জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান

গলফ, খেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 16:15:47

 

পাকিস্তান ৫: জিম্বাবুয়ে ০!

হ্যাঁ, এমন দাপটেই ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকদের উড়িয়ে দিয়েছে সফরকারীরা। সরফরাজ আহমেদের দলের সামনে এক কথায় উড়ে গেছে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার জিম্বাবুয়ে। হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তারা।

বুলাওয়ের কুইন্স পার্ক ওভালে রোববার সিরিজের ৫ম ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে টস প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে দল তুলে ৩৬৪ রান। জবাব দিতে নেমে জিম্বাবুয়ে ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে করে ২৩৩ রান। শেষ ম্যাচটাতে এসেও একইভাবে ব্যর্থতার মহড়া দিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।

শেষ ম্যাচটাও স্মরণীয় হয়ে থেকেছে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ফখর জামানের। স্বপ্নের মতো ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন তিনি। এদিনও কথা বলল তার ব্যাট। করেন ৮৫ রান। আগের ম্যাচের মতো এখানেও শতরান তুলে নেন ইমাম-উল-হক। কিংবদন্তি ইনজামাম উল হকের ভাগিনা করেন ১১০ আর বাবর আজমের অপরাজিত ১০৬।

এই ম্যাচেও সফল পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। আগের ম্যাচে দু'জন গড়েন ওপেনিংয়ে বিশ্বরেকর্ড জুটি। করেন ৩০৪ রান। এবার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান করেন ১৬৮। এরপর ব্যক্তিগত ৮৫ রানে ফিরেন ফখর। তবে এই রান করার পথে গড়েন ইর্ষনীয় এক বিশ্বরেকর্ড।

সবচেয়ে কম ওয়ানডে খেলে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ফখর। ১৮ ওয়ানডে ইনিংস খেলে এক হাজার রানে পা রাখেন তিনি। আর ভেঙ্গে দেন ১৯৮০ সালে করা স্যার ভিভ রিচার্ডসের রেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওই কিংবদন্তি ২১ ওয়ানডে ইনিংসে হাজার রানের ক্লাবে প্রথমবারের মতো নাম লিখিয়েছিলেন।

শেষ পর্যন্ত ফখর ৮৩ বলে ১০টি চার ও ১ ছক্কায় ৮৫ রান করেন। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের পক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান।

তার বিদায়ের পর রোববার দ্বিতীয় উইকেটে আবারো জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমন অকার্যকর করে দেন ইমাম ও বাবর আজম। ইমাম ১০৫ বল খেলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ১১০ রান তুলে ফিরেন সাজঘরে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির তৃপ্তি নিয়ে ফিরেন তিনি।

বাবর আজম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭৬ বলে ১০৬ রানে।

এরপর জবাব দিতে নেমে কখনোই মনে হয়নি ম্যাচটা জিততে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। তবে আগের ম্যাচগুলোর চেয়ে এখানে ব্যাটসম্যানরা কিছুটা হলেও দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। রায়ান মারে করেন ৪৭ রান। আর ৪৪ রান করেন পিটার মুর। দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ ও হাসান আলি।

তবে ম্যাচসেরা বাবর জামান। আর সিরিজসেরা একজনই-ফখর জামান। যিনি ব্যাটে হাতে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর