জিম্বাবুয়ে ৬৭ অলআউট, ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জয়

, খেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 08:26:31

অসহায় আত্মসমর্পণ! এছাড়া আর কীইবা বলা যায়? পাকিস্তানের আগুন ঝরা বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। মিডিয়াম পেসার ফাহিম আশরাফ একাই তুলে নিলেন ৫ উইকেট। আর ২৫.১ ওভারেই মাত্র ৬৭ রানে শেষ জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এরপর সেই সংগ্রহটা তুলতে মাত্র ৯.৫ ওভার আর ১ উইকেট হারায় সফরকারীরা।৯ উইকেটে হেসে-খেলে জিতে পাকিস্তান। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় পেল পাকিস্তান। 

বুধবার (১৮ জুলাই) এই জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল সফরকারী পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ তে এগিয়ে গেল তারা।

বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টসস ক্লাব মাঠে সকালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সিদ্ধান্তটা ভুল প্রমাণ করে শুরুতেই বল হাতে ঝড় তুলে পাকিস্তানিরা। তারা মাত্র ৬৭ রানে অলআউট করে দেয় স্বাগতিকদের। এরপর শুরুতে উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত ২৪১বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সরফরাজ আহমেদের দল। এরই পথ ধরে ইতিহাস গড়া জয় পেল পাকিস্তান। ওয়ানডেতে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় জয়। ১৯৯০ সালে শারজাহতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৬ বাকি রেখে জয় ছিল আগের রেকর্ড।

সত্যিকার অর্থে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামাটাই ছিল ভুল। সকালের উইকেটে পাকিস্তানী বোলারদের আক্রমণের সামনে যেন কিছুই করার ছিল না জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের। পেসার উসমান খান শুরুতেই ফেরান ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরেকে (১)। এরপর হ্যামিল্টন মাসাকাদজা আউট ১০ রানে। তিনি জুনায়েদ খানের শিকার। তারই পথ ধরে তারিসাই মুসাকান্দা শূন্য রানে বিদায় নিলে ভয়াবহ বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা।

পিটার মুরকে (১) ফেরান ফাহিম আশরাফ। এরমধ্যে কিছুটা সময় উইকেট কামড়ে থাকলেন ওপেনার চামু চিবাবা। ১৬ রান করা এ ওপেনারকে ফেরান ফাহিম আশরাফ। তারপর এলটন চিগুম্বুরা (৯), রায়ান মুরে (৮) এবং রিচার্ড এনগারাভার উইকেট নিয়ে পা রাখেন পাঁচ উইকেটের মাইলফলকে।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নিতে খরচ করেন ২২ রান। জুনায়েদ খান নিয়েছেন দুই উইকেট।

এরপর জবাব দিতে নেমে দলীয় শূন্য রানে ইনাম উল হক বিদায় নিলে দুশ্চিন্তায় পড়ে পাকিস্তান শিবির। কিন্তু এরপর বাকী পথটা অনায়াসেই পাড়ি দেন ফখর জামান ও বাবর আজম। দু'জন গড়েন ৬৯ রানের জুটি। এরমধ্যে ফখরের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪৩ রান। বাবর করেন ৩৪ বলে ১৯।

অবশ্য ম্যাচসেরা হয়েছেন বল হাতে আগুনঝরানো মিডিয়াম পেসার ফাহিম আশরাফ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর