমেদ সাহাবুদ্দিন এবং মা সোনিয়া আহমেদ স্বপ্না এখন আবু ধাবিতে বাস করছেন।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর