বরাবরই ইতিবাচক এক মানুষ তিনি। কখনোই ব্যর্থতাকে জড়িয়ে ধরে সময় ব্যয় করতে রাজী নন তিনি। টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দৃষ্টি থাকছে সিরিজের শেষ দুই টি-টুয়েন্টিতে। বুধবার সকালে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে রীতিমতো উড়ে গেছে দল।
ওয়ানডে সিরিজ জয়ের তৃপ্তি নিয়ে শুরু করলেও প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হয়নি। সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে বৃষ্টি আইনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১ বল হাতে রেখে জিতেছে ৭ উইকেটে।
সেন্ট কিটসে অনুষ্ঠিত ২০ ওভারের এই ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা ছিলেন যারপরনাই ব্যর্থ। তারই মাশুল গুনেছে দল। ম্যাচের প্রথম ওভারেই ফিরেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। নিজেদের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই বিদায়। তারপর মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস প্রতিরোধ গড়ার চেস্টা করেও পারেন নি।
প্রথম ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে এরপর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি টাইগাররা। হারের জন্য এই দ্রুত উইকেট হারানোকেই দায়ী করলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘দেখুন, এই ব্যর্থতার প্রধান কারণ শুরুতে উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম আমরা। উইকেট হারিয়েছি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। মুশফিক-রিয়াদ ভালো জুটি গড়েছিল কিন্তু তারপরই ফিরে গেল মুশফিক। আমরা ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছি। টি-টুয়েন্টিতে এত দ্রুত এতবেশি উইকেট হারানোর পর আমরা কেন যে কোন দলের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।’
তবে এই মাথায় রেখে আগামী ম্যাচে নামতে রাজী নন সাকিব। ৫ আগস্ট যুক্তরাস্ট্রের ফ্লোরিডায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি। তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টি ম্যাচটি একই ভেন্যুতে, ৬ আগষ্ট। সেই দুই ম্যাচে ভাল করতে চান তিনি। বুধবার ম্যাচ শেষে সাকিব বলছিলেন, ‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এখনো দুটো ম্যাচ আছে। আমরা নেতিবাচকের বদলে এই হারা ম্যাচের ইতিবাচক দিকগুলোই নিচ্ছি বেশি করে।’
এদিকে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের হুমকি দিচ্ছে ক্যারবীয় দল। ম্যাচসেরা আন্দ্রে রাসেল জানাচ্ছিলেন, ‘ওদের কাছে আমরা ওয়ানডে সিরিজ হেরেছি। এর জবাবটা টি-টুয়েন্টিতে দিতে চাই। তিনটা ম্যাচ জিতে সিরিজ ৩-০ করতে চাই। তবে এটা ঠিক বাংলাদেশও ভালো দল। ওদের ছোট করে দেখছি না আমি।’
ম্যাচে ২১ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। দারুণ ব্যাট করেছেন তিনি। ইনজুরি কাটিয়ে উঠেও ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার। তাইতো উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন ক্যারবীয় এই অলরাউন্ডার।