বিশ্বকাপে ‘আত্মঘাতী’ গোলের রেকর্ড

, খেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 04:14:58

‘আত্মঘাতী’ গোল- এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে আতঙ্কের অন্য নাম! নিজের পোষ্টে নিজেরাই বল পাঠিয়ে কপাল পুঁড়েছে বেশ কয়েকটি দলের। অবশ্য ফুটবলে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু ২০১৮ বিশ্বকাপ আগের সব ঘটনাকে ছাড়িয়ে গেছে! নতুন এক রেকর্ডে নাম লেখালো রাশিয়া বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্ট শেষের আগেই হয়ে গেছে ‘আত্মঘাতী’ গোলের রেকর্ড।

সবমিলিয়ে বিশ্বকাপ ৫২টি আত্মঘাতি গোল দেখেছে। ১৯৩০ সালে ভুল করে প্রথমবারের মতো নিজেদের পোষ্টে বল পাঠিয়েছিলেন মেক্সিকোর ম্যানুয়েল রোয়াস! ১৯৩৪, ৫৮, ৬২ আর ৯০ সালের বিশ্বকাপে কোন আত্মঘাতি গোল হয়নি!

কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল-বেলজিয়াম ম্যাচে ‘আত্মঘাতী’ গোল দেখেছেন ফুটবল ভক্তরা। এনিয়ে এই বিশ্বকাপে ১১টি আত্মঘাতী গোল হল৷ যা কীনা রীতিমতো এক রেকর্ড। শেষ আটের লড়াই শেষ। সামনে সেমিফাইনাল, তৃতীয়স্থান নির্ধারণী আর ফাইনাল। তার আগেই ১১ গোল! এ কারণেই একজন রসিকতা করে বলছিলেন, এবার তাহলে গোল্ডেন বুট উঠছে আত্মঘাতী গোলদাতাদের হাতে!

অথচ ১৯৯৮ সালে মাত্র ৬টি আত্মঘাতী গোল হয়েছিল। যা এতোদিন ছিল এই আসরে সবচেয়ে ওন-গোলের রেকর্ড৷ ২০১৪ ব্রাজিলে হয় পাঁচটি৷ এইতো শুক্রবার কাজান এরিনায় ফার্নান্দিনহোর আত্মঘাতি গোলে কপাল পুঁড়ে ব্রাজিলের৷

রাশিয়াতে মরোক্কো-ইরান ম্যাচ দেখা গিয়েছিল প্রথম আত্মঘাতী গোল। যেখানে আজি রওদাদোজ নিজেদের পোষ্টে বল পাঠালে ২০ বছর পর বিশ্বকাপে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইরান। তারপর ফ্রান্সের বিপক্ষে নিজেদের পোষ্টে ভুল করে বল পাঠান অস্ট্রেলিয়ার আজিজ বেহিচ৷ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে একই ভুলের ফাঁদে পা দেন নাইজেরিয়ান ওগেনেকারো অ্যাটোবো।

এছাড়া এবার আত্মঘাতী গোল করে আলোচনায় এসেছেন পোল্যান্ডের থিয়াগো সিওনেক, মিশরের আহমেদ ফ্যাতি, রাশিয়ার ডেনিস চেরিশেভ, কোস্টারিকার ইয়ান সৌমার্স, মেক্সিকার এডসন অ্যালভারেজ,

তিউনিশিয়ার ইয়াসেন মেরিয়াহ, রাশিয়ার সের্গেই ইগনাশেভিচ!

কে জানে সামনে হয়তো এই তালিকাটা আরো দীর্ঘ হবে! তবে এ কারণে প্রাণ হারানোর নজিরও আছে। সেই ১৯৯৪ বিশ্বকাপে একটাি আত্মঘাতী গোল করেছিলেন কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার আন্দ্রেস এসকোবার। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের ম্যাচে আত্মঘাতী গোলেই শেষ পর্যন্ত কলম্বিয়ার বিদায়টা নিশ্চিত হয়ে যায়। দেশে ফেরার পর গুলি করে হত্যা করা হয় এসকোবারকে! এবার অবশ্য তেমন কিছু না হলেও ঠিকই সমালোচনার মুখো পড়তে হয়েছে অনেককেই। কিন্তু সবই খেলার অংশ। কেউ তো আর ইচ্ছে করে নিজের পোস্টে বল পাঠিয়ে দেয় না!

এ সম্পর্কিত আরও খবর